

শেষবার বাংলা সফরে এসে রোড শো-তে ঝড় তুলে দিয়ে গিয়েছিলেন অমিত শাহ। তার হাত থেকে গেরুয়া পতাকা নিয়ে আজ বিজেপির পোস্টারবয় শুভেন্দু অধিকারী। তারপর বঙ্গ রাজনীতিতে নানা নাটকীয় উত্থান পতন হয়েছে। আজ আরও একবার দুদিনের সফরে কলকাতায় আসছেন অমিত শাহ। স্বাভাবিক ভাবেই জল্পনা, এবার কোন চমক দেবেন শাহ? কারা যোগ দিতে পারেন? রাজীব-বৈশালীর বিজেপি গমন কি এই যাত্রাতেই?


অমিত শাহের এবারের দুদিনের বঙ্গসফর কর্মসূচিতে ঠাসা। শুক্রবার রাত ১১টার সময় সেনাবাহিনীর বিশেষ বিমানে দমদম বিমানবন্দরে নামবেন শাহ। রাত কাটাবেন রাজারহাটের এক পাঁচতারা হোটেলে।


শনিবার সকালে শাহর বৈঠক রয়েছে সিআরপিএফ আধিকারিকদের সঙ্গে। বৈঠক সেরেই তিনি চলে যাবেন ইসকনের একটি অনুষ্ঠানে সেখানেই মধ্যাহ্নভোজ সারবেন। ইসকন থেকে অমিত শাহ যাবেন ঠাকুরনগরে ঠাকুরবাড়ির মাঠে জনসভায়।


এই জনসভার দিকে গোটা মতুয়া সমাজ তাকিয়ে আছে। কারণ নাগরিকত্ব নিয়ে শাহ বার্তা দিতে পারেন এই জনসভা থেকেই। অতীতেই অমিত শাহ বলেছিলেন করোনা ভ্যাকসিন বিতরণ শুরু হয়ে গেলে নাগরিকত্ব প্রদানের কাজ শুরু হবে। এই সিএ কার্যকর হওয়া নিয়ে গড়িমসিতে মতুয়া মহাসঙ্ঘের প্রধানমন্ত্রীর উষ্মা গোপন থাকেনি। তাঁকে বুঝিয়ে এসেছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়েরা। এখন শাহ ঠাকুরনগরে পা রেখে বিষয়টি নিষ্পত্তি করলে অবাক হওয়ার মত কিছু থাকবে না।


তবে শাহী চমক থাকছে সফরের দ্বিতীয় দিনে। এদিন প্রাথমিকভাবে বিএসএফ আধিকারিকদের সঙ্গে কথাবার্তা, ভারত সেবাশ্রম সংঘের যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর-এর বাড়িতে যাওয়াও পরিকল্পনা রয়েছে শাহর। আর তারপর হাওড়া ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে সভা। এই সভায় ঘিরে আগ্রহ- উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে এই মুহুর্তে। অসমর্থিত সূত্র বলছে, এই সভায় অমিতের হাত থেকেই গেরুয়া ব্যাটন নিতে পারেন বৈশালী ডালমিয়া রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক যেমন অতীতে তারই হাঁত থেকে গুরু দায়িত্ব নিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজীব নিজেই মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন। আর দিন কয়েক আগে দল বিরোধী কার্যকলাপের জন্য দল বহিষ্কার করেছে বৈশালীকে।


দুজনেই রাজনীতিতে থাকতে চান, দুজনেই জনগণের জন্য কাজ করতে চান। বারবারই একসুরে দুজনেই বলেছেন যেখানে কাজের সুযোগ আছে সেখানে যাব। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা গেরুয়া শিবিরের দিকেই ইঙ্গিত করেছেন তাঁরা। এমনকি এই সভা থেকে রুদ্রনীল ঘোষকেও বিজেপিতে যোগদান করতে দেখা যেতে পারে।