Cyclone Montha Update: উপকূলের দিকে এগোচ্ছে ‘মন্থা’ ! কতটা ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা অন্ধ্রে? ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব এরাজ্যে কতটা পড়তে পারে
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
- Reported by:BISWAJIT SAHA
Last Updated:
বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে স্থলভাগের দিকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’। আজ সকালে ‘প্রবল’ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার কথা। রাতেই অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে।
বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে স্থলভাগের দিকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’। আজ, মঙ্গলবার ‘প্রবল’ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার কথা। রাতেই অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। এর প্রভাবে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পাশাপাশি ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিতে দমকা হাওয়া বইতে পারে। ওই জেলাগুলিতে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে হতে পারে ভারী বৃষ্টি। উত্তরবঙ্গের দুই জেলা, দার্জিলিং এবং কালিম্পঙে মঙ্গলবার হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বাকি জেলায় ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। (ANI)
advertisement
দক্ষিণ-পশ্চিম ও পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’ আরও শক্তিশালী হয়ে মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। বিশাখাপত্তনম থেকে ৪১০ কিলোমিটার দক্ষিণ দিকে অবস্থান। কাকিনাড়া থেকে ৩৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব দিকে অবস্থান।আজ, মঙ্গলবার সকালে এটি আরও ঘনীভূত হয়ে ‘সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম’ বা তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বা রাতে এটি ল্যান্ডফল করবে অন্ধ্রপ্রদেশের মছলিপত্তনম থেকে কলিঙ্গপত্তনমের মাঝে ল্যান্ডফল করবে। সেই সময় এর গতিবেগ হবে সর্বোচ্চ ১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে। স্থলভাগে প্রবেশের পর শক্তি হারালেও এটি ঘূর্ণিঝড় রূপে ছত্তিশগড়ে পর্যন্ত যেতে পারে।
advertisement
এর প্রভাবে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ও মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের। আজ, মঙ্গলবারের মধ্যে বাংলার উপকূলে মৎস্যজীবীদের ফিরে আসতে নির্দেশ। আগামিকাল ২৮ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলার উপকূলে সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা মৎস্যজীবীদের।
advertisement
উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ৩১ অক্টোবর উত্তরবঙ্গে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি জেলাতে অতি ভারী বৃষ্টি অর্থাৎ ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। ওই দিন ভারী বৃষ্টি হবে মালদহ এবং উত্তর দিনাজপুরেও। ৩০ অক্টোবর ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা মালদহ উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়ি জেলাতে।২৯ থেকে ৩১ অক্টোবর উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা বাতাস বইবে।
advertisement
দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। উপকূলের জেলা দিয়ে শুরু হয়ে উত্তরবঙ্গ লাগোয়া জেলা পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদ জেলাতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ২৮ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি বিক্ষিপ্তভাবে হবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে দমকা বাতাস বইবে।
advertisement
