

ভারতের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের সঙ্গে কোনওরকম সমঝোতা করবে না -চিনকে স্পষ্ট ভাষায় ফের একবার এই বার্তা দিল ভারত৷ পঞ্চম পর্বে সেনা বার্তায় চিনের পিএলএ-র উত্তর দিতে গিয়ে এই কথা জানিয়েছে ভারত৷ এর পাশাপাশি ভারত এই স্পষ্ট করে দিয়েছে প্যাংগং লেক আর পূর্ব লাদাখের বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে সেনা পিছিয়ে নেওয়ার কাজ যেন শুরু হয়৷ সোমবার দিনই এই মহা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কে খবর দিয়েছে ওয়াকিবহাল মহল৷ ভারত ও চিন সেনার সিনিয়র আধিকারিকরা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সেনা মোতায়েনের মতো বিষয় নিয়ে বৈঠক করে৷ এই বৈঠকে ১১ ঘণ্টার আলোচনা হয়৷ যার মাধ্যমে দু পক্ষের মধ্যে রফাসূত্র বার করার ওপর জোর দেওয়া হয়৷ Photo- File


ঘটনাক্রমের সঙ্গে যুক্ত ভারতীয় প্রতিনিধদল এত বড় আলোচনায় নিজেদের অবস্থান একেবারে পরিষ্কার করে দেয়৷ কড়াভাবে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে ভারতীয় দল বলেছে যে ভারত-চিন ২ পক্ষের সম্পর্ক সঠিক রাখার জন্য পূর্ব লাদাখ সেক্টরে সীমান্তে সেনা কীভাবে মোতায়েন হবে তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ চিনা সেনাবাহিনীকে নিজেদের সীমান্তের শেষ বিন্দু অবধি পিছিয়ে নিয়ে যেতে হবে৷ তারা স্পষ্ট করে দেন ভারতের সেনাবাহিনী কোনও অবস্থাতেই নিজের দেশের এক বিন্দু জমিও ছাড়বে না৷Photo- File


গলওয়ান ও আরও কয়েকটি এলাকা থেকে চিন সেনা সরালেও এখনও বেশ কিছু জায়গায় নিজেদের সেনাদের অবস্থান অপরিবর্তিত রেখেছে চিন৷ প্যাংগং , ফিঙ্গর ফোর ও আট ক্ষেত্রে নিজেদের শক্তিবৃদ্ধি করছে চিন৷ পার্বত্য এলাকার বিভিন্ন কোণকে ফিঙ্গর বলে বলা হয়৷ চিন গোগরা ক্ষেত্রে এখনও নিজেদের সেনা পুরোপুরি ফিরিয়ে নেয়নি৷ সূত্রের খবর অনুযায়ী রবিবারের এই মেগা মিটিংয়ের অ্যাজেন্ডাই ছিল নিজেদের দেশের শেষ সীমান্ত বিন্দুতে সেনা পিছিয়ে নিয়ে যাওয়া৷ এই বৈঠকে সেনা শীর্ষাধিকারিক ও রাজনৈতিক বরিষ্ঠ নেতাদের মত নিয়ে আলোচনা হয়৷Photo- File


সেনা প্রধান জেনারেল এমএম নরবনে সোমবার সকালে এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তৃতভাবে জানিয়েছেন৷ সমস্ত সিনিয়র সেনাআধিকারিকদের সঙ্গে পূর্ব লাদাখের সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে সেখানে আলোচনা হয়েছে ৷ রাষ্ট্রীয় সুরক্ষাবিষয়ক পরামর্শদাতা অজিত ডোভাল আর বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মধ্যেও বৈঠক হয়৷ সীমান্ত সমস্যা, সেনা মোতায়েন, নয়া রণনীতি স্থির করার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে সেখানে আলোচনা হয়৷ Photo- File