Kalpana Chawla Death Anniversary: ১৯ বছর পেরিয়ে গেল, মহাকাশ গবেষণার সংজ্ঞা বদলে দেওয়া কল্পনা চাওলার মৃত্যুদিন আজ

Last Updated:
Kalpana Chawla Death Anniversary: ১৯ বছর আগের সেই মর্মান্তিক ঘটনা। মানুষ কিন্তু কল্পনা চাওলাকে আজও ভোলেননি, ভুলবেও না।
1/6
১৯ বছর আগে আজকের দিনে একটি ভয়াবহ মহাকাশ দুর্ঘটনা ঘটেছিল।  সেই ঘটনা সমগ্র বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। ১লা ফেব্রুয়ারী ২০০৩-এ আমেরিকান স্পেস এজেন্সি নাসার স্পেস শাটল কলম্বিয়া পৃথিবীতে ফিরে আসার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। তাতে সাতজন নভোচর নিহত হন। ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারী কল্পনা চাওলাও ওই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। ভারত সহ সারা বিশ্বের মহিলাদের আইকন ছিলেন কল্পনা। ওই দুর্ঘটনা নাসাকে কাজ করার পদ্ধতি পরিবর্তন করতে বাধ্য করেছিল।
১৯ বছর আগে আজকের দিনে একটি ভয়াবহ মহাকাশ দুর্ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনা সমগ্র বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। ১লা ফেব্রুয়ারী ২০০৩-এ আমেরিকান স্পেস এজেন্সি নাসার স্পেস শাটল কলম্বিয়া পৃথিবীতে ফিরে আসার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। তাতে সাতজন নভোচর নিহত হন। ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারী কল্পনা চাওলাও ওই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। ভারত সহ সারা বিশ্বের মহিলাদের আইকন ছিলেন কল্পনা। ওই দুর্ঘটনা নাসাকে কাজ করার পদ্ধতি পরিবর্তন করতে বাধ্য করেছিল।
advertisement
2/6
এই দুর্ঘটনায় নিহত মহাকাশচারীদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিলেন কল্পনা চাওলা। ভারতীয় বংশোদ্ভূত কল্পনা ১৯৬২ সালের ১৭ মার্চ হরিয়ানার কারনাল জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঠাকুর বাল নিকেতনে প্রাথমিক পড়াশোনা করেন। এর পর চণ্ডীগড় থেকে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং করেন এবং ১৯৮৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরও পড়াশোনা করেন। তিনি ১৯৯৫ সালের মার্চ মাসে NASA মহাকাশচারী কর্পস দলে অন্তর্ভুক্ত হন এবং ১৯৯৭ সালে প্রথম মহাকাশ ফ্লাইটের জন্য নির্বাচিত হন।
এই দুর্ঘটনায় নিহত মহাকাশচারীদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিলেন কল্পনা চাওলা। ভারতীয় বংশোদ্ভূত কল্পনা ১৯৬২ সালের ১৭ মার্চ হরিয়ানার কারনাল জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঠাকুর বাল নিকেতনে প্রাথমিক পড়াশোনা করেন। এর পর চণ্ডীগড় থেকে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং করেন এবং ১৯৮৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরও পড়াশোনা করেন। তিনি ১৯৯৫ সালের মার্চ মাসে NASA মহাকাশচারী কর্পস দলে অন্তর্ভুক্ত হন এবং ১৯৯৭ সালে প্রথম মহাকাশ ফ্লাইটের জন্য নির্বাচিত হন।
advertisement
3/6
কলম্বিয়া ফ্লাইটটি কল্পনা চাওলার প্রথম মহাকাশ অভিযান ছিল না। এর আগে ১৯৯৭ সালে প্রথম  মহাকাশ যাত্রার সময় তিনি মহাকাশে ৩৭২ ঘন্টা কাটিয়েছিলেন। তাঁর দ্বিতীয় মহাকাশ যাত্রা ১৬ জানুয়ারী ২০০৩- এ শুরু হয়েছিল। কিন্তু মহাকাশযানটি ১লা ফেব্রুয়ারী ২০০৩-এ পৃথিবীতে ফিরে আসার সময় হঠাৎ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এই দুর্ঘটনায় কল্পনা চাওলা সহ আরও ছজন মহাকাশচারী মারা যান।
কলম্বিয়া ফ্লাইটটি কল্পনা চাওলার প্রথম মহাকাশ অভিযান ছিল না। এর আগে ১৯৯৭ সালে প্রথম মহাকাশ যাত্রার সময় তিনি মহাকাশে ৩৭২ ঘন্টা কাটিয়েছিলেন। তাঁর দ্বিতীয় মহাকাশ যাত্রা ১৬ জানুয়ারী ২০০৩- এ শুরু হয়েছিল। কিন্তু মহাকাশযানটি ১লা ফেব্রুয়ারী ২০০৩-এ পৃথিবীতে ফিরে আসার সময় হঠাৎ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এই দুর্ঘটনায় কল্পনা চাওলা সহ আরও ছজন মহাকাশচারী মারা যান।
