অক্ষয় তৃতীয়ায় সোনা কেনার আগে এই জিনিসগুলো মাথায় রাখুন, তাহলেই একমাত্র ব্যাপক লাভের সম্ভাবনা!

ভারতে অক্ষয় তৃতীয়াকে অত্যন্ত শুভ দিন হিসেবে মানা হয়। এই দিনে তাই অনেকেই নতুন বিনিয়োগ শুরু করেন। বিশেষ করে সোনায়। বাজার পর্যবেক্ষকদের বিশ্বাস, ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত ৬ শতাংশের বেশি দাম বৃদ্ধি হলেও স্পট গোল্ড বিস্তৃত পরিসরে লেনদেন করবে। এর আগে ২০২১ সালে হলুদ ধাতু ৪ শতাংশের বেশি হ্রাস পেয়েছিল।

সামগ্রিকভাবে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আগে গত বছরের বেশিরভাগ সময় হলুদ ধাতুর দাম সাধ্যের মধ্যেই ছিল। কিন্তু তারপর থেকে পরিস্থিতি বদলায়। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা, বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি এবং সরবরাহ-শৃঙ্খল বিঘ্নিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বব্যাপী আর্থিক প্রবৃদ্ধিও মন্থর হয়ে পড়ে। সোনার দামও হু হু করে বাড়তে থাকে। মার্কিন ডলারের বিপরীতে রুপির অবমূল্যায়নও অভ্যন্তরীণ দামকে কিছুটা বাড়িয়ে দিয়েছে।

মতিলাল অসওয়াল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেসের মতে, অক্ষয় তৃতীয়ার সময় সোনার দাম ঐতিহাসিকভাবে বাড়বে। তবে বর্তমানে দাম কিছুটা কমলেও খুব একটা নিচে নামবে না। মতিলাল অসওয়াল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস বলেছে, সোনার দাম ৫০ হাজার রুপি এবং ৪৮ হাজার এবং ৪৬ হাজার ৫০০ টাকায় তাৎক্ষণিক সমর্থন পেতে পারে।

মর্নিংস্টার ইনভেস্টমেন্ট অ্যাডভাইজার ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর ধবল কাপাডিয়া বলছেন, ‘ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে সোনার দাম আরও বাড়তে পারে। ক্রমাগত উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলি কড়াকড়ি বাড়িয়েছে। সোনার দামে এর প্রভাব পড়বে। কারণ ক্রমবর্ধমান সুদের হার সোনার জন্য নেতিবাচক। এতে সোনা ধরে রাখার খরচ বেড়ে যায়। তাছাড়া সোনা এমন সম্পদ যা উপার্জন দিতে পারে না’।

নিও-র স্ট্র্যাটেজি প্রধান স্বপ্নিল ভাস্করের কথায়, ‘মুদ্রাস্ফীতির চাপ শীঘ্রই কমবে বলে মনে হয় না। তাই সোনায় বিনিয়োগের ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল। গত ৩ বছরে হলুদ ধাতুতে ১৭ শতাংশ বার্ষিক রিটার্ন মিলেছে। অদূর ভবিষ্যতে তা আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে’।

বাজার পর্যবেক্ষকদের মতে, বিনিয়োগকারীদের বৈচিত্র্যের সুবিধার জন্য পোর্টফোলিওতে স্বর্ণের ৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ এক্সপোজার দেওয়া উচিত। এক্ষেত্রে ফিজিক্যাল গোল্ড, ডিজিটাল গোল্ড, গোল্ড ইটিএফ বা সভেরিন গোল্ড বন্ডের (এসজিবি) মাধ্যমে সোনার এক্সপোজার নেওয়া যায়।