Asrani Family: ব্যবসায়ীর ছেলে, জয়পুর থেকে পাড়ি দিয়েছিলেন মুম্বইয়ে; স্টারডমের চেয়েও বড় ছিল পরিবার, আসরানির পারিবারিক জীবন থেকেছে খ্যাতির আড়ালে

Last Updated:
Asrani Family: গোবর্ধন আসরানি বলিউডের সেই কিংবদন্তিদের মধ্যে একজন, যিনি নিজের পরিবারকে লাইমলাইট থেকে দূরে রেখেছিলেন।
1/5
বলিউডে আসরানি নামেই পরিচিত, পুরো নাম গোবর্ধন আসরানি। তিনি আর এই পৃথিবীতে নেই। প্রয়াণের পর এখন তাঁর পরিবার আলোচনায়, যে সম্পর্ক তিনি কখনও ম্লান হতে দেননি। গোবর্ধন আসরানি বলিউডের সেই কিংবদন্তিদের মধ্যে একজন, যিনি নিজের পরিবারকে লাইমলাইট থেকে দূরে রেখেছিলেন। জন্ম ১৯৪১ সালের ১ জানুয়ারি জয়পুরে একটি মধ্যবিত্ত সিন্ধি পরিবারে।
বলিউডে আসরানি নামেই পরিচিত, পুরো নাম গোবর্ধন আসরানি। তিনি আর এই পৃথিবীতে নেই। প্রয়াণের পর এখন তাঁর পরিবার আলোচনায়, যে সম্পর্ক তিনি কখনও ম্লান হতে দেননি। গোবর্ধন আসরানি বলিউডের সেই কিংবদন্তিদের মধ্যে একজন, যিনি নিজের পরিবারকে লাইমলাইট থেকে দূরে রেখেছিলেন। জন্ম ১৯৪১ সালের ১ জানুয়ারি জয়পুরে একটি মধ্যবিত্ত সিন্ধি পরিবারে।
advertisement
2/5
ভারত-পাকিস্তান বিভাগের পর তাঁর বাবা জয়পুরে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন এবং কার্পেট বিক্রির ব্যবসা শুরু করেন। কিন্তু গণিতে দুর্বল এবং ব্যবসায় আগ্রহী না হওয়ায় আসরানি অভিনয়ের পথ বেছে নেন। তিনি সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন এবং রাজস্থান কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
ভারত-পাকিস্তান বিভাগের পর তাঁর বাবা জয়পুরে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন এবং কার্পেট বিক্রির ব্যবসা শুরু করেন। কিন্তু গণিতে দুর্বল এবং ব্যবসায় আগ্রহী না হওয়ায় আসরানি অভিনয়ের পথ বেছে নেন। তিনি সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন এবং রাজস্থান কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
advertisement
3/5
শিক্ষাজীবনেই তিনি জয়পুরের অল ইন্ডিয়া রেডিওতে একজন কণ্ঠশিল্পী হিসেবে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। আসরানির সাত ভাইবোন রয়েছে: চার বোন এবং তিন ভাই। যৌথ পরিবারে বেড়ে ওঠা আসরানি সর্বদা পারিবারিক মূল্যবোধ বুঝতেন, সর্বদা এই বন্ধন বজায় রেখেছিলেন।
শিক্ষাজীবনেই তিনি জয়পুরের অল ইন্ডিয়া রেডিওতে একজন কণ্ঠশিল্পী হিসেবে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। আসরানির সাত ভাইবোন রয়েছে: চার বোন এবং তিন ভাই। যৌথ পরিবারে বেড়ে ওঠা আসরানি সর্বদা পারিবারিক মূল্যবোধ বুঝতেন, সর্বদা এই বন্ধন বজায় রেখেছিলেন।
advertisement
4/5
