Dilip Ghosh: 'আমি অন্য কাজ করব', মোদির সফরের দিনই কলকাতা ছাড়লেন দিলীপ ঘোষ! কেন? এ কী বললেন! দিয়ে দিলেন বিরাট ইঙ্গিত
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
- Reported by:Anup Chakraborty
Last Updated:
Dilip Ghosh: শুক্রবার সকালের বিমানেই বেঙ্গালুরুর উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন প্রাক্তন সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
কলকাতা: দলের সঙ্গে আরও দূরত্ব বাড়ল দিলীপ ঘোষের। নরেন্দ্র মোদির সরকারি অনুষ্ঠানই হোক বা দলীয় সভা, ফের ব্রাত্য রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এ নিয়ে মোট ৩ বার তাঁকে বড় সভায় এড়িয়ে গেল দল। শুক্রবার দমদমে ফের নরেন্দ্র মোদির সভায় আমন্ত্রণ পেলেন না তিনি। আর তারপরেই নিয়ে নিলেন বড় সিদ্ধান্ত ।
advertisement
advertisement
advertisement
এরপরই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের সম্মুখীন হন দিলীপ ঘোষ। আপনি কি ২০২৬ সালে বিধানসভা ভোটে লড়বেন? খড়গপুর থেকেই কি লড়বেন? দিলীপ ঘোষের সাফ জবাব, ''দল ৩ বার মনে করেছিল আমার ভোটে লড়া উচিত। এর মধ্যে দুবার আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল কোথায় লড়তে চাই। দুবার আমি নাম বলেছি। জিতেছি। তৃতীয় বার আমাকে কেউ কিছু জিজ্ঞাসা করেনি। লড়তে বলেছিল। লড়েছি। জিতিনি। এটা পার্টির সিদ্ধান্ত। পার্টি বুঝবে। পার্টি যদি বলে আমার ইলেকশন লড়ার দরকার নেই, তাহলে আমি অন্য কাজ করব। আমি ওসব নিয়ে ভাবি না। পশ্চিমবঙ্গে অনাচার চলছে। মানুষ পরিবর্তন চাইছে। বিজেপিকে আমরা দাঁড় করিয়েছি। আমরা যোগ্য। পরিশ্রম করে মানুষের আশীর্বাদ চেয়ে নেব।''
advertisement
বাংলায় ভাষা এবং আঞ্চলিকতার রাজনীতির আমদানি প্রসঙ্গেও এদিন মুখ খোলেন দিলীপ। বলেন, ''আঞ্চলিক পার্টিগুলোর আদর্শ, নীতি, সংবিধান কিছুই থাকে না। কিছু লোকাল ইস্যু নিয়ে দলগুলো তৈরি হয়। লোকাল ইস্যু নিয়েই ভোটে দাঁড়ায়। প্রতিবার নতুন ইস্যু আনে। সমাজ বা দেশ নিয়ে ভাবে না। রাজনীতির চিন্তা করে। দেশ ভাঙল কী রইল, এইসব কিছুই চিন্তা করে না। তৃণমূলের মতো পার্টি যতদিন থাকবে এই আঞ্চলিকতার রাজনীতি করবে। বাংলার মানুষ চিন্তাশীল এবং দূরদর্শী। তাই এখানেই ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়েছিল। আমরা একসময় খেলাধুলো পড়াশোনা সবকিছুতে এগিয়ে ছিলাম। এখনও প্রতিভা আছে। যারা বাইরে গিয়ে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করছেন। বাংলার মানুষ বুঝতে পেরেছে পরিবর্তন হলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।''
advertisement
আপনার দলের প্রতি অবদান কি ভুলে যাওয়া হচ্ছে? এই প্রশ্নের জবাবে দিলীপ বলেন, ''প্রধানমন্ত্রী কী বুঝবেন, সেটা প্রধানমন্ত্রীর ওপর ছেড়ে দিন। আমার মতো হাজার হাজার কর্মী পার্টিতে আছেন। পার্টি তাদের নিয়ে ভাবে। যোগ্য মনে করলে তাদের কাজ দেয়। পার্টিতে আমার কোনও কাজ নেই। প্রধানমন্ত্রী আসছেন। ভাষণ দেবেন। সে তো আমি মোবাইলে শুনে নিতে পারি। উনি তো আসতেই থাকবেন। ভাষণ শোনা তো কোনও কাজ নয়। অন্য কাজ যখন পার্টি দেবে, সেই কাজে লেগে যাব।''
advertisement