America Vs Iran: ডাহা ফেল আমেরিকা! ইরানের ফর্দোতে বিধ্বংসী হামলা, কিন্তু ফল মিলল না ১ শতাংশও? ইরান যা জানাল, ঘুম উড়ে গেল ট্রাম্পের! সৌদিও যা বলল, ইরানের বিরাট সাফল্য!
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
Last Updated:
America Vs Iran: ইরানের কিউম শহরে দুর্গম পাহাড়ি এলাকার মধ্যে মাটির নীচে লুকিয়ে রাখা ফোরডো পরমাণু কেন্দ্র৷ এই ফোরডো-ই ছিল ইরানের বৃহত্তম পরমাণু কেন্দ্র৷ ফোরডো-র এই পরমাণু কেন্দ্রে আঘাত করার মতো ক্ষেপনাস্ত্র বা বোমা ইজরায়েলের হাতে ছিল না৷
ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে আমেরিকার হামলার কথা স্বীকার করে নিল ইরানের অ্যাটমিক এনার্জি অর্গানাইজেশন। যদিও তাতে ইরানের বিশেষ ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলেই জানানো হয়েছে। একটি বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘শত্রুদের সব ষড়যন্ত্রের মাঝেও আমরা ইরানি জাতিকে আশ্বস্ত করে বলতে চাই, হাজার হাজার বিপ্লবী ও উৎসাহী বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞের প্রচেষ্টায় গড়ে তোলা এই কর্মসূচির অগ্রগতিকে থামানো যাবে না। আমাদের পরমাণু কর্মসূচি অনেক শহিদের রক্তে গড়া, তা এগিয়ে যাবে।’
advertisement
advertisement
রবিবার ভোরে ইরানের তিনটি পরমাণুকেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। ফোর্দো, ইসফাহান এবং নাতাঞ্জে আমেরিকার হামলার পর কোনও তেজস্ক্রিয় বিকিরণ হচ্ছে না বলে দাবি তেহরানের। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘এই জায়গাগুলির আশপাশে যাঁরা থাকেন, তাঁদের ক্ষতির আশঙ্কা নেই।’’ এর আগে ইজরায়েলও ইরানের পরমাণুকেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল। সে বারও তেজস্ক্রিয় বিকিরণ হয়নি বলেই জানানো হয়েছিল ইরানের তরফে।
advertisement
ইরানের কিউম শহরে দুর্গম পাহাড়ি এলাকার মধ্যে মাটির নীচে লুকিয়ে রাখা ফোরডো পরমাণু কেন্দ্র৷ এই ফোরডো-ই ছিল ইরানের বৃহত্তম পরমাণু কেন্দ্র৷ ফোরডো-র এই পরমাণু কেন্দ্রে আঘাত করার মতো ক্ষেপনাস্ত্র বা বোমা ইজরায়েলের হাতে ছিল না৷ সেই কারণে ফোরডো-কে ধ্বংস করার জন্য আমেরিকার সাহায্য চেয়েছিল ইজরায়েল৷ সেই আবেদনে সাড়া দিয়েই নিজেদের হাতে থাকা GBU 57 A/B Bunker Buster বোমা দিয়ে ইরানের এই গোপন পরমাণু কেন্দ্রে হামলা করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ হামলার পর ট্রাম্প নিজেই জানিয়েছেন, ইরানের সব পরমাণু কেন্দ্রই মুছে ফেলা হয়েছে৷ কিন্তু ইরান যা জানাল, তাতে আমেরিকার চিন্তা কয়েকগুণ বাড়ল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
পরমাণু ইস্যুতে ওয়াশিংটন-তেহরান পরোক্ষ আলোচনার মধ্যেই ইরানে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে ইজরাইল। দেশটির দাবি, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে যা তাদের দেশের ‘অস্তিত্বের হুমকি’ তৈরি করবে। কিন্তু ইরানের এই পরমাণু গবেষণাকেন্দ্রের মূল কক্ষগুলো মাটির নিচে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ মিটার (প্রায় ২৬০ থেকে ৩০০ ফুট) গভীরে। এত গভীরে এর অবস্থান হওয়ায় ইজরায়েলের যে কোনও বিমান থেকে সেখানে বোমা দিয়ে ধ্বংস করা প্রায় অসম্ভব।
advertisement
ইজরায়েলের হামলায় ইরানের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন কমান্ডার নিহত হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে কিছু বিশ্লেষক মনে করছেন, ফরদোতে ইরান তাড়াহুড়া করে মজুদকৃত ইউরেনিয়াম থেকে পারমাণবিক বোমা বানানোর চেষ্টা করতে পারে। ইজরায়েল এই কেন্দ্র লক্ষ্য করে সম্প্রতি হামলা চালালেও আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার মতে, তারা এখন পর্যন্ত এই স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারেনি, নয়তো এমন ইচ্ছা প্রকাশ করেনি।
advertisement
advertisement
সম্প্রতি প্রকাশিত আইএইএর প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ইরান ফরদো স্থাপনায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের উৎপাদন ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়েছে। সেখানে বর্তমানে ২ হাজার ৭০০টি সেন্ট্রিফিউজ রয়েছে বলে আইএইএ ও বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন। আইএইএ গত ৩১ মে দাবি করেছে, ‘ইরান একমাত্র পারমাণবিক অস্ত্রবিহীন দেশ, যারা এত বেশি পরিমাণে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করে খুব বড় উদ্বেগ তৈরি করেছে।’
advertisement
আইএসআইএস নামের একটি চিন্তক প্রতিষ্ঠান বলছে, ইরান ফরদো পারমাণবিক স্থাপনায় মাত্র তিন সপ্তাহে ২৩৩ কেজি অস্ত্রমান ইউরেনিয়াম তৈরি করতে পারে, যা ৯টি পারমাণবিক বোমার জন্য যথেষ্ট। ইজরায়েলের মার্কিন দূত ইয়েচিয়েল লেইটার আমেরিকাকে কিছুটা উসকে দিয়েছিলেন। তাঁর ভাষ্য হচ্ছে, ফরদোতে আকাশ থেকে বোমা মারার মতো শক্তিশালী বোমা শুধু যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আছে। এ সিদ্ধান্ত নিতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকেই, তারা এ কাজ করবে কি না।’ সেই সিদ্ধান্ত অবশেষে নিল আমেরিকা। কিন্তু ফল মিলল কি? ইরান বলছে, হামলা চালিয়েও তাঁদের পারমাণবিক শক্তির কোনও ক্ষতিই করতে পারেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প।