Famous Director Marriage: প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে বিয়ে করেন নিজেরই...! বলি পরিচালকের জীবন নিয়ে প্রবল কাটাছেঁড়া আজও

Last Updated:
Famous Director Marriage: ১৯৩৪ সালে পঞ্জাবের গুরুদাসপুরে জন্ম। একজন বিখ্যাত আইনজীবী পিশোরি লাল আনন্দের পুত্র। নয় ভাইবোনের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ।
1/11
এককালে দেব আনন্দের অভিনয়ে মাতোয়ারা ছিল আপামর জনতা। ইন্ডাস্ট্রিতে ছিল প্রবল প্রভাব। সবচেয়ে বড় সুপারস্টারদের মধ্যে অন্যতম। কিন্তু তাঁর ভাই চেতন আনন্দ এবং বিজয় আনন্দ হিন্দি সিনেমায় তাঁদের অবদানের জন্য যথেষ্ট কৃতিত্ব পাননি। আজ তাঁদের মনে রাখেননি সিংহভাগ মানুষ।
এককালে দেব আনন্দের অভিনয়ে মাতোয়ারা ছিল আপামর জনতা। ইন্ডাস্ট্রিতে ছিল প্রবল প্রভাব। সবচেয়ে বড় সুপারস্টারদের মধ্যে অন্যতম। কিন্তু তাঁর ভাই চেতন আনন্দ এবং বিজয় আনন্দ হিন্দি সিনেমায় তাঁদের অবদানের জন্য যথেষ্ট কৃতিত্ব পাননি। আজ তাঁদের মনে রাখেননি সিংহভাগ মানুষ।
advertisement
2/11
চেতন আনন্দ যখন ‘নীচা নগর’ এবং ‘হকিকত’-এর মতো আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত ছবিগুলি বানিয়েছিলেন, বিজয় আনন্দ ‘তিসরি মঞ্জিল’ এবং ‘জুয়েল থিফ’-এর মতো ছবিগুলি দিয়ে বলিউডে থ্রিলার ধারাকে ফের উজ্জীবিত করেছিলেন। কিন্তু একইসঙ্গে বিজয় আনন্দের ব্যক্তিগত জীবন ছিল বিতর্কিত।
চেতন আনন্দ যখন ‘নীচা নগর’ এবং ‘হকিকত’-এর মতো আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত ছবিগুলি বানিয়েছিলেন, বিজয় আনন্দ ‘তিসরি মঞ্জিল’ এবং ‘জুয়েল থিফ’-এর মতো ছবিগুলি দিয়ে বলিউডে থ্রিলার ধারাকে ফের উজ্জীবিত করেছিলেন। কিন্তু একইসঙ্গে বিজয় আনন্দের ব্যক্তিগত জীবন ছিল বিতর্কিত।
advertisement
3/11
১৯৩৪ সালে পঞ্জাবের গুরুদাসপুরে জন্ম। একজন বিখ্যাত আইনজীবী পিশোরি লাল আনন্দের পুত্র। নয় ভাইবোনের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ। শৈশবে তাঁর সোনালি চুল ছিল, তাই বিজয়কে তাঁর বাবা ‘গোল্ডিলক্স’ নামে ডাকতেন। ছবির দুনিয়াতে তাঁকে ‘গোল্ডি আনন্দ’ও বলা হত।
১৯৩৪ সালে পঞ্জাবের গুরুদাসপুরে জন্ম। একজন বিখ্যাত আইনজীবী পিশোরি লাল আনন্দের পুত্র। নয় ভাইবোনের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ। শৈশবে তাঁর সোনালি চুল ছিল, তাই বিজয়কে তাঁর বাবা ‘গোল্ডিলক্স’ নামে ডাকতেন। ছবির দুনিয়াতে তাঁকে ‘গোল্ডি আনন্দ’ও বলা হত।
advertisement
4/11
দেব আনন্দ এবং চেতন আনন্দ নবকেতন স্টুডিও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং বিজয়ও তাঁদের সঙ্গে কাজ করতে চেয়েছিলেন। তাই তাঁদের সঙ্গে দেবেন বলে মুম্বই আসেন। এবং ১৯৫৭ সালে দাদাদের সঙ্গে ‘নও দো গ্যারাহ’ পরিচালনা দিয়ে হাতেখড়ি হয় তাঁর।
দেব আনন্দ এবং চেতন আনন্দ নবকেতন স্টুডিও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং বিজয়ও তাঁদের সঙ্গে কাজ করতে চেয়েছিলেন। তাই তাঁদের সঙ্গে দেবেন বলে মুম্বই আসেন। এবং ১৯৫৭ সালে দাদাদের সঙ্গে ‘নও দো গ্যারাহ’ পরিচালনা দিয়ে হাতেখড়ি হয় তাঁর।
advertisement
5/11
তারপর থেকে ওই ব্যানারেই ছবি বানানো শুরু করেন। বিজয় আনন্দ পরিচালিত সবচেয়ে বিখ্যাত ছবি ছিল ১৯৬৫ সালের ‘গাইড’। যেটি আর কে নারায়ণের ১৯৫৮ সালের একই নামের উপন্যাসের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছিল। ছবিটি বিশাল ব্লকবাস্টার হয়ে ওঠে। এমনকি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ হিন্দি ছবিগুলির অন্তর্ভুক্ত হয়।
