Lifestyle: ক্রমশ বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা, মহিলাদের Breast Cancer কেন হচ্ছে এত!
- Published by:Debalina Datta
Last Updated:
Expalined: অক্টোবর হল ব্রেস্ট ক্যান্সার (breast cancer) সচেতনতা মাস। তাই সচেতন থাকতে লাইফস্টাইলে (lifestyle) কী কী করা উচিত?
#কলকাতা: বর্তমানে যে রোগটি নিয়ে প্রত্যেকে চিন্তিত তা হল ক্যান্সার (Cancer)। এই মারণ রোগ প্রতি নিয়ত নিজের ক্ষমতা বাড়াচ্ছে। এবং তাতে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। পুরুষ ও মহিলা উভয়েই আক্রান্ত হচ্ছেন এই মারণ রোগে। মুখ, গলা, লিভার সহ একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে হানা দিতে পারে এই রোগ। এসব ছাড়াও মহিলারা (woman) আক্রান্ত হন ব্রেস্ট ক্যান্সারে (Breast Cancer)। কী কী কারণে ব্রেস্ট ক্যান্সারের (Breast Cancer ) ঝুঁকি বাড়ে? জীবনযাত্রা (lifestyle) কেমন থাকলে এই রোগ থেকে অনেকটা দূরে থাকা সম্ভব হয়? সব তথ্য থাকবে এই প্রতিবেদনে। Photo- Representative
advertisement
অনিয়ন্ত্রিত লাইফস্টাইল ব্রেস্ট ক্যান্সারের (Breast Cancer ) কারণ হতে পারে। সম্প্রতি বিভিন্ন সমীক্ষায় উঠে এসেছে ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা ০.৫ শতাংশ বেড়েছে। গোটা বিশ্বে এই রোগ ধীরে ধীরে আরও বেশি জায়গায় নিজের প্রভাব বিস্তার করছে। এবিষয়ে একটি গবেষণা রিপোর্টে প্রকাশ হয়েছে প্রতি ২৮ জন ভারতীয়র মধ্যে একজন ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত। এবং খুব অল্পবয়সীদের মধ্যে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। Photo- Representative
advertisement
চিকিৎসাবিজ্ঞান এখন এতটাই উন্নত হয়েছে যে শুরুর দিকেই ব্রেস্ট ক্যান্সার (Breast Cancer) চিহ্নিত করে তা নির্মূল করে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে কেন ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত হারে বাড়ছে? এবিষয়ে চিকিৎসকরা বেশ কয়েকটি বিষয়ের কথা উল্লেখ করেছেন। বেশি বয়সে গর্ভধারণ, খাদ্যাভাসের পরিবর্তন, সঠিক খাবার না খাওয়া, স্থূলতা, দূষণ সহ একাধিক কারণে ব্রেস্ট ক্যান্সার হতে পারে। অন্য ক্যান্সারের মতো ব্রেস্ট ক্যান্সারে যে কোনও সময় যে কোনও বয়সের মহিলা আক্রান্ত হতে পারে। সেই কারণে স্বাস্থ্যকর জীবনধারণের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। অক্টোবর হল ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতা মাস। তাই সচেতন থাকতে কী কী করা উচিত? সে সব নিয়েই এই প্রতিবেদন। Photo- Representative
advertisement
ওজন বৃদ্ধি ওজন বৃদ্ধির ফলে শরীরে একাধিক রোগে আক্রমণ করতে পারে। শরীরে কোলেস্টেরল বাড়লে ওজন বৃদ্ধি হয়। আর তাতেই তৈরি হয় একাধিক সমস্যা। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, কোলেস্টেরল বাড়ার ফলে ফুসফুস, হৃদরোগ সহ একাধিক সমস্যা হতে পারে। তার সঙ্গে ব্রেস্ট ক্যান্সারও হতে পারে। স্থূলকায়তার কারণে যে কোনও মহিলা ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারেন। কারণ, শরীরে বেশি ফ্যাট থাকলে শরীর থেকে বেশি এস্ট্রোজেন হরমোন তৈরি হয়। যার ফলে ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি হতে পারে। এবং যা সমস্যা তৈরি করতে পারে। ইনসুলিনের মাত্রা অতিরিক্ত পরিমাণে বেড়ে গেলে ওবেসিটি দেখা দিতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, স্বাভাবিকের থেকে যদি কারও অতিরিক্ত ওজন থাকে তাহলে ওজন কমিয়ে ফেলা দরকার। শরীরে যত কম পরিমাণ ফ্যাট থাকবে শরীর তত বেশি ভালো থাকবে। এটা মনে রাখতে হবে যত কম ওজন হবে তত ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমবে। Photo- Representative
