Sunita Williams-Kalpana Chawla: দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে 'বাড়ি' ফিরছেন সুনীতা, কিন্তু মহাকাশেই হারিয়ে যান কল্পনা চাওলা! কী হয়েছিল সেদিন? কল্পনাদের সঙ্গে কী ভুল হয়েছিল?

Last Updated:
Sunita Williams-Kalpana Chawla: মহাকাশে কল্পনা চাওলা ও তাঁর ছয় সঙ্গী মহাকাশচারী হারিয়ে যাওয়ার পরে ২২ বছর কেটে গেছে। সেদিন ঠিক কী হয়েছিল সে নিয়ে দফায় দফায় তদন্ত করেছে নাসা।
1/8
দীর্ঘ টালবাহানার পর মহাকাশ থেকে ফিরছেন সুনীতা উইলিয়ামস। কিন্তু ২২ বছর আগে মহাকাশেই হারিয়ে গিয়েছিলেন আরেক ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারী কল্পনা চাওলা (Kalpana Chawla)। মহাকাশই ছিল তাঁর স্বপ্ন। সেই মহাকাশেই অনন্ত শয্যায় শায়িত হন তিনি।
দীর্ঘ টালবাহানার পর মহাকাশ থেকে ফিরছেন সুনীতা উইলিয়ামস। কিন্তু ২২ বছর আগে মহাকাশেই হারিয়ে গিয়েছিলেন আরেক ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারী কল্পনা চাওলা (Kalpana Chawla)। মহাকাশই ছিল তাঁর স্বপ্ন। সেই মহাকাশেই অনন্ত শয্যায় শায়িত হন তিনি।
advertisement
2/8
মহাকাশে কল্পনা চাওলা ও তাঁর ছয় সঙ্গী মহাকাশচারী হারিয়ে যাওয়ার পরে ২২ বছর কেটে গেছে। সেদিন ঠিক কী হয়েছিল সে নিয়ে দফায় দফায় তদন্ত করেছে নাসা। কী জানা গিয়েছে সেই তদন্তে, জানিয়েছেন মহাকাশবিজ্ঞানীরা।
মহাকাশে কল্পনা চাওলা ও তাঁর ছয় সঙ্গী মহাকাশচারী হারিয়ে যাওয়ার পরে ২২ বছর কেটে গেছে। সেদিন ঠিক কী হয়েছিল সে নিয়ে দফায় দফায় তদন্ত করেছে নাসা। কী জানা গিয়েছে সেই তদন্তে, জানিয়েছেন মহাকাশবিজ্ঞানীরা।
advertisement
3/8
আসলে তাঁর চেনা গ্রহের বায়ুমণ্ডলই সে দিন ঘরে ফিরতে দেয়নি কল্পনা ও তাঁর সঙ্গী আরও ৬ মহাকাশচারীকে। বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে সংঘর্ষে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল ‘কলম্বিয়া’ মহাকাশযান। মহাকাশ অভিযানের সেই সব বীর, বীরাঙ্গনা শহিদকে এখনও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে নাসা। সেই দিনটির নামও দেওয়া হয়েছে ‘ডে অব রিমেমব্রান্স’।
আসলে তাঁর চেনা গ্রহের বায়ুমণ্ডলই সে দিন ঘরে ফিরতে দেয়নি কল্পনা ও তাঁর সঙ্গী আরও ৬ মহাকাশচারীকে। বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে সংঘর্ষে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল ‘কলম্বিয়া’ মহাকাশযান। মহাকাশ অভিযানের সেই সব বীর, বীরাঙ্গনা শহিদকে এখনও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে নাসা। সেই দিনটির নামও দেওয়া হয়েছে ‘ডে অব রিমেমব্রান্স’।
advertisement
4/8
কলম্বিয়ার পরেও মহাকাশ অভিযান করতে গিয়ে অনেক মহাকাশচারীকে হারিয়েছে নাসা। ৩৫ বছর আগে ভেঙে পড়েছিল নাসার মহাকাশযান ‘চ্যালেঞ্জার’। ১৯৮৬ সালে। উৎক্ষেপণের ৭৩ সেকেন্ডের মধ্যেই তা ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছিল। প্রাণ হারিয়েছিলেন ৭ মহাকাশচারী।
কলম্বিয়ার পরেও মহাকাশ অভিযান করতে গিয়ে অনেক মহাকাশচারীকে হারিয়েছে নাসা। ৩৫ বছর আগে ভেঙে পড়েছিল নাসার মহাকাশযান ‘চ্যালেঞ্জার’। ১৯৮৬ সালে। উৎক্ষেপণের ৭৩ সেকেন্ডের মধ্যেই তা ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছিল। প্রাণ হারিয়েছিলেন ৭ মহাকাশচারী।
advertisement
5/8
