Bollywood Gossip|Devdas 20 Years: ৩ কোটি পারোর বাড়ি তো ১২ কোটির চন্দ্রমুখীর সেট! আকাশছোঁয়া বাজেট, প্রযোজকের হাজতবাস

শাহরুখ খান, ঐশ্বর্য় রাই, মাধুরী দীক্ষিতকে নিয়ে দেবদাস ৷ ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সেই মুহূর্তের এক ব্যায় বহুল ছবির অন্যতম ৷ ১২ জুলাই ২০০২-এ মুক্তি পেয়েছিল সঞ্জয়লীলা বনশালীর ছবিটি ৷ সংগৃহীত ছবি ৷

দর্শকদের কাছে অতিরিক্ত মাত্রায় ভালবাসা পেয়েছিল ছবিটি একই সঙ্গে অত্যন্ত চর্চাতেও ছিল ৷ ছবি প্রিমিয়ামের জন্য কানে গিয়েছিল ৷ সংগৃহীত ছবি ৷

এই ছবিতে অত্যন্ত চোট ছোট বিষয়েরেও বড় খেয়াল রাখা হয়েছিল ৷ সেট হোক বা বিভিন্ন চরিত্রে পোশাক পরিচ্ছদ অথবা মেকআপ বা রূপসজ্জা ৷ সংগৃহীত ছবি ৷

এই কারণেই ২০ বছর আগের ছবির বাজেটই ছিল ৫০ কোটি টাকা ৷ সেই সময়ের জন্য যা অত্যন্ত বড় বিষয় ছিল ৷ সংগৃহীত ছবি ৷

দেবদাস ছবির সেট ও কস্টিউমের উপরে সব থেকে বেশি নজর দেওয়া হয়েছিল ৷ সেটের নকশা করতে গিয়ে দীর্ঘ সময়ে লেগেছে যেমন সত্যি ঠিক তেমন জলের মত পয়সা খরচ হয়েছে ৷ সংগৃহীত ছবি ৷

ছবির জন্য তিনটি অত্যন্ত বড় ও দামি সেটের নির্মাণ করা হয়েছিল, যাঁদের মধ্যে সব থেকে বেশি দামি ছিল চন্দ্রমুখীর কোঠা, সেই সময়ের বিচারে খরচ হয়েছিল ১২ কোটি টাকা ৷ সংগৃহীত ছবি ৷

অন্যদিকে পারোর বাড়ির অর্থাৎ পর্দার পারো ঐশ্বর্য রাইয়ের বাড়ি কোনও অংশে কম ছিলনা সেটি নিশ্চিত করতে বনশালী দীর্ঘ সময় নিয়েছিলেন ৷ সংগৃহীত ছবি ৷

ডিজাইনার প্রচুর পরিশ্রম করেছিলেন ৷ শুনতে পাওয়া যায় ঐশ্বর্য রাইয়ের ঘরের সেট স্টেন্ট গ্লাসে তৈরি, যেখানে গোলাপি ও নীল রঙের ব্যবহার ছিল ৷ এই সেট মোট ৩ কোটি টাকা মূল্যে নির্মিত হয়েছিল ৷ সংগৃহীত ছবি ৷

সেট ছাড়াও এই ছবির সব থেকে বেশি আকর্ষণীয় বিষয় এটাই ছিল অভিনেতা-অভিনেত্রীদের পোশাক পরিচ্ছদ ৷ যার জন্য ডিজাইনার ও সঞ্জয় লীলা বনশালী প্রচুর পরিশ্রম করেছিলেন ৷ সংগৃহীত ছবি ৷

বিশেষত চন্দ্রমুখীর ল্যাহেঙ্গা ও পারোর সাড়ির কলকাতার বাজার ছেয়ে গিয়েছিল ৷ প্রচলিত আছে ডিজাইনার নীতা লুল্লা ও প্রযোজক-পরিচালক সঞ্চয় লীলা বনশালী কলকাতা থেকে প্রায় ৬০০টি শাড়ি নিয়ে গিয়েছিলেন ৷ সংগৃহীত ছবি ৷

একই সঙ্গে শাড়ির উচ্চতা বৃদ্ধি করা হয়েছিল ৷ সব মিলিয়ে ভারতীয় টেলিভিশনের ইতিহাসে অন্যতম এলিগ্যান্ট ও রয়্যাল ছবি দেবদাস ৷ সংগৃহীত ছবি ৷

সঞ্জয়লীলা বনশালীর মনে মননে যেন দেবদাসই ছিল সেই সময়ে ৷ এই ছবিকে সফল করার জন্য প্রচুর টাকা খরচ করেছিলেন ৷ একটু একটু করেই ছবির বাজেট বাড়তে থাকে ৷ সংগৃহীত ছবি ৷

ধীরে ধীরে এই ছবির জন্য খরচ করতে করতে ৫০ কোটি টাকার গণ্ডি ছাড়িয়ে যায় ৷ এই কারণেই ছবির প্রযোজক ভরত শাহকে জেলে যেতে হয়েছিল ৷ সংগৃহীত ছবি ৷

অভিযোগ ছিল ছবিতে আন্ডারওয়াল্ডের টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিল ৷ বেশ কিছু সময়ের জন্য ছবির কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ৷ সংগৃহীত ছবি ৷