ছেড়ে গিয়েও ফের রাজের কাছে ফিরলেন পরী, হুমকিও অব্যাহত! ওপার বাংলা তোলপাড়

বিদায়ী বছরের শেষবেলা থেকে নতুন বিতর্কে মেতেছে দুই বাংলা। বাংলাদেশের সবথেকে জনপ্রিয় জুটি পরীমণি ও শরিফুল রাজের বিচ্ছেদ নিয়ে সরগরম ঢাকা থেকে কলকাতা। গত শুক্রবার মধ্যরাতে পরীর একটি পোস্টের পর তাঁদের দিকেই সকলের চোখ। কিন্তু গল্পের মোড় ঘুরছে প্রতিদিন।

সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি সংবাদমাধ্যমে রাজ এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন। রাজের কথায়, ''আমি আসলে এসব ইস্যুতে কিছুই বলতে চাই না। কী হচ্ছে, এসবের কিছুই আমি জানিও না। জানতেও চাই না। আমি বাসায় আছি। সারা রাত ঘুমাইনি। এখন ঘুমাচ্ছি, ঘুমানোর চেষ্টা করছি।''

শুক্রবার রাতে পরী পোস্ট করেন, 'হ্যাপি থার্টিফার্স্ট এভরিওয়ান! আমি আজ রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম এবং নিজেকেও মুক্ত করলাম একটা অসুস্থ সম্পর্ক থেকে। জীবনে সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকার থেকে জরুরি আর কিছুই নেই।'

তার পরে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছিলেন, এখনও তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়নি। কিন্তু, এই সম্পর্ক ভাঙার জন্যই রাজের বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন তিনি। এবং আইনি চিঠিও পাঠিয়ে দেবেন খুব তাড়াতাড়ি।

সংবাদমাধ্যম সূত্রেই জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁদের মধ্যে সমস্যা চলছিল, কিন্ত একরত্তি সন্তানের জন্য মানিয়ে চলছিলেন তাঁরা। কিন্তু আর সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান নায়িকা। তাই মধ্যরাতে চার মাসের ছেলে কোলে বসুন্ধরার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তিনি।

তারই মাঝে শনিবার রাতে জানা যায়, রাজ আবার পরীমণি নিজেদের মধ্যে সমস্যার সমাধান করে ফেলেছেন। পরী আবার রাজের বাড়ি ফিরে এসেছেন ছেলেকে নিয়ে।

আবারও বদলে যায় সম্পর্কের মোড়? বছরের প্রথম দিনেই বিছানায় রক্তের দাগের ছবি পোস্ট করেন নায়িকা। সঙ্গে লেখেন, 'লোডিং। সাংবাদিক সম্মেলন হবে আগামিকাল।' তার পরেই সংবাদমাধ্যমকে বয়ান দেন রাজ।

তার পরে ফের একটি দীর্ঘ পোস্ট দেখতে পাওয়া যায় ফেসবুকে। রক্তমাখা বিছানার চাদর এবং বালিশের নেপথ্য কারণের আঁচ পাওয়া গিয়েছে সেখানে। সম্ভবত রাজ তাঁর স্ত্রীর গায়ে হাত তুলতেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

সেই পোস্টে পরীমণি লিখেছেন, একটা সম্পর্কে পুরোপুরি সিরিয়াস বা খুব করে না চাইলে একটা মেয়ে, বাচ্চা নেওয়ার মতো এত বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে না কখনওই। আমার জীবনের সবটুকু চেষ্টা যখন এই সম্পর্কটাকে ঠিকঠাক টিকিয়ে রাখা তখনই আমাকে পেয়ে বসা হল।'

পরী লিখলেন, 'বারবার গায়ে হাত তোলা পর্যায়ে পৌঁছলে কোন সম্পর্কই আর সম্পর্ক থাকে না। রাজ্যের দিকে তাকিয়ে বার বার সব ভুলে যাই। সব ঠিক করার জন্যে পরে থাকি। কিন্তু তাতে কি আসলেই আমার বাচ্চা ভাল থাকবে! না।'

বাংলাদেশের অভিনেত্রীর পোস্টে আরও লেখা, 'একটা অসুস্থ সম্পর্ক এত কাছে থেকে দেখে দেখে ও বড় হতে পারে না। তাই আমি, রাজ্য এবং রাজের মঙ্গল এর জন্যেই আলাদা হয়ে গেলাম। রাজ এখন শুধু আমার প্রাক্তন’ই না,আমার ছেলের বাবাও। তাই রাজ্যের বাবার সন্মান রাখতে পাবলিকলি আর বাকি কিছু বলছি না আমি।

একইসঙ্গে পরী রাজের নাম না করেই সতর্ক করেছেন, 'তবে আমার উপর তার আর তার পরিবারের কোন অসুস্থ আচরণ বা হার্মফুল কিছু করার চেষ্টা করলে আমি কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবো। রাজ্য তার বাবা মাকে একসঙ্গে নিয়ে বড় হতে পারল না, এর থেকে কষ্টের আর কি হতে পারে আমার কাছে!'

মাত্র চার মাস আগে পুত্রসন্তানের অভিভাবক হয়েছেন রাজ-পরী। নাম রেখেছেন, শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য। তাঁকে নিয়ে আনন্দ মুহূর্তের সমস্ত ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়ে ভক্তদের মন জয় করতেন তারকা দম্পতি।

কখনও হানিমুনে, কখনও ছেলের জন্মের আগে শপিং, কখনও ফিফা বিশ্বকাপ নিয়ে উত্তেজনা-খুনসুটি, কখনও আবার হট ফোটোশ্যুট। তাঁদের জীবনের বিভিন্ন মুহূর্ত বারবার জনসমক্ষে এসেছেন।