এসএসসি পরীক্ষার আগেই এ কী দুর্ভোগ! আচমকা রাস্তাঘাটে চলছে না একাধিক গাড়ি, লাগামছাড়া ভাড়া দিচ্ছেন পরীক্ষার্থীরা

Last Updated:
সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হয়েছেন সেই পরীক্ষার্থীরাই, যাদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে একদিনের পরীক্ষার উপর। সকাল থেকে গাড়ি না পেয়ে কেউ হেঁটে, কেউ টোটো বা ভাড়া গাড়ির দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে কেন্দ্রে পৌঁছেছেন। মানসিক চাপের পাশাপাশি সময়মতো পৌঁছনো নিয়েও ছিল আতঙ্ক।
1/6
শুক্রবার থেকে টানা দু’দিন ধরে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন রাস্তায় অচলাবস্থা। বেসরকারি সিটি অটো ও ম্যাক্সিক্যাব মালিকদের দ্বন্দ্বের জেরে যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। শনিবারও দিনভর শিলিগুড়ি শহর ও আশপাশের রাস্তায় যাত্রী টানাটানি চলেছে। রাস্তায় টোটো, সিটি অটো থাকলেও ম্যাক্সিক্যাব বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষকে নির্ভর করতে হয়েছে ভাড়া করা গাড়ির উপর।
শুক্রবার থেকে টানা দু’দিন ধরে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন রাস্তায় অচলাবস্থা। বেসরকারি সিটি অটো ও ম্যাক্সিক্যাব মালিকদের দ্বন্দ্বের জেরে যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। শনিবারও দিনভর শিলিগুড়ি শহর ও আশপাশের রাস্তায় যাত্রী টানাটানি চলেছে। রাস্তায় টোটো, সিটি অটো থাকলেও ম্যাক্সিক্যাব বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষকে নির্ভর করতে হয়েছে ভাড়া করা গাড়ির উপর।
advertisement
2/6
শুক্রবার সকালে হঠাৎই দেখা যায় শহরের বিভিন্ন জায়গায় ম্যাক্সিক্যাব বন্ধ। যাত্রী তুলতে গিয়ে সিটি অটো ও ম্যাক্সিক্যাব চালকদের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। দুই পক্ষের টানাপোড়েনের কারণে যাত্রীরা নাজেহাল। বিশেষ করে রবিবার এসএসসি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা। সারা রাজ্য থেকে প্রায় তিন লক্ষ পরীক্ষার্থী নিচ্ছেন। শিলিগুড়িতে ১৬ টি কেন্দ্রে হচ্ছে পরীক্ষা। যেখানে শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা থেকে পরীক্ষায় অংশ নিতে আসেন পরীক্ষার্থীরা। কিন্তু ম্যাক্সিক্যাব বন্ধ থাকায় তাদের কেন্দ্রে পৌঁছতে বিপাকে পড়তে হয়।
শুক্রবার সকালে হঠাৎই দেখা যায় শহরের বিভিন্ন জায়গায় ম্যাক্সিক্যাব বন্ধ। যাত্রী তুলতে গিয়ে সিটি অটো ও ম্যাক্সিক্যাব চালকদের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। দুই পক্ষের টানাপোড়েনের কারণে যাত্রীরা নাজেহাল। বিশেষ করে রবিবার এসএসসি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা। সারা রাজ্য থেকে প্রায় তিন লক্ষ পরীক্ষার্থী নিচ্ছেন। শিলিগুড়িতে ১৬ টি কেন্দ্রে হচ্ছে পরীক্ষা। যেখানে শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা থেকে পরীক্ষায় অংশ নিতে আসেন পরীক্ষার্থীরা। কিন্তু ম্যাক্সিক্যাব বন্ধ থাকায় তাদের কেন্দ্রে পৌঁছতে বিপাকে পড়তে হয়।
advertisement
3/6
পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, সকাল থেকেই কোনো গাড়ি পাওয়া যাচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত চড়া ভাড়া দিয়ে ভাড়া গাড়ি কিংবা টোটোর উপর নির্ভর করতে হয়। অনেককে আবার কয়েক কিলোমিটার হাঁটতেও হয়েছে। শিলিগুড়ির বাসিন্দা বাসুদেব দাস বলেন, “আমি পরীক্ষায় অংশ নিতে এসেছি, কিন্তু ম্যাক্সিক্যাব না থাকায় ভাড়া গাড়ি ধরতে বাধ্য হয়েছি। সকাল থেকে চরম মানসিক চাপে আছি।”
পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, সকাল থেকেই কোনো গাড়ি পাওয়া যাচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত চড়া ভাড়া দিয়ে ভাড়া গাড়ি কিংবা টোটোর উপর নির্ভর করতে হয়। অনেককে আবার কয়েক কিলোমিটার হাঁটতেও হয়েছে। শিলিগুড়ির বাসিন্দা বাসুদেব দাস বলেন, “আমি পরীক্ষায় অংশ নিতে এসেছি, কিন্তু ম্যাক্সিক্যাব না থাকায় ভাড়া গাড়ি ধরতে বাধ্য হয়েছি। সকাল থেকে চরম মানসিক চাপে আছি।”
advertisement
4/6
শহরের টোটো-অ্যাসোসিয়েশন দাবি করেছে, ভাড়া নিয়ে বিশৃঙ্খলার জন্য তারাই দায়ী নয়। অন্যদিকে ম্যাক্সিক্যাব মালিকরা জানিয়েছেন, প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে সমস্যার সমাধান হয়নি। ফলে অনিশ্চয়তায় রয়ে গিয়েছেন সাধারণ মানুষ ও চাকরিপ্রার্থীরা।
শহরের টোটো-অ্যাসোসিয়েশন দাবি করেছে, ভাড়া নিয়ে বিশৃঙ্খলার জন্য তারাই দায়ী নয়। অন্যদিকে ম্যাক্সিক্যাব মালিকরা জানিয়েছেন, প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে সমস্যার সমাধান হয়নি। ফলে অনিশ্চয়তায় রয়ে গিয়েছেন সাধারণ মানুষ ও চাকরিপ্রার্থীরা।
advertisement
5/6
শেষমেশ রবিবার বিকেলে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার আশ্বাস দেওয়া হলেও, ততক্ষণে পরীক্ষার্থীরা যথেষ্ট ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। ছবি ও তথ্য : ঋত্বিক ভট্টাচার্য
রবিবার বিকেলে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার আশ্বাস দেওয়া হলেও, ততক্ষণে পরীক্ষার্থীরা যথেষ্ট ভোগান্তির শিকার হয়েছেন।
ছবি ও তথ্য : ঋত্বিক ভট্টাচার্য
advertisement
6/6
সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হয়েছেন সেই পরীক্ষার্থীরাই, যাদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে একদিনের পরীক্ষার উপর। সকাল থেকে গাড়ি না পেয়ে কেউ হেঁটে, কেউ টোটো বা ভাড়া গাড়ির দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে কেন্দ্রে পৌঁছেছেন। মানসিক চাপের পাশাপাশি সময়মতো পৌঁছনো নিয়েও ছিল আতঙ্ক। অনেকেরই পরীক্ষার আগে মনোসংযোগ ভেঙে গিয়েছে এই ভোগান্তির কারণে। সাধারণ মানুষের সমস্যার সঙ্গে সঙ্গে চাকরিপ্রার্থীদের স্বপ্নও যে বড় ধাক্কা খেল, তা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। তাই প্রশাসনের প্রতি তাদের একটাই আবেদন— ভবিষ্যতে যেন আর কোনও পরীক্ষার্থীকে এভাবে শঙ্কার মধ্যে পড়তে না হয়। ছবি ও তথ্য : ঋত্বিক ভট্টাচার্য
সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হয়েছেন সেই পরীক্ষার্থীরাই, যাদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে একদিনের পরীক্ষার উপর। সকাল থেকে গাড়ি না পেয়ে কেউ হেঁটে, কেউ টোটো বা ভাড়া গাড়ির দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে কেন্দ্রে পৌঁছেছেন। মানসিক চাপের পাশাপাশি সময়মতো পৌঁছনো নিয়েও ছিল আতঙ্ক। অনেকেরই পরীক্ষার আগে মনোসংযোগ ভেঙে গিয়েছে এই ভোগান্তির কারণে। সাধারণ মানুষের সমস্যার সঙ্গে সঙ্গে চাকরিপ্রার্থীদের স্বপ্নও যে বড় ধাক্কা খেল, তা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। তাই প্রশাসনের প্রতি তাদের একটাই আবেদন— ভবিষ্যতে যেন আর কোনও পরীক্ষার্থীকে এভাবে শঙ্কার মধ্যে পড়তে না হয়। ছবি ও তথ্য : ঋত্বিক ভট্টাচার্য
advertisement
advertisement
advertisement