Gold Jewellery: গয়নাতে বড় বদল! ২২ ক্যারেটের বদলে বাজার কাঁপাচ্ছে নতুন এই সোনার গয়না! জানালেন বিশেষজ্ঞ
- Published by:Soumendu Chakraborty
Last Updated:
গয়না প্রেমীদের জন্য জ্যাকপট! এবার এই ধরনের সোনার চাহিদা বাড়বে, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা
২০২৫ সালের শুরু থেকেই সোনার দাম ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। একইভাবে রূপার দামও ইতিহাসে নজিরবিহীন উচ্চতায় পৌঁছেছে। এই পরিস্থিতিতে ২২ ক্যারেট সোনা কেনা ভোক্তাদের জন্য কঠিন হয়ে উঠেছে। বছরের শুরুতে যেখানে ১০ গ্রাম সোনার দাম প্রায় ₹৮০,০০০ ছিল, বর্তমানে তা বেড়ে ₹১.৪২ লাখ ছুঁয়েছে। দাম এতটা বাড়লেও বাজারে সোনার কেনাবেচা থেমে নেই। কারণ, অত্যধিক দামি সোনার বিকল্প হিসেবে মানুষ এখন কম দামের বিকল্প খুঁজছে।
advertisement
এই পরিস্থিতিতে, ভোক্তারা ২২ ক্যারেট সোনার বদলে ১৪ ও ১৮ ক্যারেট সোনার প্রতি বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন। অতীতে এই কম ক্যারেটের সোনা মূলত হীরার গহনা তৈরিতে ব্যবহার করা হতো। তবে এর বিশুদ্ধতা কম হওয়ায় দামও তুলনামূলকভাবে কম থাকে। এর ফলে ক্রেতারা এখন বাজেটের মধ্যে সুন্দর নকশার গহনা কেনার সুযোগ পাচ্ছেন। ক্রমাগত বাড়তে থাকা সোনার দাম মানুষের মানসিকতাতেও পরিবর্তন এনেছে। এখন ওজনের চেয়ে ডিজাইন, সৌন্দর্য এবং বাজেটকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
advertisement
এই পরিবর্তনটি বিয়ের ক্ষেত্রেও স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। আহমেদাবাদ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের মতে, প্রায় দুই বছর আগেও বিয়ের গহনাগুলোর মধ্যে ২২ ক্যারেট সোনার ব্যবহার ছিল প্রায় ৭৫ শতাংশ। কিন্তু বর্তমানে তা কমে প্রায় ৫০ শতাংশে নেমে এসেছে। যদিও বিয়েতে সোনার গহনাই পরার ধারণা এখনও ব্যাপকভাবে প্রচলিত, তবুও ভারী সেটের বদলে এখন হালকা ও কম ক্যারেটের গহনা বেছে নেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। এর ফলে একদিকে যেমন খরচ কমছে, তেমনি নতুন ধরনের আধুনিক ডিজাইনের গহনা ব্যবহারের সুযোগও তৈরি হচ্ছে।
advertisement
সাধারণভাবে, সারা দেশজুড়ে সোনার দামে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য দেখা যায়। কিছু প্রধান শহরে দামের মধ্যে সামান্য তারতম্য থাকে। শুধু ক্যারেটের ভিত্তিতেই নয়, ভোক্তারা এখন শহরভিত্তিক দামের ওপর নির্ভর করেও তাদের কেনাকাটার পরিকল্পনা করছেন। সেই অনুযায়ী, গহনার বাজারে এই প্রবণতাটি স্পষ্টভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
advertisement
বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী দিনে এই প্রবণতা আরও শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারা অনুমান করছেন যে ভবিষ্যতে ১৪ ও ১৮ ক্যারেট সোনার চাহিদা আরও বাড়বে। এর মূল কারণ হলো ২২ ক্যারেট সোনার দাম ক্রমাগত বাড়ছে। একই সময়ে, বিয়ে ও উৎসবের মতো অনুষ্ঠানে সোনার চাহিদাও কমেনি। ফলে কম ক্যারেটের সোনা এখন একটি স্থিতিশীল ও বাস্তবসম্মত বিকল্প হিসেবে উঠে আসছে।
advertisement
বিনিয়োগের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে, কোটাক মাহিন্দ্রা এএমসি-র ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিলেশ শাহ মনে করেন, সোনা ও রূপার সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধি ২০২৬ সালে আবার ঘটার সম্ভাবনা কম। তবে তিনি বলেছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ক্রয় এবং রূপার শিল্পক্ষেত্রের চাহিদা থাকার কারণে এই ধাতুগুলোর দীর্ঘমেয়াদি ভবিষ্যৎ এখনও ইতিবাচকই রয়েছে। তিনি বিনিয়োগকারীদের পরামর্শ দিয়েছেন, তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বদলে সুষম সম্পদ বণ্টন (balanced asset allocation) কৌশল অনুসরণ করা উচিত।
advertisement
সামগ্রিকভাবে বলতে গেলে, সোনার দাম লাগাতার বাড়লেও বাজারের আগ্রহ কমেনি। তবে এই মূল্যবৃদ্ধি গ্রাহকদের আরও সচেতন ও বিচক্ষণভাবে চিন্তা করতে বাধ্য করেছে। এই পরিস্থিতিতে, ১৪ বা ১৮ ক্যারেট সোনা এখন আর শুধু একটি বিকল্প চাহিদা নয়, বরং পরিবর্তনশীল সময়ের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া একটি বুদ্ধিদীপ্ত প্রবণতা হয়ে উঠেছে।





