Mrs Chatterjee vs Norway: পর্দার অনির্বাণ-রানির মতো বাস্তবে এদের দুধের শিশুকে কেড়েছিল নরওয়ে, চোখে জল আসবে ঘটনা শুনলে
- Published by:Teesta Barman
Last Updated:
Mrs Chatterjee vs Norway: দীর্ঘ লড়াইয়ের মধ্যেই অনুরূপ ও সাগরিকার বিচ্ছেদ হয়ে যায়। সাগরিকা সন্তানদের হেফাজত ফিরে পাওয়ার লড়াইয়ে নামেন একাই। জানুন সেই আসল ঘটনা।
গল্প নয়, সত্যি। সিনেমার চিত্রনাট্য নয়, বাস্তব জীবনের প্রেক্ষাপট। রানি মুখোপাধ্যায় এবং অনির্বাণ ভট্টাচার্যের ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’-র ঘটনা আসলে এক বাঙালি দম্পতির জীবনকাহিনি থেকে উদ্বুদ্ধ। যাঁরা এই একই লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন। রোমাঞ্চকর, মন খারাপ করা সেই কাহিনি সেই সময়ে অনেকেরই চোখে জল এনেছিল।
advertisement
advertisement
বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিল, তাঁরা বাচ্চাদের জোর করে খাবার খাওয়ান। ছেলেকে ভিন্ন ঘর না দিয়ে নিজেদের সঙ্গে ঘুম পাড়ান। হাত দিয়ে মেখে খাবার খাওয়ান মা। বাচ্চাদের ভাল জামাকাপড় আর খেলনা কিনে না দেওয়ার অভিযোগও ওঠে। নরওয়ের শিশু সুরক্ষা পরিষেবার তরফে এই সমস্ত যুক্তি দেখিয়ে সাগরিকা-অনুরূপের কাছ থেকে তাঁদের সন্তানকে কেড়ে নেওয়া হয়।
advertisement
কূটনৈতিক এবং আইনি ঝামেলার পর নরওয়ের কর্তৃপক্ষ শিশুদের হেফাজত দেওয়া হয় তাঁদের কাকাকে। তাঁকে সন্তানদের নিয়ে ভারতে ফেরার অনুমতি দেওয়া হয়। এই দীর্ঘ লড়াইয়ের মধ্যেই অনুরূপ ও সাগরিকার বিচ্ছেদ হয়ে যায়। সাগরিকা সন্তানদের হেফাজত ফিরে পাওয়ার লড়াইয়ে নামেন একাই। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর সাগরিকা তাঁর সন্তানদের বাড়িতে নিয়ে যেতে পেরেছিলেন। ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে কলকাতা হাইকোর্ট তাঁর ছেলে-মেয়ের হেফাজত মঞ্জুর করে।
advertisement
advertisement
ছবিতে রানি বাঙালি চরিত্রে অবিনয় করেছেন। বড় পর্দায় তাঁকে সরস্বতী পুজো করতেও দেখা যাবে। ছবির প্রেক্ষাপট নরওয়ে। রানির মুখে ট্রেলারের শুরুতেই শোনা যায়, ‘‘আমি দেবিকা। আর, এ আমার হাজব্যান্ড মিস্টার চ্যাটার্জি। ইনি নরওয়েতে কাজ করেন। আর এই আমাদের দুই সন্তান। আমরা আমাদের প্রিয় কলকাতা ছেড়ে নরওয়েতে নিজেদের দুনিয়া তৈরি করেছি। কিন্তু, একদিন আমাদের কাছ থেকে আমাদের দুনিয়া ছিনিয়ে নেওয়া হল...।’’