এই বিখ্যাত কোম্পানির রেফ্রিজারেটর এবং ওয়াশিং মেশিন ভারতে পাওয়া যাবে না, কেন সংস্থা এত বড় সিদ্ধান্ত নিল?
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
Panasonic: জানা গিয়েছে যে প্যানাসনিক ভারতে তাদের কনজিউমার ইলেকট্রনিকস ব্যবসা কমিয়ে আনছে।
বাজারে লাভ-লোকসান লেগেই থাকে। নির্দিষ্ট পণ্যের উৎপাদন বন্ করে দেয় কোনও সংস্থা। আর তাতে খুব স্বাভাবিক ভাবেই লাভ হয় প্রতিযোগীদের। ২৬ জুন, ২০২৫ তারিখ সে কথা নতুন করে প্রমাণ করল। এই দিন ইলেকট্রনিকস নির্মাতা ওয়ার্লপুল এবং ভোল্টাসের শেয়ারের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানাসনিক ভারতে রেফ্রিজারেটর এবং ওয়াশিং মেশিনের মতো লোকসানের বিভাগ থেকে বেরিয়ে আসছে, তার পরই এই দুই সংস্থার শেয়ারের দাম বেড়েছে। (File Photo)
advertisement
জানা গিয়েছে যে প্যানাসনিক ভারতে তাদের কনজিউমার ইলেকট্রনিকস ব্যবসা কমিয়ে আনছে। রেফ্রিজারেটর এবং ওয়াশিং মেশিন বিভাগ থেকে বেরিয়ে আসছে, যেখানে তারা উল্লেখযোগ্য বাজার শেয়ার দখল করতে ব্যর্থ হয়েছে, The Economic Times বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত ব্যক্তিদের উদ্ধৃতি দিয়ে এ কথা জানিয়েছে। প্যানাসনিকের একজন মুখপাত্রও এই খবরে সিলমোহর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে তাঁরা ভারতে দুটি বিভাগ থেকে বেরিয়ে আসছেন। (Representative Image)
advertisement
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে কোম্পানিটি হরিয়ানার ঝাজ্জরে অবস্থিত তাদের কারখানায় এই পণ্যগুলির উৎপাদনৃ বন্ধ করে দিচ্ছে। বর্তমানে ইউনিটটি অন্যান্য ব্র্যান্ডের জন্য চুক্তিবদ্ধ প্রস্তুতকারক হিসেবে কাজ করছে। ‘‘আমাদের বৈশ্বিক কৌশল এবং ক্রমবর্ধমান বাজারের গতিশীলতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভারতে প্যানাসনিক হোম অটোমেশন, হিটিং ভেন্টিলেশন এবং কুলিং (এসি), বি২বি সলিউশন, ইলেকট্রিক্যালস এবং এনার্জি সলিউশনের মতো ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত বৃদ্ধির ক্ষেত্রগুলিতে মনোনিবেশ করার জন্য কার্যক্রম পুনর্নির্মাণ করছে। প্যানাসনিক ইনভেন্টরি লিকুইডেশনে ডিলারদের সহায়তা করবে এবং যন্ত্রাংশ এবং ওয়ারেন্টি কভারেজ সহ সম্পূর্ণ গ্রাহক পরিষেবা প্রদান অব্যাহত রাখবে,’’ রিপোর্টে প্যানাসনিকের মুখপাত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে। (Representative Image)
advertisement
advertisement
সম্ভাব্য ছাঁটাই সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, কোম্পানির প্রতিনিধি বলেন যে এটি একটি কঠিন কিন্তু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ, ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীদের সমর্থন ও সহায়তা করার জন্য সংস্থাটি সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাজার থেকে কোনও প্রধান সংস্থা বেরিয়ে যাওয়ার ফলে এই সেগমেন্টের প্রতিদ্বন্দ্বীদের জোর বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। দেখাও যাচ্ছে তা-ই, ওয়ার্লপুলের শেয়ার ৫ শতাংশেরও বেশি বেড়ে দিনের সর্বোচ্চ ১,৪৫৫ টাকায় পৌঁছেছে, যেখানে ভোল্টাসের শেয়ার ২ শতাংশেরও বেশি বেড়ে ১,৩৪১ টাকায় লেনদেন হয়েছে।