তারপর থেকে ওই ব্যানারেই ছবি বানানো শুরু করেন। বিজয় আনন্দ পরিচালিত সবচেয়ে বিখ্যাত ছবি ছিল ১৯৬৫ সালের ‘গাইড’। যেটি আর কে নারায়ণের ১৯৫৮ সালের একই নামের উপন্যাসের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছিল। ছবিটি বিশাল ব্লকবাস্টার হয়ে ওঠে। এমনকি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ হিন্দি ছবিগুলির অন্তর্ভুক্ত হয়।
advertisement
6/11
এক আধ্যাত্মিক গুরুকে অনুসরণ করতে শুরু করেন বিজয়। তার জেরে ছবি বানানোও ছেড়ে দেন এক সময়ে। কিন্তু পরবর্তীতে আস্থা হারান এবং অনুসরণ করা বন্ধ করে দেন। তখন তাঁর ব্যক্তিগত জীবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কারণ তিনি তাঁর প্রথম স্ত্রী লাভলিনকেও ত্যাগ করেছিলেন।
এক আধ্যাত্মিক গুরুকে অনুসরণ করতে শুরু করেন বিজয়। তার জেরে ছবি বানানোও ছেড়ে দেন এক সময়ে। কিন্তু পরবর্তীতে আস্থা হারান এবং অনুসরণ করা বন্ধ করে দেন। তখন তাঁর ব্যক্তিগত জীবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কারণ তিনি তাঁর প্রথম স্ত্রী লাভলিনকেও ত্যাগ করেছিলেন।
advertisement
7/11
প্রথম স্ত্রী লাভলিন, এবং পরে ওশো উভয়কেই ছেড়ে যাওয়ার পরে বিজয় একটি কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তাঁর সেই সিদ্ধান্তে অনেকেই চমকে গিয়েছিলেন।
প্রথম স্ত্রী লাভলিন, এবং পরে ওশো উভয়কেই ছেড়ে যাওয়ার পরে বিজয় একটি কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তাঁর সেই সিদ্ধান্তে অনেকেই চমকে গিয়েছিলেন।
advertisement
8/11
১৯৭৮ সালে তার নিজের ভাগ্নি সুষমা কোহলিকে বিয়ে করেন। তাঁর দিদির মেয়ে। তাঁদের বিয়ে সমাজের চোখে অন্যায় এবং কলঙ্কিত হওয়ায় বিজয় মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন।
১৯৭৮ সালে তার নিজের ভাগ্নি সুষমা কোহলিকে বিয়ে করেন। তাঁর দিদির মেয়ে। তাঁদের বিয়ে সমাজের চোখে অন্যায় এবং কলঙ্কিত হওয়ায় বিজয় মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন।
advertisement
9/11
কিন্তু ২০০৪ সালে হার্ট অ্যাটাকে বিজয়ের মৃত্যুর আগে পর্যন্ত দম্পতি সুখে জীবনযাপন করেছিলেন। ২০১৮ সালে, সুষমা আনন্দ এক সাক্ষাত্কারে তাঁদের সম্পর্কের বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন।
কিন্তু ২০০৪ সালে হার্ট অ্যাটাকে বিজয়ের মৃত্যুর আগে পর্যন্ত দম্পতি সুখে জীবনযাপন করেছিলেন। ২০১৮ সালে, সুষমা আনন্দ এক সাক্ষাত্কারে তাঁদের সম্পর্কের বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন।
advertisement
10/11
তাঁর কথায়, ‘‘গোল্ডি (বিজয়ের ডাকনাম) এবং আমি ১৯৭৮ সালে রাম বলরামের শুটিংয়ের সময় বিয়ে করি। তিনি আমার সরলতাকে ভালবেসেছিলেন। আর আমি তাঁর মনটাকে বুঝতে পারতাম।’’
তাঁর কথায়, ‘‘গোল্ডি (বিজয়ের ডাকনাম) এবং আমি ১৯৭৮ সালে রাম বলরামের শুটিংয়ের সময় বিয়ে করি। তিনি আমার সরলতাকে ভালবেসেছিলেন। আর আমি তাঁর মনটাকে বুঝতে পারতাম।’’
advertisement
11/11
‘‘তিনি মেজাজ হারাতেন না খুব একটা। কিন্তু আমি তাড়াতাড়ি রেগে যেতাম। ইচ্ছা করে তাঁকে বিরক্ত করতাম। কখনও তিনি আমাকে সামলাতেন, কখনও আমি তাঁকে সামলাতাম।’’ ২০২৩ সালে ৭০ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সুষমা।
‘‘তিনি মেজাজ হারাতেন না খুব একটা। কিন্তু আমি তাড়াতাড়ি রেগে যেতাম। ইচ্ছা করে তাঁকে বিরক্ত করতাম। কখনও তিনি আমাকে সামলাতেন, কখনও আমি তাঁকে সামলাতাম।’’ ২০২৩ সালে ৭০ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সুষমা।
advertisement
advertisement
advertisement