Subrata Roy: মাত্র ২০০০ টাকায় শুরু করেন ব্যবসা, থাকতেন ভাড়া বাড়িতে; সাহারা-কর্তার উত্থানের সাক্ষী উত্তরপ্রদেশের এই শহর
- Published by:Siddhartha Sarkar
- trending desk
Last Updated:
Subrata Roy Death: সাহারা-কর্তার উত্থানের সঙ্গে গভীর যোগ রয়েছে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের। কারণ এখানেই পড়াশোনার জন্য বেশ কিছুটা সময় অতিবাহিত করেছেন তিনি।
দীর্ঘ সময় ধরে অসুস্থতায় ভুগে মঙ্গলবার রাতে মুম্বইয়ে প্রয়াত হলেন সাহারা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা সুব্রত রায়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। মুম্বইয়েই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে সাহারা-কর্তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এরপরে তাঁকে কোকিলাবেন ধীরুভাই আম্বানি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। বুধবার তাঁর মরদেহ লখনউয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা।
advertisement
সাহারা-কর্তার উত্থানের সঙ্গে গভীর যোগ রয়েছে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের। কারণ এখানেই পড়াশোনার জন্য বেশ কিছুটা সময় অতিবাহিত করেছেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, নিজের সংস্থাও প্রতিষ্ঠা করেছেন এই শহর থেকেই। মাত্র ২০০০ টাকায় একটি ফিনান্স কোম্পানির দায়িত্ব হাতে নিয়েছিলেন সুব্রত রায়। সেই সংস্থাকেই এক সময়ে ২ লক্ষ কোটি টাকার সংস্থায় পরিণত করেছেন। ১৯৭৮ সালে নিজের বন্ধু এস কে নাথের সঙ্গে মিলে ওই ফিনান্স সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন।
advertisement
শুরুতে তাঁর সম্বল ছিল সিনেমা রোডের সেই অফিস ঘর, দুটো চেয়ার আর একটা স্কুটার। ওই অফিসে তিনি ছোট দোকানিদের কাছ থেকে অল্প টাকা নিয়ে তা গচ্ছিত রাখতেন। আর কিছুটা পুঁজি জমানোর পরে ওই একই বছরে সুব্রত রায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকায় জামাকাপড় এবং পাখার একটি ছোট্ট কারখানা চালু করেন। এই সময়টায় কারখানায় তৈরি সামগ্রী নিজের স্কুটারের চেপে বিক্রি করতে বেরোতেন। এর পাশাপাশি ছোট দোকানিদের তিনি ছোট সঞ্চয়ের গুরুত্বও বোঝাতেন।
advertisement
সাহারার গোল্ডেন-কি স্কিম যুগান্তকারী বলে প্রমাণিত হয়েছিল। এক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগের পাশাপাশি ব্যাঙ্কিংয়ের প্রয়োজনীয়তাকে মিলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেখানে সময়ে সময়ে লটারির আয়োজনও করা হত। ১৯৮৩-৮৪ সাল নাগাদ সুব্রত রায়ের থেকে আলাদা হয়ে গিয়ে নিজের সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন এস কে নাথ। ফলে নিজের সংস্থার সদর দফতর লখনউয়ে স্থানান্তরিত করেন সাহারা-কর্তা।
advertisement
বেতিয়াহাতায় ভাড়া থাকতেন সুব্রত রায়: বেতিয়াহাতার আইনজীবী শক্তিপ্রকাশ শ্রীবাস্তবের বাড়িটি ভাড়া নিয়েছিলেন সাহারা-কর্তা। সেখানেই তাঁর সন্তানদের জন্ম হয়েছিল। শুরুর দিকের দিনগুলিতে রেলের পরে পূর্বাঞ্চলের বাসিন্দাদের কর্মসংস্থান জুগিয়েছিল সাহারা সংস্থা। ফলে গোরক্ষপুরের প্রতি গভীর টান ছিল সুব্রত রায়ের। ফলে ওই শহরের রিয়েল এস্টেট থেকে শুরু করে মিডিয়া সংস্থায় বড়সড় বিনিয়োগ করেছিলেন সাহারা-কর্তা।
advertisement
advertisement
সুব্রত রায়ের সৌজন্য গোরক্ষপুরে পা পড়েছিল বি-টাউনের তারকাদের। সুপারস্টার অনিল কাপুর থেকে শুরু করে দিয়া মির্জারা সকলেই উপস্থিত হয়েছিলেন। জ্যোতিষাচার্য কৃষ্ণ মুরারি মিশ্রর বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বলি-তারকারা। ফলে তা প্রচারের আলোয় চলে এসেছিল। গোরক্ষপুর প্রসঙ্গে সুব্রত রায় একবার বলেছিলেন যে, “যখনই আমি গোরক্ষপুরে আসি, তখনই আমার মনটা ভাল হয়ে যায়। এটা আমার বাড়ি। সারা বিশ্বে হয়তো অনেক শহর রয়েছে। কিন্তু গোরক্ষপুর আমার জন্য ভীষণই স্পেশ্যাল!”