Durnibar Saha and Mohor Sen Wedding: মীনাক্ষীকে ডিভোর্স দিয়ে ফের বিয়ে, কটাক্ষে দুর্নিবার, মোহরের ছবি দিয়ে জবাব গায়কের

গত ৯ মার্চ দ্বিতীয় বিয়ে সেরে ফেললেন গায়ক দুর্নিবার সাহা। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের জনসংযোগ আধিকারিক ঐন্দ্রিলা সেন তথা মোহরের সঙ্গে বিয়ে ঘটা করে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহরের পাঁচতারা হোটেলে চাঁদের হাট বসেছিল।

বিয়েতে নিজের মেয়ের বিয়ের মতোই সমস্ত দায়িত্ব পালন করেছিলেন প্রসেনজিৎ। অতিথি আপ্যায়ণ, বরকে গাড়ি পাঠানো, কনের হাত ধরে মণ্ডপ পর্যন্ত নিয়ে আসা, কন্যাসম সহকারীর বিয়েতে প্রসেনজিতের ভূমিকায় মুগ্ধ হয়েছেন ভক্তরা।

কিন্তু বিয়ের ছবি, ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই কটাক্ষের মুখে পড়েছেন নবদম্পতি। নৃত্যশিল্পী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে ডিভোর্স দেওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই ফের বিয়ে দুর্নিবারের, মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই।

বিয়ের পর নবদম্পতির বন্ধুদের পোস্ট করা ছবিতে ছেয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। কিন্তু মোহর বা দুর্নিবার কেউই বিয়ের ছবি পোস্ট করেননি। বিয়ের কয়েক দিন বাদে মুখ খুললেন গায়ক। এবার সরাসরি ফেসবুকে স্ত্রীর সঙ্গে ছবি দিয়ে তিনি কটাক্ষকারীদের পাল্টা কটাক্ষে নামলেন।

আদুরে ছবিতে দেখা যাচ্ছে নবদম্পতিকে। মোহরের কপালে ও নাকে সিঁদুর। বউয়ের গালে চুম্বন এঁকে দিচ্ছেন দুর্নিবার। সেই ছবির সঙ্গে গায়ক ইংরেজিতে এক পরিচ্ছেদ লিখলেন। যার বাংলা সারমর্ম, ‘আলোয় আলোকিত হয়ে আমরা আমাদের সম্পর্ককে আঁকব, সেই সময়ে দুনিয়ার কিছু মানুষ তাঁদের নির্বোধ মন্তব্য করবে আমাদের দেখে।’

ছবির সঙ্গে নিজেই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করলেন, ‘দুর্নিমোহর’। এই একই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছে তাঁদের বন্ধুদের। তবে কি তাঁদের প্রেমকে কটাক্ষকে বাঁচাতেই এই হ্যাশট্যাগের প্রচলন ঘটালেন সবাই মিলে? মন্তব্য বাক্সে যাঁরা তাঁকে দুষতে এসেছেন, তাঁদেরকেও পাল্টা জবাব দিয়েছেন গায়ক।

২০১৭ সালে আইনি মতে বিয়ে হয় দুর্নিবার-মীনাক্ষির। ২০২১ সালে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়ে করে সংসার পাতেন গায়ক এবং নৃত্যশিল্পী। কিন্তু এক বছরের মধ্যেই ভেঙে যায় বিয়ে। লোকে বলেন, বিবাহবিচ্ছেদের কারণ তৃতীয় ব্যক্তি, মোহর সেন। কিন্তু মোহর বা দুর্নিবার সে অভিযোগকে নস্যাৎ করে দিয়েছেন।