মহাকাশযান কলম্বিয়ার ভেঙে পড়ার ঘটনাটি ঘটেছিল ২০ বছর আগে। ২০০৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি। চ্যালেঞ্জার ভেঙে পড়ার পর মহাকাশ অভিযানের ইতিহাসে কলম্বিয়ার দুর্ঘটনাই ছিল দ্বিতীয় বৃহত্তম। এই দুর্ঘটনার পর টানা দু’বছর সব রকমের মহাকাশ অভিযান বন্ধ রেখেছিল নাসা।
মহাকাশযান কলম্বিয়ার ভেঙে পড়ার ঘটনাটি ঘটেছিল ২০ বছর আগে। ২০০৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি। চ্যালেঞ্জার ভেঙে পড়ার পর মহাকাশ অভিযানের ইতিহাসে কলম্বিয়ার দুর্ঘটনাই ছিল দ্বিতীয় বৃহত্তম। এই দুর্ঘটনার পর টানা দু’বছর সব রকমের মহাকাশ অভিযান বন্ধ রেখেছিল নাসা।
advertisement
6/8
কলম্বিয়ার বাকি যে ৬ জন মহাকাশচারী সে দিন প্রাণ হারিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন-- রিক হাসব্যান্ড, তিনিই ছিলেন মহাকাশযানের কম্যান্ডার। ছিলেন পাইলট উইলিয়াম ম্যাককুল, পে লোড কম্যান্ডার মিশেল অ্যান্ডারসন, আয়ান রামান, ডেভিড ব্রাউন ও লরেল ক্লার্ক।
কলম্বিয়ার বাকি যে ৬ জন মহাকাশচারী সে দিন প্রাণ হারিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন-- রিক হাসব্যান্ড, তিনিই ছিলেন মহাকাশযানের কম্যান্ডার। ছিলেন পাইলট উইলিয়াম ম্যাককুল, পে লোড কম্যান্ডার মিশেল অ্যান্ডারসন, আয়ান রামান, ডেভিড ব্রাউন ও লরেল ক্লার্ক।
advertisement
7/8
নাসা টেলিস্কোপে চোখ রেখে দেখেছিল, অন্ধকারের বুক চিরে ছুটে আসছে তিনটে আলোর রেখা। ঘন বাষ্প জমাট বাঁধা চাপ চাপ মেঘের মতো হয়ে আছে। তার পর সব ঝাপসা। কলম্বিয়ার সঙ্গে সব যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে যায়। ফিকে হয়ে আসা আলোর রেখা এক ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার বার্তা বয়ে আনে। রক্তজল হয়ে যায় গ্রাউন্ড স্টেশনে নাসার বিজ্ঞানীদের।
নাসা টেলিস্কোপে চোখ রেখে দেখেছিল, অন্ধকারের বুক চিরে ছুটে আসছে তিনটে আলোর রেখা। ঘন বাষ্প জমাট বাঁধা চাপ চাপ মেঘের মতো হয়ে আছে। তার পর সব ঝাপসা। কলম্বিয়ার সঙ্গে সব যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে যায়। ফিকে হয়ে আসা আলোর রেখা এক ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার বার্তা বয়ে আনে। রক্তজল হয়ে যায় গ্রাউন্ড স্টেশনে নাসার বিজ্ঞানীদের।
advertisement
8/8
২০০৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি, মহাকাশ অভিযান সেরে পৃথিবীতে ফেরার পথে মাটি থেকে প্রায় দু’লক্ষ ফুট উঁচুতেই ধ্বংস হয়ে যায় মহাকাশযান কলম্বিয়া। শেষ হয়ে যান মহাকাশ-কন্যা কল্পনা চাওলা সহ ৬ মহাকাশচারী। মৃত্যুকে চোখের সামনে দেখেছিলেন সেই অগ্নিকন্যা, প্রতি মুহূর্তে অনুভব করেছিলেন। সারা বিশ্ব কেঁপে ওঠে সেই দুর্ঘটনার খবরে। মহাকাশবিজ্ঞানকে উন্নত করার লক্ষ্যেই প্রাণ দিয়ে শহিদ হয়েছিলেন তাঁরা।
২০০৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি, মহাকাশ অভিযান সেরে পৃথিবীতে ফেরার পথে মাটি থেকে প্রায় দু’লক্ষ ফুট উঁচুতেই ধ্বংস হয়ে যায় মহাকাশযান কলম্বিয়া। শেষ হয়ে যান মহাকাশ-কন্যা কল্পনা চাওলা সহ ৬ মহাকাশচারী। মৃত্যুকে চোখের সামনে দেখেছিলেন সেই অগ্নিকন্যা, প্রতি মুহূর্তে অনুভব করেছিলেন। সারা বিশ্ব কেঁপে ওঠে সেই দুর্ঘটনার খবরে। মহাকাশবিজ্ঞানকে উন্নত করার লক্ষ্যেই প্রাণ দিয়ে শহিদ হয়েছিলেন তাঁরা।
advertisement
advertisement
advertisement