ভয় পয়েছে চিন? রাজনাথের সঙ্গে দেখা করতে হোটেলে পৌঁছে গেলেন চিনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রী

•রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে সাংহাই কর্পোরেশন অর্গানাইজেশনের (Shanghai Cooperation Organization-SCO) বৈঠকে অংশ নেওয়া প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ ( Rajnath Singh)র সঙ্গে চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ওয়েই ফ্যাং (Wei Fenghe) একাধিকবার বৈঠকের জন্য অনুরোধ করেন।

•দুই দেশের মধ্যে চলতে থাকা সীমান্তে সমস্যার সমাধানে আলোচনা আরও সক্রিয় করতে, চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ওয়েই ফ্যাং (Wei Fenghe) যে হোটেলে রাজনাথ সিং রয়েছেন সেখানে পৌঁছন। দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের মধ্যে দুই ঘন্টা চলা বৈঠকে ভারত নিজেদের তথ্য খুবই সহজভাবে ও দ্রুত চিনের সামনে তুলে ধরে এবং চিনের যে ভ্রান্ত ধারণ রয়েছে সীমান্ত নিয়ে, তা ঠারেঠরে চিনকে বুঝিয়ে দেয়৷

•পূর্ব লাদাখ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে তৈরি হওয়া তীব্র উত্তেজনা নিয়ে ভারতের অবস্থান কী, তা জানতে চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ওয়েই ফ্যাং যে কোনও পরিস্থিতিতে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন।

•চিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী যে আলোচনার ব্যাপারে খুবই উদগ্রীব তা অনুমান করা যায়৷ কারণ বৈঠকে ওয়েই ফ্যাং বলেন যে তারা গত ৮০ দিনের মধ্যে তিনবার কথা বলার অনুরোধ করেছেন। গত সপ্তাহে ভারতীয় সেনাবাহিনী প্যাংগং লেকের দক্ষিণে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট যেভাবে দখল করেছে, তারপর চিনের পক্ষে আলোচনা ছাড়া কোনও উপায় নেই।

•দুই দেশের মধ্যে চলতে থাকা উত্তেজনার মধ্যে এই বৈঠকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং কড়া ভাষায় নিজের বক্তব্য রেখেছেন বলে সূত্রের খবর৷ তিনি স্পষ্ট করেছেন যে, পূর্ব লাদাখে উত্তেজনার একমাত্র কারণ চিনা সেনাদের আগ্রাসী মনোভাব। রাজনাথ সিং চিনকে একপ্রকার হুঁশিয়ারিও দেন যে, এভাবে চলতে থাকলে ভারত তার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যে কোনও পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।

•তিনি জানান, চিনা সেনারা সীমান্তের স্থিতাবস্থা পরিবর্তন করার চেষ্টা করেছে। চিনা যে সীমান্তে বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়নের চেষ্টা করেছে সেই বিষয়টিও বৈঠকে উত্থাপন করেছেন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।

•প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ স্পষ্ট করে বলেন যে, চিন যদি ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চায় তাহলে সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনতে হবে। চিনকে এমনভাবে আচরণ করতে হবে যাতে পারস্পরিক মতপার্থক্য কখনই কোনও বিরোধের রূপ নিতে পারে না।

•প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন যে, দুই দেশের সেনাবাহিনী তাদের নেতাদের মধ্যে আলোচনায় যা ঠিক হবে, সেই অনুসারে পদক্ষেপ নেবে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য ভারত-চিন সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা জরুরি। অতএব, উভয় পক্ষেরই তাদের মতপার্থক্যকে জোড়ালভাবে সামনে না এনে বা বিরোধের রূপে দেওয়া উচিত নয়।