Ashish Vidyarthi Rupali Barua Marriage : স্বামীর মৃত্যুর পর দ্বিতীয় বিয়ে রূপালির, আশিসের নববধূ, অসম-কন্যার পেশা কী জানুন!

৫৭ বছর বয়সে ফের বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন অভিনেতা আশিস বিদ্যার্থী। গতকাল বৃহস্পতিবার এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই চারদিকে তোলপাড়। আনন্দের ফোয়ারার মাঝেই সমালোচনা তুঙ্গে। নববধূর নাম, রূপালি বড়ুয়া।

কে তিনি? চারদিকে এই একই প্রশ্ন। জানা গিয়েছে, তিনি অসমের কন্যা। এখন বয়স ৫০ বছর। রূপালির নিজের ফ্যাশন সংস্থা রয়েছে। কলকাতার হ্যান্ডলুম ফ্যাশন স্টোরের মালিক রূপালি।

একটি ফ্যাশন শ্যুট করার সময়ে রূপালির সঙ্গে আশিসের আলাপ। সেই সময়েই ফোন নম্বর দেওয়া-নেওয়া, বন্ধুত্ব, এবং প্রেম। তার পর আরও কয়েক বছরের সম্পর্কের পর বিয়ে।

২২ বছরের দাম্পত্যে ইতি টেনে ফের সংসার সাজিয়েছেন ৫৭ বছর বয়সি অভিনেতা। প্রাক্তন স্ত্রী রাজশী বাংলার অন্যতম অভিনেত্রী শকুন্তলা বড়ুয়ার কন্যা। তাঁদের ছেলের নাম, অর্থ বিদ্যার্থী।

বিবাহবিচ্ছেদের পরে সন্তানকে মানুষ করছেন দম্পতি। কিন্তু দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক নেই। এদিকে শোনা গিয়েছে, রূপালিও এর আগে এক চিকিৎসকের সঙ্গে বিয়ে করেছিলেন। লন্ডনেই থাকতেন তিনি। কিন্তু অসমের ভূমিপুত্র তিনি।

মিতম বড়ুয়ার সঙ্গে বিয়ে করে রূপালিও ইংল্যান্ডেই থাকতেন। একসঙ্গেই কাপড়ের ব্র্যান্ড খুলেছিলেন। ২০১৬ সালে সেই সংস্থা উঠে যায়। একাধিক সংবাদমাধ্যমের খবর, রূপালির স্বামীর মৃত্যু হয় অকালে। তার পরই রূপালি কলকাতায় ফিরে আসেন।

আশিসের মতো তাঁরও এক সন্তান রয়েছে। মেয়ের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় মাঝেমধ্যেই গানের ভিডিও করে পোস্ট করেন রূপালি। শুধু তা-ই নয়, আশিসের সঙ্গে মায়ের বিয়েতে খুদেও মহা আনন্দে উপস্থিত ছিল।

আনন্দে আত্মহারা ছিলেন আশিস-রূপালি। দুই পরিবারের উপস্থিতি দুই প্রৌঢ়ের বিবাহ সম্পন্ন হল। কলকাতার এক ক্লাবে নাচে গানে ভরিয়ে তোলেন নবদম্পতি।

তবে অন্যদিকে তাঁদের বয়স এবং প্রাক্তন স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ অনেকেই মেনে নিতে পারেননি। তবে নিন্দকদের মুখ বন্ধ করতে বিয়ের পরদিনই সোশ্যাল মিডিয়ায় হাজির হন আশিস।

তাঁর স্মৃতিচারণা, কীভাবে রূপালির সঙ্গে তাঁর পরিচয়, কীভাবে প্রাক্তন স্ত্রী রাজশি ওরফে পিলুর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ বিবাহবিচ্ছেদ ঘটেছে তাঁর। একইসঙ্গে সকলের ভুল ভাঙিয়ে বলেন, তাঁর বয়স ৬০ নয়, ৫৭। এবং তাঁর নববধূর বয়স ৫০।

ভিডিও করে বলেন, ‘‘সেই সময়ে সম্ভবত আমি ৫৫ ছিলাম, যখন আমি বলেছিলাম যে কাউকে বিয়ে করতে চাই। এভাবেই রূপালি বড়ুয়ার সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ। আমরা একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট হতে থাকি।’’

‘‘বুঝতে পারি, স্বামী-স্ত্রী হিসাবে ঘর করতে পারি। আর তাই রূপালির সঙ্গে আমার বিয়ে। তাঁর বয়স ৫০, আমি ৫৬, ৬০ নই। কিন্তু বয়স কোনও ব্যাপার নয়। আমরা প্রত্যেকে সুখী হতে পারি। বয়স যাই হোক না কেন। তাই মানুষ যেভাবেই জীবনযাপন করতে চান, সেটিকে সম্মান করি।’’

অন্যদিকে অভিনেত্রী শকুন্তলা বড়ুয়ার সন্তানের জীবনে কঠিন সময়। কী ভাবে তাঁকে সামলাচ্ছেন শকুন্তলা? নিউজ18 বাংলাকে তিনি বলেন, “এই বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করতে পারব না। ওদের যথেষ্ট বয়স হয়েছে। ওরা যা ভাল বুঝেছে, করেছে। শুধু এইটুকু বলতে পারি, আমার মেয়ে এবং আমি খুব ভাল আছি।”