৪০ বছর বয়সী মার্লিন শুধু মন্ত্রীই নন, এর পাশাপাশি তিনি লেখিকাও বটে! ২৮টির বেশি উপন্যাস ও প্রবন্ধ ইতিমধ্যেই লিখেছেন। ফ্রান্সে নারীবাদী হিসেবে পরিচিত দুই কন্যার মা মার্লিন। এমনকী হামেশাই এই বিষয়ের উপর লেখালিখি করতে দেখা যায় তাঁকে। ফলে বিতর্কও হয় তীব্র। আবার যাঁদের ওজন বেশি, তাঁদের জন্য যৌন টিপস সংক্রান্ত বই লিখেও তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন মার্লিন।
ফলে বিতর্ক তাঁর জন্য নতুন কিছুই নয়। তবে প্লেবয়-বিতর্ক যেন থামার নামই নিচ্ছে না! গোটা বিশ্বেই নিন্দার মুখে পড়েছেন তিনি। এক জন মন্ত্রী হিসেবে মার্লিন অত্যন্ত খারাপ দৃষ্টান্ত গড়ছেন বলে অভিযোগ উঠছে। আবার অনেকেরই দাবি, নিশ্চয়ই মোটা টাকার বিনিময়ে এই কাজ করেছেন তিনি। কারণ শোনা যায় যে, ‘প্লেবয়’ ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে কোনও সেলিব্রিটি অথবা মডেলকে নেওয়া হলে তাঁকে প্রচুর অর্থ দেওয়া হয়ে থাকে!
বিতর্ক যা-ই থাকুক না কেন, সুন্দরী, স্মার্ট, সাহসী ও স্পষ্টবাদী মন্ত্রীর ভক্তসংখ্যাও নেহাত কম নয়! এমনকী অনেকেই মনে করেন যে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁর অত্যন্ত প্রিয়পাত্রী মার্লিন। এই কারণেই সেই ২০১৭ সাল থেকে ফ্রান্সের মন্ত্রিত্বের পদ সামলাচ্ছেন মার্লিন। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ২০১৫ সালের একটি অনুষ্ঠানে ইমানুয়েল মাকরঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন মার্লিন। সেখানে দেশের প্রেসিডেন্টকে নিজের লেখা একটি বই উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন। এর মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যেই মাকরঁ তাঁকে আর একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান। অবশ্য তার আগেই মার্লিন রাজনীতির ময়দানে পদার্পণ করেছিলেন। ২০১৪ সালে তিনি ডেপুটি মেয়র পদ অর্জন করেন।
তবে মার্লিন কিন্তু নিজের কর্মজীবন শুরু করেছিলেন একটি বিজ্ঞাপন সংস্থার মাধ্যমে। চাকরির পাশাপাশি পড়াশোনাও চালিয়ে যেতেন। একই সঙ্গে নিজের অনলাইন পত্রিকা চালু করেছিলেন। নারীবাদী মতামত নিয়ে ব্লগ লিখতে শুরু করেন। এর পর লেখালিখিতে মনোনিবেশ করার জন্য চাকরি ছাড়েন। মাত্র ১৯ বছর বয়সে প্রথম বিয়ে করেন। কিন্তু তা বেশি দিন টেকেনি। এর পর আবার ২০০৬ সালে বিয়ে করেন তিনি। দুই কন্যাসন্তান রয়েছে তাঁর।