Money Making Tips: ৫০,০০০ টাকা বেতনের লোকদের প্রতি মাসে কত টাকা সঞ্চয় করা উচিত? এই হল ধনী হওয়ার সেরা উপায়

Last Updated:
Savings Tips: সঞ্চয়ের জন্য বেতন বৃদ্ধির অপেক্ষা কখনও শেষ হয় না। কেউ চাইলে নিজেদের বেতন থেকেই সঞ্চয় করতে পারে। এর জন্য প্রয়োজন শুধু ইচ্ছাশক্তি ও উন্নত আর্থিক পরিকল্পনা।
1/8
বেতন বাড়তে থাকলে অনেক সময়ই খরচও বাড়তে থাকে। সেই জন্য অনেকেই সঞ্চয় করতে পারে না। এটাই দেশের অধিকাংশ মানুষের অজুহাত। এই অজুহাতে বছরের পর বছর কেটে যায়। আবার, কিছু লোক আছে যারা সবসময় বলে যে আগামী বছর বেতন একটু বাড়বে, তবেই তারা সঞ্চয় করবে কিন্তু, বাস্তবে তা হয় না। যারা বেতন বৃদ্ধির পরে কিছু অর্থ সঞ্চয় করবে বলে আশা করছে, তারা কখনও সঞ্চয় করতে সক্ষম হবে না। কারণ সঞ্চয়ের জন্য বেতন বৃদ্ধির অপেক্ষা কখনও শেষ হয় না। কেউ চাইলে নিজেদের বেতন থেকেই সঞ্চয় করতে পারে। এর জন্য প্রয়োজন শুধু ইচ্ছাশক্তি ও উন্নত আর্থিক পরিকল্পনা। আজ আমরা এই নিয়ে বিস্তারিত জানাব যে কীভাবে এবং কতটা সেভ করতে হবে।
বেতন বাড়তে থাকলে অনেক সময়ই খরচও বাড়তে থাকে। সেই জন্য অনেকেই সঞ্চয় করতে পারে না। এটাই দেশের অধিকাংশ মানুষের অজুহাত। এই অজুহাতে বছরের পর বছর কেটে যায়। আবার, কিছু লোক আছে যারা সবসময় বলে যে আগামী বছর বেতন একটু বাড়বে, তবেই তারা সঞ্চয় করবে কিন্তু, বাস্তবে তা হয় না। যারা বেতন বৃদ্ধির পরে কিছু অর্থ সঞ্চয় করবে বলে আশা করছে, তারা কখনও সঞ্চয় করতে সক্ষম হবে না। কারণ সঞ্চয়ের জন্য বেতন বৃদ্ধির অপেক্ষা কখনও শেষ হয় না। কেউ চাইলে নিজেদের বেতন থেকেই সঞ্চয় করতে পারে। এর জন্য প্রয়োজন শুধু ইচ্ছাশক্তি ও উন্নত আর্থিক পরিকল্পনা। আজ আমরা এই নিয়ে বিস্তারিত জানাব যে কীভাবে এবং কতটা সেভ করতে হবে।
advertisement
2/8
২০ হাজার টাকা বেতনের লোকদের জন্য এই ফর্মুলা -কারও বেতন প্রতি মাসে ২০,০০০ টাকা হলেও সঞ্চয় করা যেতে পারে। এই সূত্রটি বলে যে, বেতন আসার সঙ্গে সঙ্গে, প্রথমত, সঞ্চয়ের জন্য নির্ধারিত পরিমাণটি অন্য অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা। যদি দ্বিতীয় অ্যাকাউন্ট না থাকে, তবে কখনও সঞ্চয়ের জন্য নির্ধারিত পরিমাণ স্পর্শ করা যাবে না। কেউ যদি সঞ্চয়ের বিষয়ে সিরিয়াস না হয়, তবে প্রাথমিকভাবে নিজেদের বেতনের মাত্র ১০ শতাংশ সঞ্চয় করা উচিত। অর্থাৎ প্রথম ৬ মাসের জন্য প্রতি মাসে ২০০০ টাকা সঞ্চয় করতে হবে।
২০ হাজার টাকা বেতনের লোকদের জন্য এই ফর্মুলা -কারও বেতন প্রতি মাসে ২০,০০০ টাকা হলেও সঞ্চয় করা যেতে পারে। এই সূত্রটি বলে যে, বেতন আসার সঙ্গে সঙ্গে, প্রথমত, সঞ্চয়ের জন্য নির্ধারিত পরিমাণটি অন্য অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা। যদি দ্বিতীয় অ্যাকাউন্ট না থাকে, তবে কখনও সঞ্চয়ের জন্য নির্ধারিত পরিমাণ স্পর্শ করা যাবে না। কেউ যদি সঞ্চয়ের বিষয়ে সিরিয়াস না হয়, তবে প্রাথমিকভাবে নিজেদের বেতনের মাত্র ১০ শতাংশ সঞ্চয় করা উচিত। অর্থাৎ প্রথম ৬ মাসের জন্য প্রতি মাসে ২০০০ টাকা সঞ্চয় করতে হবে।
