

ভিড়ের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না। মন্ডপ, প্রতিমা, পুজোর যাবতীয় উপাচার এমনকি সেলিব্রিটি দর্শন। এর সবকিছুই দেখুন বাড়িতে বসে এক ক্লিকে। আজ থেকেই এই ব্যবস্থা চালু করে দিচ্ছে শহরের অন্যতম হাই প্রোফাইল, নামজাদা পুজো চেতলা অগ্রণী।


ইতিমধ্যেই হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বড় পুজোর ১০ মিটার দুরত্বের বাইরে থাকতে হবে দর্শনার্থীদের। চেতলায় সেই ব্যবস্থা করা আছে। করোনার ভয়ে যারা পুজোর সময় চেতলা অগ্রণীর ঠাকুর দেখতে পারবেন না বলে মনে মনে দুঃখ পাচ্ছিলেন, তাদের জন্যে এটা খানিকটা সুখবর।


পুজো উদ্যোক্তাদের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, ঘরে বসে মিলবে একেবারে মন্ডপেরই স্বাদ। কোনও ছোটখাটো মুহূর্ত বাদ দেওয়া হবে না ঘরে বসে থাকা মানুষদের জন্যে। যাতে কারও মনে না হয় সে প্যান্ডেলে নয়, বাড়িতে বসে ঠাকুর দেখছে। উদ্যোক্তাদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে চেতলা অগ্রণীর অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল থেকে সবটাই সম্প্রচারিত হবে। এছাড়া ফেসবুক লাইভ দেখা যাবে টানা। ২৪ ঘন্টাই এই টানা লাইভ সম্প্রচারের জন্যে, চারটি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। যার মাধ্যমে এই লাইভ দেখানো হবে। মাতৃবন্দনার কোনও কিছুই এতে বাদ যাবে না বলে জানানো হয়েছে উদ্যোক্তাদের তরফ থেকে। এই পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা মন্ত্রী ও কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ ও বহু বিদেশি এই মন্ডপ দেখতে আসেন। এবারে করোনার কারণে তারা অনেকেই আসতে পারছেন না। ফলে তাদের কথা ভেবে আমরা এই লাইভ সম্প্রচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ডিজিটালি ঘরে বসেও যাতে এর স্বাদ সকলে নিতে পারেন সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে।


অন্যদিকে কোভিড সংক্রমণ রুখতে যারা দর্শনার্থী আসবেন তাদের মাস্ক ও স্যানিটাইজার দেবে চেতলা অগ্রণী ৷ প্রায় দশ হাজার প্যাকেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্যদিকে অষ্টমীর দিনে অঞ্জলি পুজোয় শুধুমাত্র ক্লাবের সদস্য ও তাদের পরিবার সুযোগ পাবেন। কোন পরিবার কখন আসবেন তার শিডিউল আগে থেকেই ক্লাব জানিয়ে দেবে। সেই সময় অনুযায়ী তারা আসবেন। যাতে ভিড় না হয় তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেহেতু চেতলায় একাধিক ব্লক আছে। তাই ব্লক ধরে ধরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। এবছর চেতলা অগ্রণীতে কোনও সিঁদূর খেলা হবে না। শুধুমাত্র দুরত্ব মেনে প্রতিমা বরণ করবেন মহিলারা। পুজোর থিম ঘোষণার দিন থেকেই চমক দিয়েছিল চেতলা অগ্রণী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিমার চক্ষুদান করেন। আর করোনা আবহ কাটিয়ে কিভাবে পুজো করা যায় সেই দিক তুলে ধরতে চাইছে চেতলা অগ্রণী। তাই ডিজিটাল মাধ্যমে জোর দেওয়া হচ্ছে। উদ্যোক্তা ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, বাইরে রাস্তায় নেমেও ঠাকুর দেখা যায়। ঘরে বসেও ঠাকুর দেখা যায়। আমরা দুটোর স্বাদ দিতে চাইছি।Input- ABIR GHOSHAL