Mahesh Bhatt Shocking Claim: মৃত ছেলের দেহ পেতে জগজিৎ সিংকে কী করতে হয়েছিল জানেন? পরে মেয়েরও আত্মহত্যা! মহেশ ভাটের চাঞ্চল্যকর দাবি
- Published by:Raima Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
Mahesh Bhatt Shocking Claim: ছেলের দেহ পেতে ঘুষ দিতে হয় জগজিৎকে, পরে মেয়েরও আত্মহত্যা! শোকে সুর হারান চিত্রা; মহেশ ভাটের চাঞ্চল্যকর দাবি।
গলার সুর ও স্বরে প্রেমের 'নরম' দিকটা ছুঁয়েছিলেন গজল-সম্রাট। একদিকে তাঁর গলায় বিষণ্ণতা, অন্যদিকে তীব্র সমর্পণ। অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার সাহস দেখিয়েছিলেন গজল-মায়েস্ত্রো। তবে জীবনের সমস্ত বিষাদ-দুঃখকে বন্দি করে রেখে একের পর এক শো-করে গিয়েছেন হাসিমুখে। জগজিৎ সিং ও তাঁর স্ত্রী চিত্রা দু'জনেই ছিলেন সুরের আকর, গানের খনি।
advertisement
advertisement
advertisement
নামী বিজ্ঞাপন সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মীর ঘরনি চিত্রাও তখন সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে পরিচিত হওয়ার চেষ্টা করছেন। স্বামীর সঙ্গে প্রবল অশান্তি। ব্যক্তিগত জীবনের ঝড় আড়াল করেই স্টুডিয়োতে যেতেন গান রেকর্ড করতে। ১৯৬৮ সালে স্বামীকে ছেড়ে মেয়ে মনিকাকে নিয়ে আলাদা থাকতে শুরু করেন চিত্রা। কিন্তু তখনও তিনি জগজিতের বিয়ের প্রস্তাবে সাড়া দেননি। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, শেষে জগজিৎ দেখা করেন চিত্রার স্বামীর সঙ্গে। তাঁর কাছ থেকে অনুমতি চান চিত্রাকে বিয়ে করার!
advertisement
advertisement
দুই বন্ধু রাহুল মুজুমদার এবং সাইরাজ বাহুতুলেকে নিয়ে গাড়িতে ছিলেন বিবেক। গাড়ি চালাচ্ছিলেনও তিনি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁদের মারুতি জিপসি একটি ভ্যানকে ধাক্কা মারলে ঘটে দুর্ঘটনা। প্রাণ হারান বিবেক। মারাত্মক আহত হন রাহুল ও সাইরাজ। পরে অবশ্য তাঁরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন। বাহুতুলে জাতীয় দলে খেলেওছিলেন।
advertisement
ছেলের মৃত্যুশোকে মর্মাহত চিত্রা গান গাওয়াই ছেড়ে দেন। বিবেকের মৃত্যুর পরে স্বামীর সঙ্গে একটিমাত্র দ্বৈত অ্যালবাম প্রকাশ করেন চিত্রা। এরপর তিনি আর প্রকাশ্যে গান করেননি। রেকর্ডিং বা প্লেব্যাক বা সঙ্গীতানুষ্ঠান, কোথাও ফিরিয়ে আনা যায়নি চিত্রাকে। জগজিৎ অবশ্য গানের জগতে ফিরেছিলেন। পুত্রশোকে বাবার রক্তাক্ত হৃদয় যেন ধরা দিত তাঁর গানে।
advertisement
এখানেই শেষ নয়। দুই সুরসাধকের জীবনের বাঁকে আরও শোক বাকি রয়ে গিয়েছিল। ২০০৯ সালে পঞ্চাশ বছর বয়সে আত্মহত্যা করেন চিত্রার প্রথম পক্ষের মেয়ে, মনিকা। এর দু’বছর পরে প্রয়াত হন জগজিৎ সিংহ। ইংল্যান্ড সফরের পরে গুলাম আলির সঙ্গে জগজিতের অনুষ্ঠান করার কথা ছিল মুম্বইয়ে। তার আগেই তিনি মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে অসুস্থ হয়ে পড়েন। দু’সপ্তাহ কোমায় থাকার পরে সত্তর বছর বয়সি জগজিৎ প্রয়াত হন ২০১১ সালের ১০ অক্টোবর।
advertisement
advertisement
৪০ বছর পুরনো এই ছবি মহেশ ভাটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ। অনুষ্ঠানে মহেশ বলেন, 'মর্মান্তির দুর্ঘটনায় জগজিতের ছেলে মারা যায়। জগজিৎ আমাকে জানিয়েছিল ছেলের দেহ পাওয়ার জন্য জুনিয়র অফিসারদেরকে ঘুষ দিতে হয়েছিল ওঁকে। এবং তখন আমি বুঝি সারাংশের অর্থ আসলে কী। একজন সাধারণ মানুষকে কী কী করতে হয়, নিজের আত্মীয়ের দেহ ফিরে পেতে কত কাঠখড় পোড়াতে হয়। এই ছবির পিছনে এই উদাহরণ রয়েছে।'