বিতর্কে প্রাচীন প্রথা , পুণ্যলাভের আশায় অপরিচিতের সঙ্গে এই পাহাড়ে মিলিত হন বিবাহিত মহিলারাও !
Last Updated:
advertisement
advertisement
♦ প্রাচীন প্রথার নামে কি ‘অনাচার’ চলছে ? ইন্দোনেশিয়ার ‘সেক্স মাউন্টেন’ নিয়ে বিতর্ক যেন থামতেই চাইছে না ৷ মুসলিম অধ্যুষিত দেশের এই প্রাচীন প্রথার পিছনে কি দেহব্যবসাকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে ? এই প্রশ্নটাও কিছু উঠে আসছে বহু বছর ধরেই ৷ নির্দিষ্ট দিনে, নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে অপরিচিত মানুষের সঙ্গে সঙ্গমের খেলায় মেতে ওঠেন স্থানীয় যুবক, যুবতীরা। সেখানে অবাধ প্রবেশ বিবাহিতদেরও। ছবি: সংগৃহীত ৷
advertisement
advertisement
♦ লোকমুখে প্রচারিত, নিজের সৎ মা নিয়াই অনজাভার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন রাজপুত্র প্যানগেরান সামোদ্রো। লোকচক্ষুর আড়ালে তাঁরা নিয়মিত মিলিত হতেন এই গুনুং কেমুকুস পাহাড়ের নীচে। রাজা সন্দেহ করলেও প্রমাণের অভাবে কাওকেই শাস্তি দিতে পারতেন না। একদিন সঙ্গমের সময় ধরা পড়ে যান দু’জনেই। রাজার আদেশে দু’জনকেই কুপিয়ে খুন করে পুঁতে দেওয়া হয় পাহাড়েরই নীচে। সেই থেকে এই পাহাড় হয়ে যায় পুণ্যভূমি। শুরু হয় নতুন রেওয়াজ। পাহাড়ের নীচে গিয়ে যৌনতায় লিপ্ত হবে অচেনা কারওর সঙ্গে। এই রীতি মেনে চললে দূর হবে সব বাধা। ছবি: সংগৃহীত ৷
advertisement
♦ প্রথমদিকে স্থানীয়দের মধ্যেই এই রীতির প্রচলন ছিল, ধীরে ধীরে সেটা সার্বিক আকার নেয়। উনিশ শতকের গোড়া থেকে গুনুঙ্গ কেমুকুসে এই রীতিকে ঘিরে শুরু হয় উৎসব। লোকের মুখে মুখে পাহাড়ের নতুন নাম ছড়িয়ে পড়ে ‘সেক্স মাউন্টেন’। দেশি-বিদেশি পর্যটকরা ভিড় জমান সেখানে। টানা ৩৫ দিন ধরে চলে মেলা। বিশ্বের নানা দেশ থেকে যৌনকর্মীরা এসে ঘাঁটি গাড়েন জাভায়। রীতিমতো পয়সা দিয়ে হয় লেনদেন। সরকারি কর্মচারী থেকে বাড়ির গৃহবধূ, এমনকি একটা সময় প্রশাসনিক কর্তাদেরও অংশ নিতে দেখা গিয়েছিল এই রীতিতে। ছবি: সংগৃহীত ৷
advertisement
♦ এই প্রাচীন রীতিকে সামনে রেখে অবাধে চলছে দেহব্যবসা ৷ জাভার এই উৎসবকে ঘিরে নানা মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে ৷ টিভি চ্যানেলের একটি ডকুমেন্টারিতে দেখানে হয়েছিল কী ভাবে রীতির নাম দিয়ে যথেচ্ছভাবে যৌনাচার হচ্ছে মাউন্ট কেমুকুসে। দেখা যায়, পর্যটকদেরও অধিকাংশই যৌনকর্মী। শুধু পুণ্য অর্জনের নেশায় নয়, বেশিরভাগই এসেছেন রোজগারের আশায়। রীতিমতো মেলা বসিয়ে চলছে দেহব্যবসা। ছবি: সংগৃহীত ৷
advertisement
♦ নানা মহল থেকে আপত্তি ওঠার পর ২০১৪ সালে সরকারি নির্দেশে এই প্রথা বন্ধ করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। তাতে তুমুল আপত্তি তোলেন স্থানীয় জাভানিজরা। কারণ তাঁদের রোজগারের অধিকাংশই আসে এই প্রথাকে কেন্দ্র করেই। পাহাড়ের আনাচ কানাচে অবৈধ ভাবে গজিয়ে ওঠে হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে অভিযোগ, প্রশাসনের নজর এড়িয়ে চোরাগোপ্তা পথে এখনও নাকি চলছে এই রেওয়াজ। ছবি: সংগৃহীত ৷