WHO Issues Alert: ফের ফিরে এল খতরনাক মারণ ভাইরাস, ২০ বছর আগে থরথর করে কাঁপছিল দুনিয়া, ৫৬০ কোটি মানুষের ওপর খতরা
- Published by:Debalina Datta
- news18 bangla
Last Updated:
WHO issues Alert: এই রোগের এখনও কোনও টিকা নেই এবং এই ভাইরাস মশার মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
কলকাতা: ২০০৫ সালে, একটি ভাইরাস বিশ্বের অনেক দেশে বিপর্যয় ডেকে আনে এবং মানুষকে তার শিকার করে। এর ফলে অনেক মানুষ প্রাণ হারায়, আবার অনেক মানুষকে দীর্ঘ সময় ধরে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এই ভাইরাস ভারত মহাসাগর অঞ্চলের ছোট ছোট দেশ থেকে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে এবং ধীরে ধীরে ভারত সহ অনেক দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে এর তাণ্ডব কমে যায় এবং মানুষ এর নামও ভুলে যায়। এই বিপজ্জনক ভাইরাসের নাম চিকুনগুনিয়া, যা এখন আবার দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। এই বিপদের পরিপ্রেক্ষিতে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) একটি গুরুতর সতর্কতা জারি করেছে। এশিয়া এবং ইউরোপের অনেক দেশে এর ঘটনা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা উদ্বেগজনক। Photo- AI
advertisement
advertisement
এই রোগের এখনও কোনও টিকা নেই এবং এই ভাইরাস মশার মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বর্ষাকালে এর ঝুঁকি বেশি থাকে, কারণ এই ঋতুতে মশার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। ২০২৫ সালে চিকুনগুনিয়ার ক্রমবর্ধমান ঘটনা ২০০৫ সালের ভয়াবহ চিকুনগুনিয়া মহামারীর স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছে। সেই সময়ে, এই রোগটি প্রথমবারের মতো ভারত মহাসাগরের ছোট ছোট দ্বীপপুঞ্জ থেকে শুরু হয়েছিল এবং ৫ লক্ষেরও বেশি মানুষকে প্রভাবিত করেছিল।
advertisement
আবারও চিকুনগুনিয়া ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। লা রিইউনিয়ন, মায়োট এবং মরিশাসের মতো দ্বীপপুঞ্জে চিকুনগুনিয়ার পরিস্থিতি গুরুতর। লা রিইউনিয়নের প্রায় ৩৩ শতাংশ মানুষ চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। চিকুনগুনিয়া ভাইরাস এখন এই দ্বীপপুঞ্জ থেকে মাদাগাস্কার, সোমালিয়া এবং কেনিয়ার মতো আফ্রিকান দেশগুলিতে ছড়িয়ে পড়েছে। এর পর, এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে ভারতে মহামারীর মতো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। ভারতেও চিকুনগুনিয়ার ঘটনা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারতে, বর্ষাকালে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পায়, যা চিকুনগুনিয়ার ঝুঁকিও বাড়ায়।
advertisement
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ইউরোপে চিকুনগুনিয়া ভাইরাসের ক্রমবর্ধমান প্রাদুর্ভাব নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন, কারণ এই ভাইরাস আগে গ্রীষ্মমন্ডলীয় দেশগুলিতে ছড়িয়ে পড়ত। তবে জলবায়ু পরিবর্তন এবং বিশ্বব্যাপী ভ্রমণের কারণে, এই ভাইরাস এখন ইউরোপেও ছড়িয়ে পড়ছে। ১ মে থেকে ফ্রান্সে চিকুনগুনিয়ার প্রায় ৮০০টি ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে ১২টি স্থানীয় সংক্রমণও রয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে, ভ্রমণ না করেই মানুষ মশার মাধ্যমে সংক্রামিত হচ্ছে। সম্প্রতি ইতালিতেও একটি ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে।
advertisement
চিকুনগুনিয়া মূলত এডিস মশা দ্বারা ছড়ায়, যা দিনের বেলায় কামড়ায়। এই মশাগুলি ডেঙ্গু এবং জিকা ভাইরাসও ছড়ায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশিরভাগ মানুষ চিকুনগুনিয়ার সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠেন, তবে সংক্রমণের পরেও জয়েন্টে ব্যথা কয়েক সপ্তাহ বা মাস ধরে চলতে পারে। এই ভাইরাস বয়স্ক ব্যক্তি এবং পূর্বে থেকেই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। WHO সতর্ক করে দিয়েছে যে যতক্ষণ না এই রোগের টিকা বা চিকিৎসা আবিষ্কৃত হয়, ততক্ষণ প্রতিরোধই একমাত্র কার্যকর সমাধান।
advertisement
চিকুনগুনিয়া এড়াতে, মশা-বিরোধী পণ্য ব্যবহার করা, পূর্ণ-হাতা পোশাক পরা, মশারি ব্যবহার করা এবং কাছাকাছি জমে থাকা জল পরিষ্কার করা গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্বজুড়ে সরকার এবং স্বাস্থ্য সংস্থাগুলিকে নজরদারি, জনসচেতনতা এবং মশা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছে, যাতে ২০০০-এর দশকের মতো বিশ্বব্যাপী সংকট আবার না দেখা দেয়।