মাত্র ৩৪ বছর বয়সেই ৩৪ জন কন্যা সন্তানের মা হয়েছিলেন প্রীতি জিন্টা! পরবর্তী সময়ে আরও শিশুর দায়িত্ব নেওয়ার পরিকল্পনার বিষয়েও খোলামেলা মন্তব্য করেন
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
Preity Zinta adopted 34 girls at the age of 34: অনেকেই হয়তো জানেন না যে, দুই সন্তান জিয়া এবং জয়ের মা হয়ে ওঠার অনেক আগেই অবশ্য মাতৃত্বের স্বাদ লাভ করেছিলেন প্রীতি জিন্টা। তা-ও ১-২ জন নয়, ৩৪ জন কন্যাসন্তানকে দত্তক নিয়েছিলেন তিনি।
এক সময় দাপটের সঙ্গে বি-টাউনে রাজত্ব করেছেন মিষ্টি অভিনেত্রী প্রীতি জিন্টা। বহু সময় আগেই রুপোলি পর্দাকে বিদায় জানিয়েছেন তিনি। ‘বীর জারা’ থেকে ‘সোলজার’ - একের পর এক স্মরণীয় ছবি উপহার দিয়েছেন ভক্তদের। এমনিতে অভিনয় দুনিয়াকে বিদায় জানানোর পরে অভিনেত্রী জিন গুডএনাফকে বিয়ে করে লস অ্যাঞ্জেলসে সংসার পেতেছিলেন। এই দম্পতির দুই সন্তান - জয় এবং জিয়া।
advertisement
লস অ্যাঞ্জেলসেই বেশি সময় কাটান প্রীতি। তবে বর্তমানে আইপিএল-এর জন্য ভারতে রয়েছেন তিনি। ফলে আবারও সংবাদ শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছেন। প্রীতি জিন্টার টিম পঞ্জাব কিংস আইপিএল ২০২৫-এর ফাইনালে উঠে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর মুখোমুখি হয়েছে। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না যে, দুই সন্তান জিয়া এবং জয়ের মা হয়ে ওঠার অনেক আগেই অবশ্য মাতৃত্বের স্বাদ লাভ করেছিলেন অভিনেত্রী। তা-ও ১-২ জন নয়, ৩৪ জন কন্যাসন্তানকে দত্তক নিয়েছিলেন তিনি। (Photo: Instagram/File Photo)
advertisement
প্রীতি জিন্টা জানিয়েছিলেন যে, “আমি ৩৪ জন মেয়েকে দত্তক নিয়েছিলাম। আমি ওদের মানুষ করা থেকে শুরু করে খাওয়া-পড়া এবং ভরণপোষণের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করছি। একসঙ্গে এত জন মেয়ের কলতান শুনলে যে কতটা ভাল লাগে, সেটা বলে বোঝানো যাবে না। ওরা এখন আমার সন্তান, আমার দায়িত্ব। আমি সব সময় ওদের খোঁজখবর নিই। বছরে ২ বার ওদের সঙ্গে দেখা করি।” (Photo: Instagram/File Photo)
advertisement
অভিনেত্রী অবশ্য আগেই ভাগ করে নিয়েছিলেন যে, প্রথমে তিনি ব্যক্তিগত ভাবে ওই ৩৪ জন মেয়ের স্কুলিং, খাওয়াদাওয়া-পুষ্টি এবং জামাকাপড়ের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই মেয়েগুলির সঙ্গে কথা বলার পরে তাঁর মননে এক গভীর পরিবর্তন এসেছিল। সেই সময়ই বছরে অন্তত ২ বার তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন অভিনেত্রী। (Photo: Instagram/File Photo)
advertisement
প্রীতি জিন্টা স্বীকার করে আরও জানিয়েছেন যে, পিছিয়ে পড়া শ্রেণী থেকে উঠে আসা মেয়েদের কঠোর বাস্তবের মুখোমুখি হতে হয়। সেই কারণেই অনেক সময় প্রতিকূলতা আসে তাদের জীবনে। কন্যাভ্রূণ হত্যা এবং ক্ষতিকর পরিবেশে বাচ্চাদের বেড়ে ওঠার সতর্কতামূলক গল্প তাঁকে একেবারে ভিতর থেকে নাড়িয়ে দিয়েছে। এটাই তাঁকে নিজের সফর শুরু করার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। সেই সঙ্গে স্পষ্ট করে অভিনেত্রী এ-ও জানিয়েছেন যে, এটা তো শুধুমাত্র সূচনা ছিল। আগামী সময়ে আরও অনেক শিশু দত্তক নেওয়ার জন্য আশাবাদী তিনি। (Photo: Instagram/File Photo)
advertisement