

লাদাখ সীমান্তে ক্রমশই গতিবিধি বাড়ছে চিনা সেনার হেলিকপ্টারের৷ এই পরিস্থিতিতে পাল্টা এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সহ বাহিনীকে লাদাখ সীমান্তে মোতায়েন করল৷ সংবাদসংস্থা এএনআই-এর রিপোর্টে এমনই দাবি করা হয়েছে৷ PHOTO- Representative/facebook


কাঁধে নিয়ে নিক্ষেপ করা যায়, এরকম এয়ার ডিফেন্স মিসাইল আপাতত লাদাখে পাঠানো হয়েছে৷ সেনা সূত্রকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, 'লাদাখের গুরুত্বপূর্ণ পাহাড় চূড়ো এবং উঁচু এলাকাগুলিতে রাশিয়ায় তৈরি ইগলা এয়ার ডিফেন্স মিসাইল পাঠানো হয়েছে৷ যাতে ভারতীয় আকাশসীমায় শত্রুপক্ষের কোনও বিমান ঢকে পড়লেই তা আটকানো যায়৷'প্রতীকী ছবি


রাশিয়ান প্রযুক্তিতে তৈরি এই এয়ার ডিফেন্স মিসাইল ভারতীয় সেনাবাহিনীর পাশাপাশি ভারতীয় বায়ুসেনাও ব্যবহার করে৷ সাধারণত যুদ্ধক্ষেত্রে বা প্রতিকূল পরিস্থিতিতে শত্রুপক্ষের ফাইটার জেট বা হেলিকপ্টারকে আটকাতে বা ধ্বংস করতেই এই মিসাইল ব্যবহার করা হয়৷ প্রতীকী ছবি৷


লাদাখে আকাশপথে চিনা জেট বা হেলিকপ্টারের গতিবিধি চিহ্নিত করতে এবং হামলা রুখতে রাডারের মাধ্যমে নজরদারি বাড়ানো এবং ভূমি থেকে আকাশে হামলা করতে সক্ষম মিসাইল সিস্টেমও প্রস্তুত রেখেছে ভারত৷ Photo- Representative


গালওয়ান, প্যাট্রলিং পয়েন্ট ১৪-এর মতো যে এলাকাগুলিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে চিনা সেনার সংঘাত বেঁধেছে, গত কয়েকদিন ধরেই বেশ কয়েকটি চিনা হেলিকপ্টার সেই এলাকাগুলিতে ভারতীয় আকাশসীমার মধ্যে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ৷ প্রতীকী ছবি


পূর্ব লাদাখে আকাশপথে চিনা আগ্রাসন রুখতে ইতিমধ্যেই মে মাসের শুরু থেকে সুখোই-৩০এমকেআই যুদ্ধবিমানকে মোতায়েন করেছে ভারত৷ এর পাশাপাশি চিনের জিনজিয়াং প্রদেশ এবং তিব্বত অঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা চিনা বায়ুসেনার হোটান, গার গুনসা, কাশঘর, হপিং, ঢোনকা ডিজং, লিনঝি এবং পানঘাট এয়ারবেসগুলির উপরেও নজরদারি চালাচ্ছে ভারত৷ কারণ সীমান্তে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উত্তপ্ত হওয়ার পর থেকেই এই বায়ুসেনাঘাঁটি গুলিতে তৎপরতা বাড়িয়েছে চিন৷প্রতীকী ছবি