আসরানি রেখে গিয়েছেন স্ত্রীকে- তিনি এবং মঞ্জু আসরানি ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিবাহিত। মঞ্জু সর্বদা স্বামীর কেরিয়ার এবং ব্যক্তিগত জীবনে সবচেয়ে বড় সমর্থক ছিলেন। আজ কি তাজা খবর এবং নমক হারাম ছবির সেটে অভিনেত্রী মঞ্জুর সঙ্গে আসরানির দেখা হয়েছিল। অভিনয়ের প্রতি প্রেম তাঁদের কাছে এনেছিল। এই দম্পতি ‘তপস্যা’, ‘চাঁদি সোনা’, ‘জান-এ-বাহার’, ‘নালায়ক’, ‘সরকারি মেহমান’, ‘নারদ বিবাহ’ এবং ‘চোর সিপাহি’-র মতো বেশ কয়েকটি ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন। ‘আজ কি তাজা খবর’ ছবিতে চম্পক বুমিয়ার চরিত্রে অভিনয় আসরানিকে ফিল্ম ফেয়ার সেরা কৌতুকাভিনেতার পুরস্কার এনে দিয়েছিল, যেখানে মঞ্জু কেশরী দেশাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।
আসরানি রেখে গিয়েছেন স্ত্রীকে- তিনি এবং মঞ্জু আসরানি ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিবাহিত। মঞ্জু সর্বদা স্বামীর কেরিয়ার এবং ব্যক্তিগত জীবনে সবচেয়ে বড় সমর্থক ছিলেন। আজ কি তাজা খবর এবং নমক হারাম ছবির সেটে অভিনেত্রী মঞ্জুর সঙ্গে আসরানির দেখা হয়েছিল। অভিনয়ের প্রতি প্রেম তাঁদের কাছে এনেছিল। এই দম্পতি ‘তপস্যা’, ‘চাঁদি সোনা’, ‘জান-এ-বাহার’, ‘নালায়ক’, ‘সরকারি মেহমান’, ‘নারদ বিবাহ’ এবং ‘চোর সিপাহি’-র মতো বেশ কয়েকটি ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন। ‘আজ কি তাজা খবর’ ছবিতে চম্পক বুমিয়ার চরিত্রে অভিনয় আসরানিকে ফিল্ম ফেয়ার সেরা কৌতুকাভিনেতার পুরস্কার এনে দিয়েছিল, যেখানে মঞ্জু কেশরী দেশাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।
advertisement
5/5
আসরানি এবং মঞ্জুর সন্তান আছে কি না তা স্পষ্ট নয়। কিছু প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, তাঁদের কোনও সন্তান নেই। অনেকে দাবি করেছে যে, তাঁদের ছেলে নবীন আসরানি আহমেদাবাদের একজন দন্তচিকিৎসক। বলা হয় যে তাঁর নিকটতম আত্মীয়দের মধ্যে অন্যতম এক ভাগ্নে, তিনিই ছিলেন তাঁর শেষকৃত্যে উপস্থিত প্রধান ব্যক্তি। আসরানি সর্বদা বলতেন যে, পরিবার মানে সম্পর্কের গভীরতা, সংখ্যা নয়।আসরানির মৃত্যু নিঃসন্দেহে একটি অপূরণীয় ক্ষতি। কিন্তু  ৩৫০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে তাঁর উপস্থিতি সিনেমা জগতের অমূল্য সম্পদ। যা সর্বদা তাঁর পরিবার এবং লাখ লাখ ভক্তের জন্য সান্ত্বনা এবং ভালবাসার উৎস হয়ে থাকবে।
আসরানি এবং মঞ্জুর সন্তান আছে কি না তা স্পষ্ট নয়। কিছু প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, তাঁদের কোনও সন্তান নেই। অনেকে দাবি করেছে যে, তাঁদের ছেলে নবীন আসরানি আহমেদাবাদের একজন দন্তচিকিৎসক। বলা হয় যে তাঁর নিকটতম আত্মীয়দের মধ্যে অন্যতম এক ভাগ্নে, তিনিই ছিলেন তাঁর শেষকৃত্যে উপস্থিত প্রধান ব্যক্তি। আসরানি সর্বদা বলতেন যে, পরিবার মানে সম্পর্কের গভীরতা, সংখ্যা নয়।আসরানির মৃত্যু নিঃসন্দেহে একটি অপূরণীয় ক্ষতি। কিন্তু  ৩৫০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে তাঁর উপস্থিতি সিনেমা জগতের অমূল্য সম্পদ। যা সর্বদা তাঁর পরিবার এবং লাখ লাখ ভক্তের জন্য সান্ত্বনা এবং ভালবাসার উৎস হয়ে থাকবে।
advertisement
advertisement
advertisement