Mithun Chakraborty: ‘ছিল না খাবার কেনার পয়সা, ঘুমোতে হত খোলা আকাশের নীচেই’; লড়াইয়ের দিনগুলির কথা মনে করে নিজের সম্মান ভক্তদের উদ্দেশ্যেই উৎসর্গ করলেন মিঠুন চক্রবর্তী
- Published by:Siddhartha Sarkar
- trending desk
- Reported by:Kamalika Sengupta
Last Updated:
Dadasaheb Phalke Winner Mithun Chakraborty Recalls Struggle: আপাতত কলকাতায় নিজের সাম্প্রতিক-তম ছবির শ্যুটিংয়ের কাজেই ব্যস্ত মিঠুন। সেখানে আবার হাতে চোটও পেয়েছেন তিনি। তাতেও অবশ্য থেমে নেই তাঁর কাজ।
নিজের অবিস্মরণীয় অবদানের জন্য চলচ্চিত্র জগতের সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত হতে চলেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। সোমবার সকালেই এই খবর কেন্দ্রীয় তথ্য এবং সম্প্রচার মন্ত্রকের তরফে ভাগ করে নিয়েছেন অশ্বিনী বৈষ্ণো। আর নিজের দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারটি ভক্তদের উদ্দেশ্যেই উৎসর্গ করলেন অভিনেতা। সেই সঙ্গে নিজের কেরিয়ারের প্রথম দিকের লড়াইয়ের দিনগুলির স্মৃতিচারণও করেছেন রুপোলি পর্দার মহাগুরু। Photo: PTI
advertisement
আপাতত কলকাতায় নিজের সাম্প্রতিক-তম ছবির শ্যুটিংয়ের কাজেই ব্যস্ত মিঠুন। সেখানে আবার হাতে চোটও পেয়েছেন তিনি। তাতেও অবশ্য থেমে নেই তাঁর কাজ। বরং নিজের সেরাটাই দিয়ে লড়াই করে চলেছেন। News18-এর সঙ্গে আলাপচারিতার কালে এই সম্মানে ভূষিত হওয়ার আনন্দ-উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। লড়াইয়ের প্রথম দিকের দিনগুলির স্মৃতিচারণ করে অভিনেতা জানান যে, টাকা না থাকায় একবার এক সাংবাদিকের কাছ থেকে টাকা চাইতে হয়েছিল তাঁকে। সেই গল্পটাই ভাগ করে নিলেন বলিউডের সুপারস্টার। News18-এর সঙ্গে বিশেষ আলাপচারিতায় মিঠুন চক্রবর্তী কী কী বললেন, সেটাই একবার দেখে নেওয়া যাক।
advertisement
প্রশ্ন: আপনার কেমন লাগছে? মিঠুন চক্রবর্তী: আমার ধন্যবাদ জানানোর ভাষা নেই। এমন একটা অনুভূতি হচ্ছে যে, আমি না পারছি হাসতে আর না পারছি কাঁদতে! আমার এখনও মনে আছে, একটা সময় কীভাবে আমি মুম্বইয়ের ফুটপাথে ঘুমোতাম! সেই সময় সব কিছুর জন্য আমাকে কত লড়াই করতে হত। আর আজ আমাকে যে এই সম্মান দেওয়া হয়েছে, সেটা আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না।
advertisement
advertisement
প্রশ্ন: নিজের এই সফরটাকে কীভাবে দেখেন আপনি? মিঠুন চক্রবর্তী: সেই ফুটপাত থেকে আমি আমার লড়াই শুরু করেছিলাম। খোলা আকাশের নীচে যে কত রাত কাটিয়েছি! প্রথমে আমি সি-গ্রেড ছবিতে কাজ করতাম। এরপর বি-গ্রেড ছবি ছবিতে এসেছিলাম। যখন আমি আমার প্রথম জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলাম, এক সাংবাদিক আমার সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য এসেছিলেন। আমি তাঁকে বলেছিলাম যে, ‘আমার হাতে কোনও পয়সা ছিল না বলে খাবার কিনে খেতে পারিনি। ফলে ক্ষুধার্ত ছিলাম। আর তিনি এতটাই দয়ালু ছিলেন যে, আমায় খাবার কিনে খাইয়েছিলেন।’ আর আজ আমি চারবেলা খাবার পাই। নিজের জীবনে আসলে আমি প্রচুর উত্থান-পতন দেখেছি। কিন্তু অভিনয়ের প্রতি আবেগ আর লড়াইটাই ছিল আমার মূল হাতিয়ার।
advertisement
advertisement
প্রশ্ন: সমস্ত রাজনীতিবিদ আপনাকে শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়েছেন। কুণাল ঘোষ তো আবার বলেছেন, আপনার প্রণব মুখোপাধ্যায় এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদানের কথা মনে রাখা উচিত। কারণ প্রথম ব্যক্তিত্ব আপনার নাম পদ্মশ্রীর জন্য সুপারিশ করেছিলেন। আর দ্বিতীয় ব্যক্তিত্ব তো আপনাকে সাংসদ বানিয়েছিলেন? মিঠুন চক্রবর্তী: হ্যাঁ। আমার মনে আছে। আর আমি তো নিজের ইচ্ছাতেই তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলাম। বিজেপি-ও আমায় ভোটে লড়াই করার জন্য বহু বার অফার দিয়েছে। কিন্তু আমি সব সময় সেই প্রস্তাব নাকচ করে এসেছি। আসলে আমি অভিনয়ের সঙ্গে রাজনীতিকে কখনওই মেলাইনি।
advertisement
advertisement
advertisement