advertisement
4/6
কল্পনা চাওলাকে জানতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন বহূ মানুষ। বললে ভুল হবে না, ওই দুর্ঘটনাই দেখিয়ে দিয়েছিল, তিনি কতটা জনপ্রিয় ছিলেন। তিনি ভারত, আমেরিকা সহ বিশ্বের মেয়েদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে ওঠেন। তাঁর জনপ্রিয়তার পরিপ্রেক্ষিতে NASA তার একটি সুপার কম্পিউটারের নামকরণ করেছে কল্পনা চাওলা। বিশ্বের অনেক স্কলারশিপ প্রোগ্রাম এবং ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞান শাখার নাম কল্পনা চাওলার নামে রাখা হয়েছে।
কল্পনা চাওলাকে জানতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন বহূ মানুষ। বললে ভুল হবে না, ওই দুর্ঘটনাই দেখিয়ে দিয়েছিল, তিনি কতটা জনপ্রিয় ছিলেন। তিনি ভারত, আমেরিকা সহ বিশ্বের মেয়েদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে ওঠেন। তাঁর জনপ্রিয়তার পরিপ্রেক্ষিতে NASA তার একটি সুপার কম্পিউটারের নামকরণ করেছে কল্পনা চাওলা। বিশ্বের অনেক স্কলারশিপ প্রোগ্রাম এবং ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞান শাখার নাম কল্পনা চাওলার নামে রাখা হয়েছে।
advertisement
5/6
ওই দুর্ঘটনার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছিল নাসার ওপর। ১৯৮৬ সালে চ্যালেঞ্জারের পর এটি ছিল আমেরিকার দ্বিতীয় স্পেস শাটল দুর্ঘটনা। এর পর আমেরিকা থেকে মহাকাশে নভোচরদের পাঠানো বন্ধ হয়ে যায়। কলম্বিয়া দুর্ঘটনার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে কোনো স্পেস শাটল ফ্লাইট চালানো হয়নি। তার পর নাসাকেও তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অনেক পরিবর্তন আনতে হয়েছে।
ওই দুর্ঘটনার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছিল নাসার ওপর। ১৯৮৬ সালে চ্যালেঞ্জারের পর এটি ছিল আমেরিকার দ্বিতীয় স্পেস শাটল দুর্ঘটনা। এর পর আমেরিকা থেকে মহাকাশে নভোচরদের পাঠানো বন্ধ হয়ে যায়। কলম্বিয়া দুর্ঘটনার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে কোনো স্পেস শাটল ফ্লাইট চালানো হয়নি। তার পর নাসাকেও তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অনেক পরিবর্তন আনতে হয়েছে।
advertisement
6/6
কলম্বিয়া স্পেস শাটল ২০০৬ সালে আবার চালু করা হয়েছিল। কিন্তু তার আগে ২৬ জুলাই, ২০০৫-এ স্পেস শাটল ডিসকভারির মাধ্যমে সাতজন আমেরিকান যাত্রীকে মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল। এর পর ২০০৭ সালে স্পেস শাটল অ্যান্ডোভার এবং ২০১১ সালে স্পেস শাটল আটলান্টিসের মাধ্যমে যাত্রীদের মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল। আটলান্টিস ছিল মার্কিন মাটি থেকে মহাকাশে নাসার পাঠানো সর্বশেষ ক্রু যুক্ত যান। এরপর থেকে রাশিয়ান সুয়োজ রকেটে করে মার্কিন মহাকাশচারীদের আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) পাঠানো হয়েছে।
কলম্বিয়া স্পেস শাটল ২০০৬ সালে আবার চালু করা হয়েছিল। কিন্তু তার আগে ২৬ জুলাই, ২০০৫-এ স্পেস শাটল ডিসকভারির মাধ্যমে সাতজন আমেরিকান যাত্রীকে মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল। এর পর ২০০৭ সালে স্পেস শাটল অ্যান্ডোভার এবং ২০১১ সালে স্পেস শাটল আটলান্টিসের মাধ্যমে যাত্রীদের মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল। আটলান্টিস ছিল মার্কিন মাটি থেকে মহাকাশে নাসার পাঠানো সর্বশেষ ক্রু যুক্ত যান। এরপর থেকে রাশিয়ান সুয়োজ রকেটে করে মার্কিন মহাকাশচারীদের আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) পাঠানো হয়েছে।
advertisement
advertisement
advertisement