যে কোনও ইলেকট্রনিক পণ্যে এবার থেকে QR কোড, বিশেষ কী সুবিধা পাবেন ক্রেতা?

ইলেকট্রিক পণ্য, বিশেষ করে সেটা যদি চিনাবাজারজাত হয়, তা নিয়ে আমাদের মধ্যে একটা ধারণা বদ্ধমূল- ভাগ্য সহায় হলে পণ্যটি টিকে যাবে, অন্যথায় কেনার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হবে সার্ভিসিংয়ের পালা। সত্যি বলতে কী, উন্নতমানের ইলেকট্রিক পণ্যের ক্ষেত্রেও কথাটা কিছুটা হলেও প্রযোজ্য।

খুবই স্পর্শকাতর এই পণ্য, ফলে একটুতেই তার ক্ষতি হতে পারে, যতই তা ভাল করে প্যাক করা হোক না কেন! ফ্রিজ খারাপ, টিভি চলে না, মোবাইল ফোন কেনার পর পরই হ্যাং করতে থাকে- কাস্টমার কেয়ার সার্ভিসে এমন অভিযোগ প্রায় রোজই জমা পড়ে ভূরি ভূরি। অনেক সময় আবার উল্লেখ করা থাকলেও বিশেষ কোনও ফিচার পণ্যের সঙ্গে মেলে না।

যে জিনিসটা কেনা হচ্ছে, ক্রেতা যাতে সেই সম্পর্কে সব তথ্য পান, সে বিষয়ে এবার উদ্যোগী হয়েছে মিনিস্ট্রি অফ কনজিউমার অ্যাফেয়ার্স, ফুড অ্যান্ড পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন। মন্ত্রকের নির্দেশে এবার থেকে দেশে সব ইলেকট্রনিক পণ্যের বাক্সে কিউআর কোড থাকা বাধ্যতামূলক।

স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠবে এই জায়গায় এসে- যাতায়াতের রাস্তায় যদি পণ্য খারাপ হয়ে যায় বা ফ্যাক্টরি থেকেই কোনও গণ্ডগোল হয়, তাহলে কোন কাজে আসবে ক্রেতার এই কিউআর কোড?

বিষয়টাকে হালকাভাবে নিলে চলবে না। পণ্য কিনে তা খারাপ দেখা গেলে টাকা ফেরত পাওয়া বা পণ্য বদলে নেওয়ার সুযোগ সব সময়েই থাকে ক্রেতার কাছে। কিন্তু তারও আগে তাঁর পণ্যটির সম্পর্কে সব কিছু তথ্য জানা একান্ত প্রয়োজন, সেক্ষেত্রে তাঁর বস্তুটি কেনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে সুবিধা হয়, বিক্রেতাও থাকতে পারেন পুরোদস্তুর স্বচ্ছ।

সেই জন্য এবার থেকে দেশে প্রতিটি ইলেকট্রনিক পণ্য, টিভি, ফ্রিজ, ওভেন এবং যা কিছু প্লাগ ইন করে চলে, তার প্যাকেজিং বক্সে একটি কিউআর কোড থাকা বাধ্যতামূলক করে দিয়েছে মিনিস্ট্রি অফ কনজিউমার অ্যাফেয়ার্স, ফুড অ্যান্ড পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন।

কেন না, বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্যই এই ধরনের ইলেকট্রনিক পণ্যের বাক্সের গায়ে উল্লেখ করা থাকে, বাকি কিছু থাকে না। সেই সমস্যা মেটাবে এই কিউআর কোড, তা স্ক্যান করে ক্রেতা সংশ্লিষ্ট পণ্য নিয়ে যাবতীয় তথ্য পেয়ে যাবেন। উল্লেখ না করলেই নয়- নির্মাতার ফোন নম্বর এবং মেল আইডিকে এই তথ্যের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।