

সংক্রমণ ঠেকিয়ে একসময় প্রশংসা কুড়িয়েছিল কেরল। সেখানেই ওনাম উৎসবের পর সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। তাই বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসবে কোনওরকম ঝুঁকি নিতে নারাজ কলকাতা হাইকোর্ট। তাই করোনার সংক্রমণ আটকাতে পুজো মণ্ডপেই নো এন্ট্রি বোর্ড ঝুলিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। পুজোর ভিড়ে করোনা সংক্রমণে বিস্ফোরণের আশঙ্কায় ঐতিহাসিক রায় বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৷


পুজো মণ্ডপে এবার NO ENTRY। মণ্ডপে ঢুকে প্রতিমা দর্শন করতে পারবেন না দর্শনার্থীরা। শুধুমাত্র উদ্যোক্তাদের ছাড়। নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে রাজ্য সরকার।


করোনা পরিস্থিতিতে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে আদালত জানায়, ছোট বড় সমস্ত মন্ডপেই সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য নো এন্ট্রি ৷ মণ্ডপের বাইরে ঝোলাতে হবে নো এন্ট্রি বোর্ড ৷ প্যান্ডেল থাকবে দর্শকশূন্য ৷


প্যান্ডেল এরিয়ায় থাকবে বাফার জোন ৷ ছোট মণ্ডপ হলে তার ৫ মিটারের মধ্যে এবং বড় মণ্ডপ হলে তার ১০ মিটারের মধ্যে কোনও দর্শনার্থী প্রবেশ করতে পারবে না। ফিতে দিয়ে মেপে কোর্টের নির্দিষ্ট করে দেওয়া দূরত্বে বসাতে হবে ব্যারিকেড ৷ মণ্ডপের বাইরে স্পষ্ট করে নির্দিষ্ট করতে হবে বাফার জোন ৷


মন্ডপে শুধু ঢুকতে পারবেন পুজো উদ্যোক্তারাই ৷ তাও একসঙ্গে ২৫ জনের বেশি উদ্যোক্তা মণ্ডপে থাকতে পারবেন না বলে রায়ে জানিয়েছে আদালত ৷


শুধু তাই নয়, কোর্টের নির্দেশ, আগে থেকে উদ্যোক্তাদের নামের তালিকা জমা দিতে হবে। মন্ডপের বাইরে উদ্যেক্তাদের নামের তালিকা টাঙাতে হবে ৷ সেই ব্যক্তিরাই শুধু মন্ডপে ঢুকতে পারবেন ৷ যে ৩৪ হাজার কমিটি অনুদান নিয়েছেন তাঁদের প্রত্যেকে হলফনামা দিতে হবে, বলেও জানিয়েছে আদালত ৷


এদিন হাইকোট বলে, এতে কোন সন্দেহ নেই রাজ্য পর্যাপ্ত গাইডলাইন করেছে। এটাও ঠিক যে পুলিস, প্রশাসন তাদের সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করবেন কিন্তু তাদের সীমাবদ্ধতার কথাও ভেবে দেখা উচিত। লাখ লাখ দর্শক নিয়ন্ত্রণে মাত্র ৩০ হাজার পুলিশ ৷ ভিড় নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল আদালত ৷ এদিন রায় দানে বিচারপতি জানান, ভিড় নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে দোষ দেওয়া যায় না ৷ পুলিশের সীমাবদ্ধতা রয়েছে ৷ তাই বিকল্প ব্যবস্থাস্বরূপ প্রত্যেক পুজো মণ্ডপ কন্টেইনমেন্ট জোন গণ্য হবে ৷ লক্ষ্মীপুজোর ৪ দিন পর আদালতে হলফনামা জমা দেবেন রাজ্য পুলিশের DGP।