Russia Taliban: বিশ্বের প্রথম দেশ, যারা তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দিল! আমেরিকাকে পিছনে ফেলে এবার কি সুপার পাওয়ার হচ্ছে রাশিয়া?

Last Updated:
Russia Taliban: এই পদক্ষেপ এমন সময় এল যখন আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের চার বছর পর তালিবান দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয়।
1/7
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে আফগানিস্তানের তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে রাশিয়া। এই স্বীকৃতির অংশ হিসেবে তালিবান নিযুক্ত নতুন আফগান রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র গ্রহণ করেছে মস্কো।
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে আফগানিস্তানের তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে রাশিয়া। এই স্বীকৃতির অংশ হিসেবে তালিবান নিযুক্ত নতুন আফগান রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র গ্রহণ করেছে মস্কো।
advertisement
2/7
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) এক বিবৃতিতে রুশ বিদেশ মন্ত্রক এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ‘ইসলামিক প্রজাতন্ত্র আফগানিস্তান সরকারের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি আমাদের দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফলপ্রসূ দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা গড়ে তুলবে।’
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) এক বিবৃতিতে রুশ বিদেশ মন্ত্রক এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ‘ইসলামিক প্রজাতন্ত্র আফগানিস্তান সরকারের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি আমাদের দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফলপ্রসূ দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা গড়ে তুলবে।’
advertisement
3/7
এই পদক্ষেপ এমন সময় এল যখন আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের চার বছর পর তালিবান দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্বীকৃতির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এই পদক্ষেপ এমন সময় এল যখন আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের চার বছর পর তালিবান দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্বীকৃতির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
advertisement
4/7
এদিকে আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকী বৃহস্পতিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত দিমিত্রি জিরনভের সঙ্গে বৈঠকের একটি ভিডিও পোস্ট করে বলেন, ‘এই সাহসী সিদ্ধান্ত অন্যদের জন্য উদাহরণ হবে। স্বীকৃতির যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তাতে রাশিয়া সবাইকে ছাড়িয়ে যাবে।’
এদিকে আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকী বৃহস্পতিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত দিমিত্রি জিরনভের সঙ্গে বৈঠকের একটি ভিডিও পোস্ট করে বলেন, ‘এই সাহসী সিদ্ধান্ত অন্যদের জন্য উদাহরণ হবে। স্বীকৃতির যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তাতে রাশিয়া সবাইকে ছাড়িয়ে যাবে।’
advertisement
5/7
অন্যদিকে আমেরিকা তালিবান সরকারের শীর্ষ নেতাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। একই সঙ্গে আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিলিয়ন ডলারের সম্পদ ফ্রিজ করে রেখেছে। যার ফলে আফগান ব্যাংকিং খাত কার্যত আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ২০২১ সালের অগাস্টে যখন মার্কিন সেনারা আফগানিস্তান ত্যাগ করে, তালিবান গোষ্ঠী তখন আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয়।
অন্যদিকে আমেরিকা তালিবান সরকারের শীর্ষ নেতাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। একই সঙ্গে আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিলিয়ন ডলারের সম্পদ ফ্রিজ করে রেখেছে। যার ফলে আফগান ব্যাংকিং খাত কার্যত আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ২০২১ সালের অগাস্টে যখন মার্কিন সেনারা আফগানিস্তান ত্যাগ করে, তালিবান গোষ্ঠী তখন আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয়।
advertisement
6/7
রাশিয়া তখন আমেরিকার এই প্রস্থানকে ‘ব্যর্থতা’ বলে অভিহিত করে এবং এরপর থেকেই তালিবান প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নেয়। তারা তালিবানকে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক অংশীদার ও সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে মিত্র হিসেবে বিবেচনা করছে। ২০২২ ও ২০২৪ সালে রাশিয়ার অর্থনৈতিক সম্মেলনে তালিবান প্রতিনিধিরা অংশ নেয়, আর ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে তালিবানের শীর্ষ কূটনীতিক মস্কোতে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে বৈঠক করেন।
রাশিয়া তখন আমেরিকার এই প্রস্থানকে ‘ব্যর্থতা’ বলে অভিহিত করে এবং এরপর থেকেই তালিবান প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নেয়। তারা তালিবানকে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক অংশীদার ও সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে মিত্র হিসেবে বিবেচনা করছে। ২০২২ ও ২০২৪ সালে রাশিয়ার অর্থনৈতিক সম্মেলনে তালিবান প্রতিনিধিরা অংশ নেয়, আর ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে তালিবানের শীর্ষ কূটনীতিক মস্কোতে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে বৈঠক করেন।
advertisement
7/7
২০২৪ সালের জুলাইয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তালিবানকে ‘সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে মিত্র’ বলে আখ্যায়িত করেন-বিশেষ করে ইসলামিক স্টেট খোরাসান প্রদেশ (আইএসকেপি বা আইএসআইএস-কে)-এর বিরুদ্ধে, যারা আফগানিস্তান ও রাশিয়া-উভয় জায়গায় ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে।
২০২৪ সালের জুলাইয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তালিবানকে ‘সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে মিত্র’ বলে আখ্যায়িত করেন-বিশেষ করে ইসলামিক স্টেট খোরাসান প্রদেশ (আইএসকেপি বা আইএসআইএস-কে)-এর বিরুদ্ধে, যারা আফগানিস্তান ও রাশিয়া-উভয় জায়গায় ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে।
advertisement
advertisement
advertisement