Prem Qaidi star Harish Kumar: কিশোর বয়সেই নায়কের ভূমিকায়! বি-টাউনে ঝটিতি কেরিয়ারের মাঝেই এক ঘটনায় শেষ হয়ে গিয়েছিল কেরিয়ার

Last Updated:
Prem Qaidi star Harish Kumar Career: শিশুশিল্পী হিসেবেই কেরিয়ার শুরু করেছিলেন রুপোলি দুনিয়ায়। মাত্র ১৫ বছর বয়সে মুখ্য অভিনেতা হিসেবে বড় পর্দায় পদার্পণ করেছিলেন তিনি। যদিও খুবই ক্ষণস্থায়ী ছিল তাঁর কেরিয়ারে সাফল্যের গ্রাফটা। এক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তাঁর কেরিয়ার রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়ে হরিশ কুমারের।
1/5
শিশুশিল্পী হিসেবেই কেরিয়ার শুরু করেছিলেন রুপোলি দুনিয়ায়। মাত্র ১৫ বছর বয়সে মুখ্য অভিনেতা হিসেবে বড় পর্দায় পদার্পণ করেছিলেন তিনি। যদিও খুবই ক্ষণস্থায়ী ছিল তাঁর কেরিয়ারে সাফল্যের গ্রাফটা। এক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তাঁর কেরিয়ার রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়ে। বিদায় জানাতে হয় রুপোলি দুনিয়াকে। কথা হচ্ছে, অভিনেতা হরিশ কুমারের। যাঁর ঝুলিতে রয়েছে ‘প্রেম কয়েদি’, ‘কুলি নম্বর ১’, ‘তিরঙ্গা’-র মতো ছবি। শুনে নেওয়া যাক, তাঁর জীবনের সেই গল্প।
শিশুশিল্পী হিসেবেই কেরিয়ার শুরু করেছিলেন রুপোলি দুনিয়ায়। মাত্র ১৫ বছর বয়সে মুখ্য অভিনেতা হিসেবে বড় পর্দায় পদার্পণ করেছিলেন তিনি। যদিও খুবই ক্ষণস্থায়ী ছিল তাঁর কেরিয়ারে সাফল্যের গ্রাফটা। এক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তাঁর কেরিয়ার রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়ে। বিদায় জানাতে হয় রুপোলি দুনিয়াকে। কথা হচ্ছে, অভিনেতা হরিশ কুমারের। যাঁর ঝুলিতে রয়েছে ‘প্রেম কয়েদি’, ‘কুলি নম্বর ১’, ‘তিরঙ্গা’-র মতো ছবি। শুনে নেওয়া যাক, তাঁর জীবনের সেই গল্প।
advertisement
2/5
 ১৯৭৫ সালের ১ অগাস্ট হায়দরাবাদে জন্ম অভিনেতার। মাত্র ৪ বছর বয়সেই অভিনয় জীবনের হাতেখড়ি। আর মাত্র ১৫ বছর বয়সেই তিনি নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। একের পর এক দক্ষিণী ছবিতে অভিনয় করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন এবং মিষ্টি চেহারার নায়ক হিসেবে ভক্তদের মনে স্থান করে নিয়েছিলেন। তবে দক্ষিণী ছবির দুনিয়াতে কাজ শুরু করলেও তাঁর অভিনয় নিয়ে চর্চার ঢেউ এসে লাগে বলিউডেও। এর পর সেখান থেকেও কাজের ডাক আসতে শুরু করে। ফলে হরিশ কুমারের ঝুলিতে রয়েছে একাধিক বলিউডি ছবিও।
১৯৭৫ সালের ১ অগাস্ট হায়দরাবাদে জন্ম অভিনেতার। মাত্র ৪ বছর বয়সেই অভিনয় জীবনের হাতেখড়ি। আর মাত্র ১৫ বছর বয়সেই তিনি নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। একের পর এক দক্ষিণী ছবিতে অভিনয় করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন এবং মিষ্টি চেহারার নায়ক হিসেবে ভক্তদের মনে স্থান করে নিয়েছিলেন। তবে দক্ষিণী ছবির দুনিয়াতে কাজ শুরু করলেও তাঁর অভিনয় নিয়ে চর্চার ঢেউ এসে লাগে বলিউডেও। এর পর সেখান থেকেও কাজের ডাক আসতে শুরু করে। ফলে হরিশ কুমারের ঝুলিতে রয়েছে একাধিক বলিউডি ছবিও।
advertisement
3/5
 ১৯৯১ সালে মুক্তি পেয়েছিল তাঁর হিন্দি ছবি ‘প্রেম কয়েদি’। মূলত নায়ক হিসেবে এটাই তাঁর বলিউড ডেবিউ ছিল। শুধু তা-ই নয়, ওই ছবির হাত ধরে তাঁর বিপরীতে বলিউডে ডেবিউ করেছিলেন কাপুর পরিবারের কন্যা করিশ্মা কাপুরও। ফলে এই ছবি বক্স অফিসে দুর্দান্ত ব্যবসা করে। ফলে দুই নবাগতর ভাগ্যই খুলে যায়। এর পরে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি হরিশকে। এর পর তাঁর কাছে ‘কুলি নম্বর ১’, ‘তিরঙ্গা’-র মতো ছবির অফার আসে। তবে আচমকাই ছন্দপতন। ২০০১ সালে ‘ইনতেকাম’ ছবির পরে বলিউড থেকে আচমকাই দূরে সরে যান হরিশ।
