Bangladesh Protests News: কাজী নজরুল ইসলামের পাশেই সমাধিস্থ করা হবে ওসমান হাদিকে! সিদ্ধান্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের! উপস্থিত থাকবেন ইউনুসও

Last Updated:
গতকাল রাতেই ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে ওসমান হাদির মরদেহ। আজ তাঁকে সমাধিস্থ করার কথা। শুক্রবার রাতে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের পাশের তাঁকে সমাধিস্থ করা হবে।
1/7
উত্তাল গোটা দেশ। কিন্তু কে এই ওসমান হাদি? যাকে নিয়ে তুমুল উন্মাদনা বাংলাদেশিদের মধ্যে। আর কেনই তিনি এতটা জনপ্রিয় তাঁর স্বল্প রাজনৈতিক জীবনে? ওসমান হাদির জন্ম বরিশালে। তাঁর বাবা মাদ্রাসার শিক্ষক। তাঁরা ৬ ভাইবোন। ওসমান ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ। মাদ্রাসা শিক্ষা শেষে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশুনা করেছেন। এ পর্যন্ত কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তিনি সরাসরি যুক্ত ছিলেন না।
গতকাল রাতেই ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে ওসমান হাদির মরদেহ। আজ তাঁকে সমাধিস্থ করার কথা। শুক্রবার রাতে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের পাশের তাঁকে সমাধিস্থ করা হবে।
advertisement
2/7
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় হাদির সক্রিয় ভূমিকা ছিল। তিনি সেখানে উপস্থিত থেকে যাবতীয় নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে বাংলাদেশের পালাবদলের পরও তিনি বিরোধিতার সুর তেমন নরম করেননি। আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের রায়, রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ-সহ একাধিক বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন। যদিও তাঁর বক্তব্যের ভাষা নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করত। কিন্তু সেসব পরোয়া করেননি হাদি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গতকাল আলোচনার পরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই নির্দিষ্ট চত্বরে একাধিক বিশিষ্ট শিক্ষক এবং ব্যক্তিকে সমাধিস্থ করা হয়েছে। এবার সেখানেই সমাহিত করা হবে হাদিকেও।
advertisement
3/7
গত এক বছরে ইনকিলাব মঞ্চ একটি রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী গোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছে। এই দল শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগকে বিলুপ্ত করতে মরিয়া। ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার চলতি বছরের মে মাসে হাসিনার আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে এবং নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ক্ষেত্রে অযোগ্য বলে জানায়।
এই প্রসঙ্গে বিবিসি বাংলা জানিয়েছে, হাদিকে নজরুলের পাশে সমাহিত করার আর্জি জানিয়েছিল তাঁর পরিবার। একইসঙ্গে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার মন্ত্রিপরিষদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের কাছ থেকেও এই বিষয়ে চিঠি পেয়েছিলেন কর্তৃপক্ষ।
advertisement
4/7
তারপর থেকেই বাংলাদেশের জুলাই বিপ্লবের পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন তিনি। মূলত হাসিনা বিরোধী হিসেবেই পরিচিতি পেতে শুরু করেন। তাঁর ভারত বিরোধিতা তাঁকে বাংলাদেশে রীতিমতো জনপ্রিয় করে দিয়েছিল।
এরপরেই এই বিষয়ে শুক্রবার একটি বৈঠক ডাকা হয়। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
advertisement
5/7
 প্রসঙ্গত, গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হন জুলাই আন্দোলনের ছাত্র নেতা হাদি। টানা ছ'দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই শেষে সিঙ্গাপুরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। এরপরেই উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ।
প্রসঙ্গত, গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হন জুলাই আন্দোলনের ছাত্র নেতা হাদি। টানা ছ'দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই শেষে সিঙ্গাপুরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। এরপরেই উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ।
advertisement
6/7
bangladesh on fire Vandalism and arson at Chhayanaut Begum Rokeya memory tarnished বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক জগতে গভীর শোক ও ক্ষোভের আবহ। বেগম রোকেয়ার স্মৃতিবিজড়িত দেশের অন্যতম প্রাচীন ও সম্মানিত সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানটের ভবনে রাতভর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লিগের কার্যালয় থেকে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র 'ছায়ানট' বিক্ষোভের আঁচে ছারখার হয়ে যায় একের পর এক স্থান।
advertisement
7/7
এবার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়েছে ছাত্রনেতা ওসমান হাদির মৃত্যুর কারণে, বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছে বাংলাদেশ। সেখানে সংখ্যালঘু যুবক দিপু দাসকে নৃশংস ভাবে মারধর করে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। ভাঙচুর চালানো হয়েছে সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো এবং দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে। বিক্ষোভকারীরা হাদির নামে স্লোগান দিচ্ছিল। সংবাদমাধ্যম রয়টার্সে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেশ কয়েকটি এলাকায় গভীর রাত পর্যন্ত উত্তেজনা ছিল, যার ফলে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের শান্তির আবেদনেও কাজ হয়নি। অগ্নিসংযোগ করা হয় বাংলাদেশের প্রথম সারির দৈনিক 'প্রথম আলো' এবং 'ডেইলি স্টারের' অফিসেও।
advertisement
advertisement
advertisement