Guess the Celebrity: অভাগা অভিনেত্রী...! পুরুষসঙ্গীদের কাছে যেতেই চরম সর্বনাশ! শেষে আত্মহত্যার চেষ্টা, নরকযন্ত্রণায় ক্ষত-বিক্ষত নায়িকার রঙিন জীবন, চিনতে পারছেন?

নামকরা পরিচালকের মেয়ে, আজ বলিউডের প্রতিভাবান অভিনেত্রী৷ অভিনয়ে যেমন নজর কেড়েছেন তেমনই ব্যক্তিগত কারণের জন্যও সর্বদা শিরোনামে থেকেছেন তিনি৷

তিনি হলেন বলি অভিনেত্রী রবিনা টন্ডন,যাকে নিয়ে আজও সরগরম পেজ থ্রি-র পাতা। বলি কেরিয়ারের সাফল্যের পাশাপাশি জীবনে এসেছে একাধিক প্রেম। একদিকে একের পর এক হিট সিনেমা অন্যদিকে চুটিয়ে প্রেম সব মিলিয়ে সর্বদাই শিরোনামে থাকতেন রবিনা ট্যান্ডন।

মডেলিং দিয়ে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন বলি অভিনেত্রী রবিনা ট্যান্ডন ৷ ১৯৯১ সালে 'পাত্থর কে ফুল' সিনেমা দিয়ে বলিউডে ডেবিউ করেছিলেন। আর প্রথম ছবিতেই তার অভিনয় এতটাই জনপ্রিয় হয়েছিল যে তিনি ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডও পান।

জনপ্রিয় নায়িকা রবিনা ট্যান্ডনের হলুদ শাড়ির বৃষ্টিভেজা নাচ নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা বিশ্বকে। জনপ্রিয় গান 'টিপ টিপ বরসা পানি' নিয়ে ফ্যান্টাসাইজ করেননি এমন পুরুষের সংখ্যা প্রায় হাতে গোনা। এই গানটির পর থেকেই ভক্তের সংখ্যাও দ্বিগুণ বেড়ে গিয়েছিল। সুপারহিট নায়িকা ব্যক্তিগত জীবনের চর্চিত বিষয় নিয়ে আজও চর্চা চলে টিনসেল টাউনে৷

বলিউডের খিলাড়ি অক্ষয়ের সঙ্গে রবিনার বহুলচর্চিত মাখোমাখো প্রেম সকলেরই জানা। অক্ষয়ের প্রেমে এতটাই পাগল ছিলেন রবিনা যে অন্য নায়িকার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা মেনে নিতে পারেননি রবিনা। প্রেম চলাকালীন হঠাৎই রেখার সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল অক্ষয়ের। সেই খবর জানা মাত্রই রেখাকে অক্ষয়ের থেকে দূরে থাকার হুমকি দেন রবিনা।

বলি অভিনেতা সানি দেওলের সঙ্গেও রবিনার ডেটিংয়ের গুঞ্জন শোনা যায়। অক্ষয়ের সঙ্গে ব্রেক আপের পরই সানির সঙ্গে নাম জড়ায় রবিনার। একদিন রবিনাকে শুটিংয়ের সেটে কাঁদতে দেখে সানি । তারপর থেকেই তাদের বন্ধুত্ব গাঢ় হয়। এবং তারা কোনওদিনই নিজেদের সম্পর্কের কথা স্বীকার করেননি। সবসময়েই একে অপরকে ভাল বন্ধু বলে দাবি করেছেন তাঁরা৷

নব্বইয়ের দশকে একাধিক ছবি উপহার দিয়েছিলেন অজয় ও রবিনা৷ ১৯৯৪ সালে 'দিলওয়ালে' ছবিতে একসঙ্গে কাজ করার পর থেকেই তাদের সম্পর্কের গুঞ্জন জোরালো হয়৷ রবিনা এবং অজয় দেবগণের সম্পর্ক নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। মাত্র দু'টো ছবি করে দু'জনে অনেক বেশি ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলেন। রেস্তোরাঁ থেকে পার্টি সব জায়গাতেই দেখা গিয়েছিল এই হিট জুঁটিকে। রবিনা নাকি পাগলের মতো অজয়কে ভালবাসতেন তেমনও গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে বি-টাউনে।

'জিগর' ছবিতে অজয়ের বিপরীতে করিশ্মা কাপুরের জুটি কোনওভাবেই মেনে নিতে পারেননি রবিনা। তারপর থেকেই রবিনার প্রতি বিরক্ত হয়েছিলেন অজয়। করিশ্মার সঙ্গে সম্পর্কে জড়াতেই রবিনার থেকে দূরে সরতে থাকেন অজয়। আর অজয়ের প্রতারণা সহ্য করে না পেরেই আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রবিনা।

একাধিক পুরুষসঙ্গী জীবনে এলেও কেউই থাকেননি, শেষে ব্রেকআপের পর ফিল্ম ডিস্ট্রিবিউটর অনিল থাদানির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন রবিনা।তিনি খুব কমই জানতেন যে অনিল তাঁর প্রথম ছবি 'পাথর কে ফুল' ডিস্ট্রিবিউট করেছিলেন। সেখান থেকেই বন্ধুত্ব প্রেমে পরিণত হয় এবং ২০০৪ সালে উদয়পুরে তাঁদের বিয়ে হয়।রাশা থাদানি এবং রণবীর থাদানি তার এবং অনিল থাদানির সন্তান।

বি-টাউনে অজয় ও রবিনার এই সম্পর্ক নিয়ে জোর জলঘোলা শুরু হয়েছিল। শুধু তাই নয়, অজয় দেবগণ সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, রবিনা কেবল প্রচারে আসার জন্য এইগুলি করছেন। লাইমলাইটে থাকতেই তিনি এইসব করছেন। রবিনাও থেমে থাকেননি। তিনি অজয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন। যে রবিনাকে প্রতারণা করেছে অজয়। তার উত্তরে রবিনাকে মানসিক রোগী, এবং মাথার ডাক্তার দেখানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন অজয়। পরবর্তীতে রবিনা বলেন, আমি একদম ঠিকই ছিলাম বিচ্ছেদের পর, আসলে মিডিয়া তখন ইচ্ছা করেই হইচই ফেলেছিল যাতে ম্যাগাজিন তাঁদের ভাল বিক্রি হয়৷ রবিনা আরও বলেন, ম্যাগাজিনে এটাও ছাপা হয়েছিল তিনি আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন৷ তবে বাস্তবে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম এবং হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম৷ মেনিনজাইটিস হয়েছিল আমার৷ যদি আজও এই বিষয় নিয়ে চর্চা চলে টিনসেল টাউনে৷