১৯৯১ সালে মুক্তি পেয়েছিল তাঁর হিন্দি ছবি ‘প্রেম কয়েদি’। মূলত নায়ক হিসেবে এটাই তাঁর বলিউড ডেবিউ ছিল। শুধু তা-ই নয়, ওই ছবির হাত ধরে তাঁর বিপরীতে বলিউডে ডেবিউ করেছিলেন কাপুর পরিবারের কন্যা করিশ্মা কাপুরও। ফলে এই ছবি বক্স অফিসে দুর্দান্ত ব্যবসা করে। ফলে দুই নবাগতর ভাগ্যই খুলে যায়। এর পরে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি হরিশকে। এর পর তাঁর কাছে ‘কুলি নম্বর ১’, ‘তিরঙ্গা’-র মতো ছবির অফার আসে। তবে আচমকাই ছন্দপতন। ২০০১ সালে ‘ইনতেকাম’ ছবির পরে বলিউড থেকে আচমকাই দূরে সরে যান হরিশ।
advertisement
4/5
সংবাদমাধ্যমের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, হঠাৎই স্থূলত্বের শিকার হওয়ায় কাজ আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তাঁর কাছে। আসলে এই সমস্যার জেরেই মূলত তাঁর মিষ্টি চেহারাটাই বদলে গিয়েছিল। তবে আসলে তাঁর কী হয়েছিল, সেই সম্পর্কে কারও কাছেই তেমন কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। তবে ইউটিউব চ্যানেলের ‘ফিল্ম স্টোরিজ’-এর দাবি, এক সময় হরিশের শিরদাঁড়ায় ব্যথা শুরু হয়েছিল। তিনি ভেবেছিলেন যে, এটি হয়তো একটি ছোটখাটো বিষয়, কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই ব্যথা আরও চাগাড় দিয়ে উঠতে থাকে। এমনকী কিছু দিন পরে অবস্থা এমন পর্যায়ে চলে যায় যে, অভিনেতা বিছানা ছেড়ে পর্যন্ত উঠতে পারতেন না।
সংবাদমাধ্যমের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, হঠাৎই স্থূলত্বের শিকার হওয়ায় কাজ আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তাঁর কাছে। আসলে এই সমস্যার জেরেই মূলত তাঁর মিষ্টি চেহারাটাই বদলে গিয়েছিল। তবে আসলে তাঁর কী হয়েছিল, সেই সম্পর্কে কারও কাছেই তেমন কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। তবে ইউটিউব চ্যানেলের ‘ফিল্ম স্টোরিজ’-এর দাবি, এক সময় হরিশের শিরদাঁড়ায় ব্যথা শুরু হয়েছিল। তিনি ভেবেছিলেন যে, এটি হয়তো একটি ছোটখাটো বিষয়, কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই ব্যথা আরও চাগাড় দিয়ে উঠতে থাকে। এমনকী কিছু দিন পরে অবস্থা এমন পর্যায়ে চলে যায় যে, অভিনেতা বিছানা ছেড়ে পর্যন্ত উঠতে পারতেন না।
advertisement
5/5
 চিকিৎসকদের দ্বারস্থ হলে দেখা যায় যে, শৈশবে স্পাইনাল কর্ডের আঘাতে লেগেছিল হরিশের। আর সেই আঘাতই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে এবং পরে স্লিপ ডিস্কের শিকার হয়েছিলেন নায়ক। চিকিৎসকেরা তাঁর চিকিৎসা করেন এবং তাঁকে প্রায় ২ বছর কাজ না করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। যার ফলে অভিনেতার ওজন বেড়ে যায়। এর পরে অবশ্য তিনি ২০১১ সালে ‘নটি @৪০’ ছবির হাত ধরে বলিউডে কামব্যাক করেন। এই ছবিতে অভিনয় করেছেন গোবিন্দাও। কিন্তু হরিশের এই প্রত্যাবর্তনও ফ্লপ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছিল। আবার এর পরের বছরেই মুক্তি পায় হরিশের ‘চার দিন কি চাঁদনি’ ছবি। কিন্তু সেই ছবিটিও বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। এর পর ধীরে ধীরে প্রচারের আলো থেকে দূরে চলে যান হরিশ, ফলে এক সময়ের সুপারহিট ছবির নায়ককে নিয়ে আর তেমন চর্চাও হয় না।
চিকিৎসকদের দ্বারস্থ হলে দেখা যায় যে, শৈশবে স্পাইনাল কর্ডের আঘাতে লেগেছিল হরিশের। আর সেই আঘাতই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে এবং পরে স্লিপ ডিস্কের শিকার হয়েছিলেন নায়ক। চিকিৎসকেরা তাঁর চিকিৎসা করেন এবং তাঁকে প্রায় ২ বছর কাজ না করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। যার ফলে অভিনেতার ওজন বেড়ে যায়। এর পরে অবশ্য তিনি ২০১১ সালে ‘নটি @৪০’ ছবির হাত ধরে বলিউডে কামব্যাক করেন। এই ছবিতে অভিনয় করেছেন গোবিন্দাও। কিন্তু হরিশের এই প্রত্যাবর্তনও ফ্লপ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছিল। আবার এর পরের বছরেই মুক্তি পায় হরিশের ‘চার দিন কি চাঁদনি’ ছবি। কিন্তু সেই ছবিটিও বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। এর পর ধীরে ধীরে প্রচারের আলো থেকে দূরে চলে যান হরিশ, ফলে এক সময়ের সুপারহিট ছবির নায়ককে নিয়ে আর তেমন চর্চাও হয় না।
advertisement
advertisement
advertisement