ক্রমেই জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে সুশান্ত সিং মৃত্যু মামলা! উঠৈ আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য! সিবিআই-এর পাশাপাশি তদন্ত করছে এনসিবি ও ইডি! এনসিবি তদন্তে জানা যায়, লকডাউনে রিয়ার সান্তা ক্রুজের ফ্ল্যাটে কিছুদিন থাকতে চেয়েছিলেন সুশান্ত সিং রাজপুত। সে'সময় রিয়া আর সু'শান্ত দুজনেই গোপনে গাঁজা আনিয়েছিলেন। একটি ফাস্ট ডেলিভারি ক্যুরিয়ার সংস্থাকে যোগাযোগ করা হয়। জেরায় রিয়া স্বীকার করেন, ক্যুরিয়ার সংস্থা বাড়ির কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সঙ্গেই একটা বাক্সে গাঁজা ডেলিভারি করেছিল।
এনসিবি জেরায় রিয়া জানিয়েছেন, লকডাউনে রাস্তাঘাটে পুলিশ ভীষণ কড়া ছিল। তাই যাতে ধরা না পড়েন বা অন্য কারও হাতে গাঁজার প্যাকেট না পড়ে, সেই কারণেই ক্যুরিয়ার সংস্থার মাধ্যমে গাঁজা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এনসিবি হেফাজতে নিয়েছে ক্যুরিয়ার সংস্থার ওই কর্মীকেও। তিনিই শনাক্ত করেন দীপেশ সাওয়ান্ত এবং শৌভিক চক্রবর্তীকে। ওই ক্যুরিয়ার সংস্থার কর্মী এবং দীপেশের কললিস্টও যাচাই করে দেখা হয়।
এনসিবি জেরায় রিয়া স্বীকার করে নিয়েছিলেন, তিনি নিজে মাদক সেবন করতেন, সুশান্তের জন্য মাদক আনানোর ব্যবস্থা করতেন, অন্যান্য নানা জায়গায় মাদক সরবরাহও করতেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার বিশেষ আদালতে রিয়াকে 'নির্দোষ' দাবি করে জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে। আবেদনে বলা হয়, 'রিয়া কোনও অপরাধ করেননি। তাঁকে মিথ্যা ফাঁসানো হয়েছে। তাঁর থেকে এনসিবি জোর করে বয়ান আদায় করেছে!'
শুক্রবার রিয়া চক্রবর্তীর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় বিশেষ আদালত। আপাতত ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলেই থাকছেন রিয়া। খারিজ হয়ে যায় ভাই শৌভিক চক্রবর্তী-সহ এই মামলায় ধৃত আরও ৪ জনের জামিনের আবেদনও। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর তরফে দাবি করা হয়, রিয়া চক্রবর্তী 'ড্রাগ সিন্ডিকেট'-এর সঙ্গে সরাসরিভাবে যুক্ত, সক্রিয় সদস্য। NDPS আইন অনুসারে ২৭ এ, ২১, ২২, ২৮ ও ২৯ ধারায় মামলা দায়ের করেছে।
রিয়ার ভাই শৌভিক চক্রবর্তী, সুশান্তের প্রাক্তন হাউজ ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা ও অভিনেতার রাঁধুনী দীপেশের বিরুদ্ধে মাদক জোগাড় ও সুশান্তকে মাদক জোগান দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে জাইদ ভিলাত্রা ও আবদেল বসিত পরিহার নামে ২ মাদক পাচারকারীকে । গ্রেফতার হওয়া মোট ৬ জনকেই ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।