India-China-America: ভারতের সঙ্গে চিনের মাখামাখি আটকাতে মরিয়া আমেরিকা, ট্রাম্প কার্ড খেললেন খোদ ট্রাম্প, খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিলেন
- Published by:Pooja Basu
- news18 bangla
Last Updated:
আমেরিকা তার সিদ্ধান্ত নিয়ে পুরো বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছে। আমেরিকা একই দিনে দুটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা চিন এবং পাকিস্তান উভয়কেই খুশি করেছে।
advertisement
advertisement
হ্যাঁ, সোমবার আমেরিকা চিনকে দুটি স্বস্তি দিয়েছে। প্রথম স্বস্তি হল আমেরিকা BLA অর্থাৎ বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (BLA) নিষিদ্ধ করেছে এবং এটিকে একটি জঙ্গি সংগঠন ঘোষণা করেছে। এটি একই BLA যা বছরের পর বছর ধরে চিন এবং পাকিস্তান উভয়ের জন্যই মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্বিতীয় স্বস্তি হল চিন আমদানির উপর শুল্কের সময়সীমা ৯০ দিনের জন্য বাড়ানো হয়েছে। এখন প্রশ্ন হল কেন আমেরিকা তার সবচেয়ে বড় শত্রুর প্রতি এত সদয় হচ্ছে?
advertisement
প্রথম সুখবর হল, আমেরিকা পাকিস্তান-ভিত্তিক বিএলএ অর্থাৎ বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি এবং এর সহযোগী মাজিদ ব্রিগেডকে বিদেশী জঙ্গি সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে। পাকিস্তানের দৃষ্টিতে বিএলএ একটি জঙ্গি সংগঠন। যদিও তারা তাদের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছে। তারা একটি স্বাধীন বেলুচিস্তানের দাবি করে আসছে। বিএলএ বেলুচিস্তানের সম্পদের উপর স্থানীয় নিয়ন্ত্রণের পক্ষে। এই কারণেই তারা পাকিস্তানের জন্য একটি কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু আসিম মুনিরের সফরের সময় আমেরিকা পাকিস্তানের মাথাব্যথা কমিয়ে দিয়েছে।
advertisement
এই সংগঠনটি কেবল পাকিস্তানের জন্যই নয়, চিনের জন্যও হুমকি, কারণ বেলুচিস্তানে চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (CPEC) এর মতো উচ্চাভিলাষী প্রকল্প চলছে। BLA বহুবার চিনা কর্মী এবং CPEC সম্পর্কিত প্রকল্পগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। এতে বেইজিংয়ের উদ্বেগ বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, আমেরিকা BLA কে জঙ্গি সংগঠন ঘোষণা করে এবং এর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে পরোক্ষভাবে চিনকে স্বস্তি দিয়েছে। BLA বেলুচিস্তানে চীনা বিনিয়োগের বিরোধিতা করে আসছে। এছাড়াও, BLA পাকিস্তান যেভাবে বেলুচিস্তানে চীনকে নিয়ন্ত্রণ দিচ্ছে তার বিরুদ্ধে।
advertisement
দ্বিতীয় সুখবর হল, ট্রাম্প চিনের উপর শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা আরও ৯০ দিনের জন্য বাড়িয়েছেন। এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আমেরিকা চিনকে শুল্ক আরোপের ক্ষেত্রে ছাড় দিল। ট্রাম্প যদি এই সময়সীমা না বাড়াতেন, তাহলে চিনের উপর ১৪৫% পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হত। এর ফলে বাণিজ্য ও শুল্ক যুদ্ধ আরও ভয়াবহ হয়ে উঠত। এর ফলে চিন অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হত। তবে আমেরিকাও এতে কম সমস্যায় পড়ত না। তার জনগণকেও উচ্চ শুল্কের মূল্য দিতে হত। বর্তমানে চিনের উপর ৩০% শুল্ক আরোপ করা হয়। চিনও এই সুসংবাদের প্রতিদান দিয়েছে। চিন আমেরিকা থেকে অতিরিক্ত ২৪% শুল্কও তুলে নিয়েছে।
advertisement
এখন প্রশ্ন হল ট্রাম্প কেন চিনের প্রতি এত সদয়? আমেরিকা প্রতিটি সিদ্ধান্তে তার লাভ-ক্ষতির দিকে নজর রাখে। বাধ্য হয়েই তারা চিনের প্রতিও সদয় হয়েছে। ট্রাম্প যদি ইউ-টার্ন না নিতেন, তাহলে আমেরিকার পরিবেশ আরও উত্তপ্ত হতে পারত। আমেরিকা চিনের উপর শুল্কের সময়সীমা ৯০ দিনের জন্য বাড়িয়েছে কারণ বড়দিনের সময় প্রচুর কেনাকাটা হয়। পোশাক এবং খেলনার মতো চিনা পণ্য সস্তা। এই কারণেই এগুলো খুবই জনপ্রিয়। শুল্ক বৃদ্ধি করলে দাম বেড়ে যেত। এতে আমেরিকান গ্রাহকরা ক্ষুব্ধ হতে পারত এবং ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের আশঙ্কা ছিল। আরেকটি কারণ হল আমেরিকা চিনের সঙ্গে খুব বেশি সংঘাত চায় না। কারণ তারা রাশিয়া, ভারত এবং চিনের ত্রয়ী ভেঙে ফেলার চেষ্টা করছে।