WB Covid-19 Update: বাংলায় ফের ঊর্ধ্বমুখী কোভিড-গ্রাফ, দীপাবলির আগে সিঁদুরে মেঘ দেখছে প্ৰশাসন...
- Published by:Sanjukta Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
WB Covid 19 Update: দৈনিক করোনা সংক্রমণের (WB Covid-19 Update) গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হলেও গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা কমেছে বেশ খানিকটা।
advertisement
advertisement
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৮৪৬ জন। দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে কলকাতা। তিলোত্তমায় একদিনে ২৪২ জনের শরীরে করোনা থাবা বসিয়েছে। তারপরই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে একদিনে আক্রান্ত ১১৬ জন। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫ লক্ষ ৮৪ হাজার ৪৯২ জন।
advertisement
স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, দৈনিক সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হলেও গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা কমেছে বেশ খানিকটা। একদিনে করোনায় ১২ জনের প্রাণহানি হয়েছে। বৃহস্পতিবার সেই সংখ্যাটা ছিল ১৪। এখনও পর্যন্ত করোনা প্রাণ কেড়েছে ১৯ হাজার ৩৩ জনের। উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে পজিটিভিটি রেট। বর্তমানে রাজ্যে পজিটিভিটি রেট ২.১০ শতাংশ। একদিনে করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৭৯২ জন। এখনও পর্যন্ত মোট ১ কোটি ৮৮ লক্ষ ৪২ হাজার ৪০৮ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
advertisement
advertisement
তবে উৎসবের মরশুমে করোনার গ্রাফ সকলের চিন্তার ভাঁজ চওড়া করেছে। এই পরিস্থিতিতে কলকাতায় একটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার এবং দু’টি সেফ হোম খোলা হয়েছে। ট্যাংরা চম্পামণি মাতৃসদন সেফ হোম, হরেকৃষ্ণ শেঠ লেন সেফ হোম এবং তপসিয়ার কোয়ারেন্টাইন সেন্টার খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেই জানান কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্যবিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষ। পুজোর ভিড় দেখেই চিকিৎসকেরা আশঙ্কা করেছিলেন, উৎসব মিটলে পরিস্থিতি আবার হাতের বাইরে চলে যেতে পারে।
advertisement
গত তিনদিন ধরে করোনা আক্রান্তের যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তা দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পুরকর্তারা। বিশেষত কলকাতার (Kolkata) দৈনিক সংক্রমণের রিপোর্ট নতুন করে চিন্তায় ফেলেছে আধিকারিকদের। গতকালের পরও আজ শহরে ফের বাড়ল করোনা (Covid 19) আক্রান্তের সংখ্যা। ফলে আগাম সতর্কতা নিয়ে শহরের সেফ হোমগুলি খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল পুর কর্তৃপক্ষ।
advertisement
আক্রান্তের সংখ্যা তো উদ্বেগের কারণ বটেই, তবে সবথেকে বেশি চিন্তা বাড়াচ্ছে টিকাপ্রাপ্তদের সংক্রমণ। করোনার টিকা নেওয়ার পরও যে সংক্রমণ হতে পারে, এমন উদাহরণ আগেও দেখা গিয়েছে। তবে, এ ক্ষেত্রে সেই হার অনেকটাই বেশি। গত ২৪ ঘণ্টার রিপোর্ট অনুযায়ী, শহরের মোট আক্রান্তের প্রায় ৫০ শতাংশেরই টিকার দ্বিতীয় ডোজ় নেওয়া হয়ে গিয়েছে।