Bangladesh Army: 'প্রস্তুত থাকুন...', ইরানে আমেরিকার আক্রমণের পরই নৌবাহিনীকে বিরাট বার্তা বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের! কেন? কী এমন ঘটল? ভারতের জন্য কতটা চিন্তার!

ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি। রবিবারই শেষমেশ ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়ে ইরানের ৩ পরমাণু কেন্দ্রে জোরদার হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। ইরানের এসফাহান, ফরডো, নাতানজের পরমাণু কেন্দ্রে বিধ্বংসী হানা চালিয়েছে মার্কিন সেনার বিমান। এদিকে, ঘটনার পরই ইরানের শীর্ষ নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেইয়ের ঘনিষ্ঠ হুসেন শারিয়াতমাদরি পাল্টা তোপ দেগেছেন আমেরিকাকে লক্ষ্য করে। হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, আমেরিকাকে দেখে নেওয়ার। এবার এরই মধ্যে বিশেষ বার্তা দিলেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নবীন কর্মকর্তাদের সবসময় প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন সে দেশের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি বলেন, সততা, শৃঙ্খলা ও আত্মত্যাগের চেতনায় বলীয়ান হয়ে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নবীন কর্মকর্তাদের সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে।

রবিবার চট্টগ্রাম নেভাল একাডেমিতে আয়োজিত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর গ্রীষ্মকালীন রাষ্ট্রপতির কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ওয়াকার-উজ-জামান। সেখানেই এমন বার্তা দেন সেনাপ্রধান। সেনাপ্রধান বলেন, ''বাংলাদেশ নৌবাহিনী অত্যন্ত সুসজ্জিত একটি বাহিনী। দেশের সমুদ্রসীমার সার্বভৌমত্ব রক্ষা, সমুদ্র সম্পদের সুরক্ষা, সমুদ্রে অপরাধ দমন ও সুশাসন নিশ্চিত করতে নৌবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।''

কুচকাওয়াজের শুরুতে সেনাপ্রধান জিপে চড়ে প্যারেড পরিদর্শন করেন এবং এরপর নবীন কর্মকর্তাদের আটটি প্লাটুন তাকে অভিবাদন জানায়। দীর্ঘ প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষণে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন সেনাবাহিনী প্রধান। অনুষ্ঠানে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তা, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা ও নবীন কর্মকর্তাদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা- ফরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহানে ১৩ হাজার কেজি ওজনের জিবিইউ-৫৭ ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর বোমা হামলা করেছে আমেরিকা। ইরানে আমেরিকার এই হামলার প্রভাবে বাংলাদেশের শেয়ার বাজারে ধস নেমেছে।

রবিবার বাংলাদেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ফলে সবকটি মূল্য সূচকের বড় পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে দেখা দিয়েছে লেনদেন খরা। ডিএসইতে লেনদেন কমে ৩০০ কোটি টাকার নীচে চলে এসেছে।

এ বিষয়ে ডিএসই’র এক সদস্য বলেন, ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের মধ্যে আমেরিকা জড়িয়ে গেছে। ফলে এই যুদ্ধ আরও ব্যাপক আকার ধারণ করতে পারে বলে ধারণা তৈরি হয়েছে। এতে সবার মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। এই আতঙ্কের জেরেই বাজারে মাত্রাতিরিক্ত বিক্রির চাপ সৃষ্টি হয়। তার ফলেই এমন দরপতন হয়েছে।