

নব্বইয়ে ঝড় তোলা অভিনেত্রী বললে প্রথমেই যে দু তিনটি নাম মাথায় ঘুরবে তার মধ্যে থাকবেন সোনালি বেন্দ্রে। ২০১৮ সালে মেটাস্টেসিস ক্যানসার তাঁর ভিত নাড়িয়ে দিয়েছিল। মৃত্যু যেন দাঁড়িয়েছিল একহাত দূরে। কিন্তু হেলায় তা হারিয়ে জীবনে ফিরে আসার গল্পটা যেন চিত্রনাট্যকেও হার মানাবে। সোনালি প্রমাণ করেছিলেন এভাবেও ফিরে আসা যায়। আজ বিশ্ব ক্যানসার দিবস, ফিরে দেখার দিন তাঁর ওই টানটান জীবননাট্য-


সোনালির জন্ম ১ জানুয়ারি মুম্বইয়ের একটি মরাঠি পরিবারে। কেন্দ্রীয় স্কুল ও হলি ক্রস কনভেন্টে পড়াশোনা। স্নাতক রামনারায়ণ রাজা কলেজ থেকে। কম বয়সেই মডেলিংয়ে ঝোঁক ছিল তাঁর। বিজ্ঞাপনের হাত ধরে একটু একটু করে পা রাখেন সিনেমার জগতে। প্রথম ছবি আগ মুক্তি পায় ১৯৯৪ সালে। শিল্পা শেট্টির সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।


সোনালির সহজাত সৌন্দর্য্য, আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব, নাচের দমক পিছনে ফেলে দিয়েছিল অনেককেই। নারাজ, জখম , অঙ্গারের মতো ছবিতে সোনালি সাড়া ফেলে দেন। টাইটেল কার্ডে তাঁর নাম থাকা না থাকাটাই পার্থক্য গড়ে দিচ্ছিল একটা সময়ে। ১৯৯৬ সালে ভারতে মাইকেল জ্যাকসান এলে, বলিউডের প্রতিনিধিত্বও করেন সোনালি।


শুধু বলিউডই নয়। সোনালি কিন্তু সাড়া ফেলেছিলেন দক্ষিণী ছবিতে। ১৯৯৯ সালে তাঁর অভিনীত কধলার ধিনাম।


২০০২ সালে সোনালি সাত পাকে বাঁধা পড়লেন। সংসার-সন্তান, সব মিলিয়ে প্রায় এক দশক সোনালি মূলস্রোত থেকে সামান্য বিচ্ছিন্ন ছিলেন।


আবার কাজে ফিরে যখন বড়পর্দা থেকে ছোটপর্দা দু-জায়গাই মাতাচ্ছেন, বাধ সাধে ক্যানসার। কিন্তু এতটুকুও মনোবল হারাননি সোনালি। নিউইয়র্কে চিকিৎসা চালিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। পাশে পেয়েছেন সতীর্থদেরও। অসম্ভবকে সম্ভব করে ফিরেছেন কাজে।


কেমোথেরাপির কারণে চুল পড়ে গিয়েছিল। সেটাকেই স্টাইল স্টেটমেন্ট বানিয়ে ফেলেন সোনালি। কী ভাবে জিতলেন এতবড় যুদ্ধ, সোনালি বলেন, মনোবল আর জিতে ফেরার তাগিদ। সোনালি সোশ্যাল মিডিয়ায় দারুণ সক্রিয়। প্রায় প্রতিদিন নিজের জীবনযাপনের নানা মুহূর্তের ছবি দেন তিনি। মুখের হাসিটা আজও সেই নব্বইয়ের ঝড় তোলা তন্বীর মতোই, আর সেটাই বাঁচার মূল মন্ত্র।