India America Relation: ট্রাম্পের মুখে 'ঝামা ঘষে' দিলেন মোদি! ভারত-পাকিস্তান নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের গোপন প্ল্যানিং-কে দেখালেন বুড়ো আঙুল
- Published by:Pooja Basu
- news18 bangla
Last Updated:
Narendra Modi-Donald Trump: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওয়াশিংটনে যাত্রাবিরতির সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তার সাথে দেখা করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, যা প্রধানমন্ত্রী মোদী প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। এই সিদ্ধান্তের পিছনে কেবল ব্যবসায়িক কারণই ছিল না, বরং গভীর রাজনৈতিক বোঝাপড়া এবং সতর্কতাও লুকিয়ে ছিল।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন বিশ্ব নেতাদের সাথে দেখা করতে G7-তে গিয়েছিলেন, তখন মার্কিন রাষ্ট্রপতি মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনার কথা উল্লেখ করে সেখান থেকে ফিরে আসেন। পরে ট্রাম্প এবং প্রধানমন্ত্রী মোদী ফোনে কথা বলেন। ফিরে আসার সময় ট্রাম্প প্রধানমন্ত্রী মোদিকে হোয়াইট হাউস হয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি চাইলে প্রধানমন্ত্রী মোদি কানাডা থেকে কিছুটা সময় ছুটি নিয়ে ওয়াশিংটন যেতে পারতেন, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তা করতে অস্বীকার করেন।
advertisement
এইভাবে, মার্কিন রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে এক অদ্ভুত রাজনৈতিক পরিস্থিতি এড়ানো গেল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওয়াশিংটনে যাত্রাবিরতির সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তার সাথে দেখা করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, যা প্রধানমন্ত্রী মোদী প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। এই সিদ্ধান্তের পিছনে কেবল ব্যবসায়িক কারণই ছিল না, বরং গভীর রাজনৈতিক বোঝাপড়া এবং সতর্কতাও লুকিয়ে ছিল।
advertisement
এর মূল কারণ ছিল প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান। আসলে, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান অসীম মুনীর একই দিনে ট্রাম্পের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ করার কথা ছিল। প্রধানমন্ত্রী মোদি ভারত এবং পাকিস্তান উভয়কেই এক মঞ্চে সহ্য করতে পারেন না। যদি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী এবং অসীম মুনির একই দিনে এবং একই সময়ে হোয়াইট হাউসে থাকতেন, তাহলে ভারতের বিদেশনীতির উপর এর প্রভাব পড়ার কথা ছিল।
advertisement
এই ঘটনাটি তখনই প্রকাশ্যে আসে যখন হোয়াইট হাউস ঘোষণা করে যে ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার দুপুর ১টায় হোয়াইট হাউসের ক্যাবিনেট রুমে পাকিস্তানি সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল অসীম মুনিরকে মধ্যাহ্নভোজে আমন্ত্রণ জানাবেন। পাকিস্তানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তার সাথে মার্কিন রাষ্ট্রপতির এই আনুষ্ঠানিক বৈঠকটি অবশ্যই একটি রাজনৈতিক বার্তা ছিল। এমন পরিস্থিতিতে, যদি প্রধানমন্ত্রী মোদীও একই দিনে ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের সাথে দেখা করেন, তাহলে উভয় বৈঠক একই দিনে হত। এটি রাজনৈতিকভাবে অসুবিধাজনক পরিস্থিতি হত। ট্রাম্প ভারতের জন্য এমন পরিস্থিতি তৈরি করে অতিরিক্ত স্মার্ট হওয়ার চেষ্টা করছিলেন, যা ভারত সময়মতো টের পেয়েছিল।
advertisement
প্রধানমন্ত্রী মোদী ট্রাম্পের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করে তার পূর্বনির্ধারিত ক্রোয়েশিয়া সফরকে অগ্রাধিকার দেন এবং মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে কানাডা ত্যাগ করেন। সুতরাং, প্রধানমন্ত্রী মোদী আমেরিকায় আসলেও বুধবার মধ্যরাতের পরে তিনি ওয়াশিংটনে পৌঁছাতেন। এই সিদ্ধান্ত স্পষ্টভাবে দেখায় যে ভারত ইচ্ছাকৃতভাবে এমন একটি পরিস্থিতি এড়াতে চেয়েছিল যেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এবং পাকিস্তানের সেনাপ্রধান উভয়ই একই দিনে প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতির সাথে দেখা করার সুযোগ পেতেন।
advertisement
এই রাজনৈতিক সতর্কতা ভারতের বিদেশ নীতির পরিপক্কতাকে প্রতিফলিত করে, যেখানে সম্পর্কের জটিলতা এবং সংবেদনশীলতা বুঝতে পেরে কৌশলগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই চতুর নীতি ভারতকে এমন একটি রাজনৈতিক মুহূর্ত থেকে রক্ষা করেছে যা দ্বিমুখী সংলাপের পরিবর্তে অনেক ভুল বোঝাবুঝি এবং জল্পনা-কল্পনার জন্ম দিতে পারত।
advertisement
অবশেষে, হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং আসিম মুনিরের মধ্যাহ্নভোজের খবর ভারতের এই সিদ্ধান্তের প্রয়োজনীয়তাকে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। একদিকে প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতির সাথে পাকিস্তানের সামরিক প্রধানের বৈঠক একটি বার্তা ছিল, অন্যদিকে এই সময়কালে মোদীর দূরত্ব বজায় রাখা ভারতের বিদেশ নীতির প্রজ্ঞা এবং জাতীয় স্বার্থ রক্ষার একটি উদাহরণ।