Super Typhoon Mawar: ঝাঁপিয়ে পড়বে প্রায় ৩০০ কিমি/ঘণ্টা গতি নিয়ে! ঝড়ের গতিতে এগোচ্ছে প্রবল শক্তিশালী সুপার টাইফুন 'মাওয়ার'

প্রশান্ত মহাসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় সুপার টাইফুন মাওয়ার তাইওয়ানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। গত দু'বছরে এমন শক্তিশালী ঝড় আর একটাও দেখেনি বিশ্ব। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ৩০০ কিলোমিটার, দমকা হাওয়া-সহ ঝড়টির গতিবেগ উঠেছে ঘণ্টায় প্রায় ২৪০ কিলোমিটার।

‘সুপার টাইফুন’-এ পরিণত হয়েছে টাইফুন মাওয়ার। যা ফিলিপিন্সের দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে।

সংবাদসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, টাইফুনের প্রভাবে প্রবল বৃষ্টি এবং প্রবল বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইলেও গুয়ামে আপাতত বড়সড় কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি। কোনও প্রাণহানি হয়নি।

গুয়ামের স্থানীয় বিদ্যুৎ সংস্থা জানিয়েছে, পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে যে ৫২,০০০ বাড়ি এবং কারখানা-দোকান আছে, সেগুলির মধ্যে মেরেকেটে ১,০০০ বাড়ি বা দোকানে বিদ্যুৎ সংযোগ আছে। তবে গুয়ামে যে ১৭,০০০ মানুষ বাস করেন, তাঁদের কারও প্রাণহানি হয়নি।

শুধুমাত্র টাইফুনের জেরে গুয়ামের অধিকাংশ জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। আপাতত বিদ্যুৎ সংযোগ ফেরানোর কাজ চলছে।

নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়, শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘মাওয়ার’ যুক্তরাষ্ট্রের গুয়াম দ্বীপ অতিক্রম করার পর সুপার টাইফুনে পরিণত হয়েছে। যে টাইফুন প্রশান্ত মহাসাগর লাগোয়া গুয়ামে তাণ্ডব চালিয়েছে।

খবরে বলা হয়, ক্যাটাগরি ফোর টাইফুনটি ২৪ মে, বুধবার গুয়াম উপকূলে আঘাত হানে। এর ফলে পুরো দ্বীপে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

গাছপালা, বিদ্যুতের খুঁটি এবং মোবাইল টাওয়ার ভেঙে গিয়েছে। বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে ৫১ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি। প্রায় ৩০ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাস রেকর্ড করা হয়।

টাইফুন আঘাত হানার আগেই এক লাখ ৭০ হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়া সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে বিমান চলাচল।

ল্যান্ডফলের আগে 150mph বেগে অবিরাম বাতাস লক্ষ্য করা গিয়েছে এর জেরে। আশা করা হচ্ছে যে টাইফুন মাওয়ার ল্যান্ডফল হতে পারে এই সপ্তাহের শেষে।

এর ফলে শনিবার ভারী বৃষ্টিপাত হবে। মাওয়ার উত্তর লুজোনের দিকে ধীরে ধীরে অগ্রসর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু নির্দিষ্ট অঞ্চল ল্যান্ডফলের মুখোমুখি হতে পারে। তবে নির্দিষ্ট কোনও অবস্থান এখনও প্রকাশ করা হয়নি।