১৫ বছরে বিয়ে, ১৮ বছরে মা, ধর্মেন্দ্রর ছেলেকে শিখিয়েছিলেন সহবত, দেব আনন্দ বলতে এখনও পাগল 'বালিকা বধূ'
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
বলিউডে কাজ করতে গিয়ে ভুল হলে ধর্মেন্দ্রর ছেলে সানি দেওলকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি এই অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।
সত্তরের দশকের অন্যতম সুন্দরী অভিনেত্রী তিনি, কথাবার্তা, পোশাকে-চলনেও খুব স্মার্ট। বলিউডে কাজ করতে গিয়ে ভুল হলে ধর্মেন্দ্রর ছেলে সানি দেওলকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি এই অভিনেত্রী। হিন্দি সিনেমায় দেব আনন্দের সঙ্গে কাজ করাকে তিনি তাঁর সৌভাগ্য বলে মনে করেন। মনে মনে আজও তাঁর প্রিয় মানুষ এই অভিনেতা। প্রতিটি চরিত্রে অভিনয় করেই তিনি সফল হয়েছেন।
advertisement
আমরা যে অভিনেত্রীর কথা বলছি তিনি আর কেউ নন, বাংলা ছবির 'বালিকা বধূ', হেমন্ত চট্টোপাধ্যায়ের পুত্রবধূ মৌসুমি চট্টোপাধ্যায়। কেরিয়ারের শুরু থেকেই তিনি প্রতিটি চরিত্রে সাবলীল পারফরম্যান্স দিয়ে প্রমাণ করেছেন যে তাঁর মধ্যে প্রতিভার কোনও অভাব নেই। তাঁর বলিউডে চলচ্চিত্র যাত্রাও শুরু হয় মা হওয়ার পর। মৌসুমি খুব অল্প বয়সেই বিয়ে করেন এবং ১৮ বছর বয়সে প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। এর পরই তিনি বলিউডের চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন। তিনি দেব আনন্দের বড়সড় এক ফ্যানও বটে।
advertisement
মৌসুমির বাংলা চলচ্চিত্র জগতে আসার পেছনে এক গল্প রয়েছে। একদিন মৌসুমি তাঁর বাড়ির পাশের এক স্টুডিওর কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন, ওই সময় তাঁর সঙ্গে দেখা হয় বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা তরুণ মজুমদারের। প্রথম দেখাতেই তিনি মৌসুমিকে তাঁর'বালিকা বধূ'-র জন্য সুযোগ দেন। মৌসুমি তখন সবে হাইস্কুলের পড়াশোনা শেষ করেছেন। প্রথম ছবিতেই মৌসুমির দুর্দান্ত কাজ নির্মাতাদের পছন্দ হয়েছিলেন। যদিও মৌসুমির বাবা সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন, তিনি কখনওই চাননি যে তাঁর মেয়ে অভিনেত্রী হন
advertisement
advertisement
মৌসুমির দৃপ্ত স্বভাব নিয়ে একটি মজার গল্প রয়েছে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। ১৯৯০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সানি দেওলের ছবি 'ঘায়েল'-এ মৌসুমি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। জানা যায় যে, এই ছবির শ্যুটিং চলাকালীন একদিন সানি দীর্ঘক্ষণ ফোনে কথা বলছিলেন, ফলে অভিনেত্রীকে তাঁর সঙ্গে শট দেওয়ার জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছিল। পরে ফোন রাখার পর সানিকে অনেক বকাঝকা করেন মৌসুমি। সরাসরি তাঁকে উদ্দেশ্য করে মৌসুমি বলেন, ‘‘আপনি ফিল্মে কাজ করার উপযুক্ত নন, আপনার পঞ্জাবে গিয়ে কৃষিকাজ করাই ভাল। দয়া করে ইন্ডাস্ট্রিতে ধরমজির নাম নষ্ট করবেন না’’। এর উত্তরে অবশ্য সানি কিছু বলেননি। পরে অভিনেত্রীর কাছে ক্ষমাও চেয়েছিলেন তিনি বলে শোনা যায়।