বাসি ভাত খেলেই নিমেষে দূর হবে এইসব অসুখ

বাঙালি ভেতো হলেও, ভাত বাসি হলেই খাওয়ার ইচ্ছে হারান বেশিরভাগ মানুষ ৷ রাতের বাসি ভাতের বেশিরভাগ সময়ই ঠাঁই হয় ডাস্টবিন বা রাস্তার কুকুর বেড়ালের পাতে ৷ কিন্তু বাসি ভাতের মধ্যে এমন কিছু গুণ রয়েছে যাতে এক চুটকিতেই মিটে যায় বহু শারীরিক সমস্যা ৷

বাসি খাবার নিয়ে নাক সিঁটকানো ছেড়ে ব্রেকফার্স্টের টেবিলে আপন করে নিন বাসি ভাতকে ৷ কারণ নিউট্রিশনিস্টরা জানাচ্ছেন, ভাতের মতো বাসি ভাতেও রয়েছে অনেক খাদ্য গুণ ৷

নিউট্রিশনিস্টদের মতে বাসি ভাত খেলে অনেকসময় মিটে যায় আলসারের সমস্যা ৷ সপ্তাহে তিন দিন বাসি ভাত খেলেই মুক্তি পেতে পারেন আলসারের মতো পেটের সমস্যা থেকে ৷ আসলে বাসি ভাতে থাকা খাদ্যগুণ পেটের ঘা ও জ্বালা কমিয়ে দেয় ৷

সকালবেলা ব্রেকফার্স্টে বাসি ভাত খেলে দূর হয়ে যাবে গ্যাসের সমস্যা ৷ ডায়েটিশিয়ানরা বলেন, আমরা সারাদিন যাই খাই না কেন, সকালের প্রথম খাবারটি সবসময় ভারি হওয়া উচিত ৷ পাউরুটি বা কর্নফ্লেক্সের থেকে ভাত পুষ্টিগুণে অনেকটাই এগিয়ে, তাই ব্রেকফার্স্টে ভাত খেলে বহুক্ষণ পেট ভর্তি থাকে ৷ ফলে গ্যাসের সমস্যা থেকে রেহাই মেলে ৷

কোষ্ঠকাঠিন্যের অব্যর্থ ওষুধ বাসি ভাত ৷ ভাত যেমন হজম করা সহজ, তেমনই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও সাহায্য করে ভাত । এতে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাকে দূরে রাখে ৷

এছাড়া সকালের মেনুতে বাসি ভাত আসলে শরীরে যোগান দেয় পর্যাপ্ত পরিমাণ এনার্জি ৷ ভাতে থাকা প্রোটিন, সোডিয়াম ও কার্বোহাইড্রেট শরীরে পুষ্টিগুণ যোগায় ৷

আগেকার দিনে বহু বাড়িতেই সকালের টিফিনে আগের দিনের বাসি ভাত খাওয়ার প্রচলন ছিল ৷ এমনকি নিম্নমধ্যবিত্ত বহু পরিবারে সকালে বাসি ভাত খাওয়ার প্রথা এখনও রয়েছে ৷ যদিও পুষ্টিগুণের থেকেও বহুক্ষণ পেট ভর্তি থাকার কারণেই এই সব পরিবারের কাছে বাসি ভাত সকালের মেনুতে সবচেয়ে পছন্দের ৷