পুরুষত্ব নিয়ে প্রশ্ন, পা কেটে ফেলার মতো পরিস্থিতি ! কঠিন সময়ে ছেড়ে যান স্ত্রীও, এই নায়কের গল্প শুনলে চোখে জল আসবে
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
তিনি দীপক পরাশর। একাধারে মডেল এবং জনপ্রিয় অভিনেতা। সত্তরের দশকে বলিউডে পা রাখেন। ‘নিকাহ’ ছবিতে তাঁর অভিনয় রীতিমতো আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল। ‘পুরানি হাভেলি’, ‘তবায়েফ’, ‘নিকাহ’, ‘ইনসাফ কা তরাজু’, ‘চন্দ্রমুখী’, ‘নীম নীম শহদ শহদ’, ‘কভি কভি’, ‘কানুন’, ‘চন্দ্রকান্তা’, ‘আন্ধিয়াঁ’-এর মতো একাধিক জনপ্রিয় সিনেমায় চুটিয়ে অভিনয় করেছেন।
advertisement
তিনি দীপক পরাশর। একাধারে মডেল এবং জনপ্রিয় অভিনেতা। সত্তরের দশকে বলিউডে পা রাখেন। ‘নিকাহ’ ছবিতে তাঁর অভিনয় রীতিমতো আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল। ‘পুরানি হাভেলি’, ‘তবায়েফ’, ‘নিকাহ’, ‘ইনসাফ কা তরাজু’, ‘চন্দ্রমুখী’, ‘নীম নীম শহদ শহদ’, ‘কভি কভি’, ‘কানুন’, ‘চন্দ্রকান্তা’, ‘আন্ধিয়াঁ’-এর মতো একাধিক জনপ্রিয় সিনেমায় চুটিয়ে অভিনয় করেছেন। এখন ৭২ বছর বয়সে একাকী জীবন কাটাচ্ছেন অভিনেতা।
advertisement
১৯৫২ সালের ২ এপ্রিল এক পঞ্জাবি হিন্দু পরিবারে জন্ম হয় দীপকের। দিল্লি ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেছেন। ছোট থেকেই শরীরচর্চার শখ ছিল। ভারতের প্রথম ‘মিঃ ইন্ডিয়া’-ও হন। এরপর শুরু করেন মডেলিং। সেখান থেকে পা রাখেন রূপালি পর্দায়। বিগ বস-এর প্রথম সিজনের প্রতিযোগিও ছিলেন তিনি। বলিউডে অনীতা রেড্ডি এবং জীনাত আমনের সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল দীপকের। তবে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কোনও অভিনেত্রীর সঙ্গে সংসার করার ইচ্ছা ছিল না তাঁর। মা-ও রাজি হননি। তাই এই সম্পর্ক আর বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়নি।
advertisement
সিদ্ধার্থ কাননকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দীপক বলেন, সরিতা নামের তাঁর এক ফ্যান মায়ের সঙ্গে অটোগ্রাফ নিতে এসেছিলেন। তাঁকে দেখেই প্রেমে পড়ে যান অভিনেতা। পরে বিয়ের প্রস্তাব দেন। মাত্র ২ মাসের মধ্যে দীপক ও সরিতার বিয়ে হয়। কোল আলো করে সন্তানও আসে। বিয়ের আড়াই বছরের মাথায় ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার কবলে পড়েন অভিনেতা। দাঁড়ানোর ক্ষমতা ছিল না। অপারেশন হয়। পায়ে ১৮৩টা সেলাই পড়ে। চিকিৎসকরা বলেছিলেন, পা বাদ দিতে হবে। কোনওরকমে সুস্থ হন। কিন্তু এই দুর্ঘটনায় দীপকের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। তাঁকে ছেড়ে চলে যান স্ত্রী।
advertisement
advertisement
এই ঘটনার পর বিয়ের উপর থেকে বিশ্বাস উঠে গিয়েছে দীপকের। ১৬ বছর লিভ ইন-এ ছিলেন। ২০২০ সালে তাঁর লিভ ইন পার্টনার নীরজার মৃত্যু হয়। একসময় তাঁর পুরুষত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। কেউ তাঁকে ‘সমকামী’ বলতেন। আবার কেউ দাগিয়ে দিতেন ‘হোমোসেক্সুয়াল’ বলে। জুম চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই বিতর্কেরও জবাব দিয়েছেন দীপক, “আমি সমকামী নই। এক সাংবাদিক চটকদার হেডলাইন তৈরির জন্য আমাকে ফাঁসিয়েছিলেন।”