advertisement
খাদ্যাভাসের পরিবর্তন ক্যান্সারের অন্যতম কারণ হতে পারে খাদ্যাভাস। বিশেষজ্ঞরা বলেন, অতিরিক্ত ফ্যাট জাতীয় খাদ্য যে শুধু শরীরে কোলেস্টেরল বাড়ায় এমনটা নয় মহিলাদের ক্ষেত্রে ব্রেস্ট ক্যান্সারের সম্ভাবনা অনেকটা বাড়িয়ে তোলে। তাই প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধ করেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও বর্তমানে অনেক যুব প্রজন্মের মধ্যে জাঙ্ক ফুড খাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। রাস্তাঘাটে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন খাবার যা খেলে এস্ট্রোজেন হরমোনের ক্ষরণ বাড়ছে। এবং ব্রেস্ট ক্যান্সারের সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। Photo- Representative
advertisement
মদ্যপান মদ্যপান এবং তামাক সেবন শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক। ফুসফুস, হৃদরোগ, যকৃত, পাকস্থলী সহ একাধিক সমস্যায় পড়তে হয়। পাশাপাশি এই দু'টি নেশা দ্রব্যের কারণে ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়। বিভিন্ন গবেষণা রিপোর্টে প্রকাশ হয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যালকোহল গ্রহণ করার ফলে অনেকেই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, যদি কোনও মহিলা সারা দিনে নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি অ্যালকোহল গ্রহণ করেন তাহলে তাঁর ক্ষেত্রে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৭ থেকে ১০ শতাংশ বেড়ে যায়। তুলনামূলক ভাবে যারা অ্যালকোহল সেবন করেন না তাঁদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি অনেক কম থাকে। এটাও মনে রাখতে হবে অতিরিক্ত মদ্যপান করলে উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যায় ভুগতে হতে পারে।এক্ষেত্রে অনেকেই আছেন, যাঁরা নিয়মিত না হলেও মাঝে মধ্যে মদ্যপান করেন। তাঁদের ক্ষেত্রে মদ্যপানের পরিমাণ কমাতে হবে। যদি তাঁরা সম্পূর্ণভাবে মদ্যপান বন্ধ করতে পারেন তাহলে তা তাঁদের শরীরের পক্ষে ভালো। এবং মাঝে মধ্যে মদ্যপান করলেও সেক্ষেত্রে কতটা পরিমাণ অ্যালকোহল শরীরে ঢুকছে সেই বিষয়েও নজর রাখতে হবে। Photo- Representative
advertisement
গর্ভধারণ মহিলাদের মধ্যে অধিকাংশই মনে করেন গর্ভধারনের কোনও নির্দিষ্ট বয়স হয় না। যে কোনও বয়সে গর্ভ ধারণ করা সম্ভব। এবং তাতে শরীরের উপর কোনও প্রভাব পড়ে না। কিন্তু এই তথ্য অনেকটাই ভুল বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের বক্তব্য, দেরি করে গর্ভধারণ এবং যে সব মহিলা গর্ভধারণ করেন না তাঁদের ক্ষেত্রে ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা তুলনামূলক বেশি। তাঁদের যুক্তি, গর্ভধারণ না করার ফলে অথবা দেরিতে গর্ভধারণ করার ফলে অতিরিক্ত পরিমাণে ইস্ট্রোজেন হরমোন শরীরে জমে যায়। এমনকী ব্রেস্টের মধ্যে থাকা কোষ থেকে অতিরিক্ত পরিমাণে ইস্ট্রোজেন হরমোন নিঃসৃত হতে থাকে। এর ফলে ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। যে সব মহিলারা ৩০ বছরের আগে বা আশপাশে সন্তানের জন্ম দেয় তাঁদের ক্ষেত্রে ব্রেস্ট ক্যান্সারের সম্ভাবনা অনেক কম থাকে। এমনকী অনেক মহিলা তাঁর সন্তানদের স্তন্যদুগ্ধ পান করান না। সেক্ষেত্রে তাঁদের ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। Photo- Representative
advertisement
advertisement
advertisement