advertisement
3/8
বর্তমান সময়ে, বেশিরভাগ লোকের বেতন প্রায় ৫০,০০০ টাকা। যদি কারও বেতন প্রায় ৫০ হাজার টাকা হয়, তাহলে জেনে নেওয়া যাক, প্রতি মাসে কত টাকা সঞ্চয় করা উচিত এবং কোথায় বিনিয়োগ করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এটি একটি বড় তহবিল গড়ে উঠতে পারে এবং সমস্যার সময়ে তা কাজে লাগতে পারে।
বর্তমান সময়ে, বেশিরভাগ লোকের বেতন প্রায় ৫০,০০০ টাকা। যদি কারও বেতন প্রায় ৫০ হাজার টাকা হয়, তাহলে জেনে নেওয়া যাক, প্রতি মাসে কত টাকা সঞ্চয় করা উচিত এবং কোথায় বিনিয়োগ করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এটি একটি বড় তহবিল গড়ে উঠতে পারে এবং সমস্যার সময়ে তা কাজে লাগতে পারে।
advertisement
4/8
যদি কেউ বিবাহিত হয়, দুটি সন্তান থাকে এবং তারপরেও নিজেদের বেতন থেকে ৫০,০০০ টাকা বাঁচাতে পারে। সাধারণত, যারা প্রাইভেট চাকরি করে তাদের প্রতি মাসে বেতনের প্রায় ৩০ শতাংশ সঞ্চয় করা উচিত। নিয়ম বলছে প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা বাঁচাতে হবে। যদি কারও বেতন প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা হয় এবং প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা সঞ্চয় না করে, তাহলে নিজেদের বিনিয়োগের লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে না। তাদের অবিলম্বে এটি সম্পর্কে ভাবতে হবে।
যদি কেউ বিবাহিত হয়, দুটি সন্তান থাকে এবং তারপরেও নিজেদের বেতন থেকে ৫০,০০০ টাকা বাঁচাতে পারে। সাধারণত, যারা প্রাইভেট চাকরি করে তাদের প্রতি মাসে বেতনের প্রায় ৩০ শতাংশ সঞ্চয় করা উচিত। নিয়ম বলছে প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা বাঁচাতে হবে। যদি কারও বেতন প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা হয় এবং প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা সঞ্চয় না করে, তাহলে নিজেদের বিনিয়োগের লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে না। তাদের অবিলম্বে এটি সম্পর্কে ভাবতে হবে।
advertisement
5/8
প্রাথমিকভাবে ১০% সঞ্চয় -কেউ যদি সঞ্চয় করতে শুরু করে, তাহলে ১০ শতাংশ দিয়ে শুরু করতে হবে। কিন্তু, প্রতি ৬ মাসে এটি বাড়াতে হবে, যতক্ষণ না ৩০ শতাংশ মাসিক সঞ্চয় না হয়। এতে শুরুতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। নিজেদের খরচ কভার করা যাবে না। কারণ ইতিমধ্যেই নিজেদের পুরো বেতন খরচ করার অভ্যাস গড়ে উঠেছে। কিন্তু, নিজেই এই অভ্যাস পরিবর্তন করা যেতে পারে মাত্র ৬ মাসে। এর জন্য সবার আগে খরচের তালিকা তৈরি করতে হবে। এর প্রথমে যা বিশেষ প্রয়োজন তার স্থান দিতে হবে, তারপর সেই খরচগুলি বিবেচনা করতে হবে, যার উপর কাঁচি চালানো যেতে পারে, অর্থাৎ ডিডাকশন করা সম্ভব।
প্রাথমিকভাবে ১০% সঞ্চয় -কেউ যদি সঞ্চয় করতে শুরু করে, তাহলে ১০ শতাংশ দিয়ে শুরু করতে হবে। কিন্তু, প্রতি ৬ মাসে এটি বাড়াতে হবে, যতক্ষণ না ৩০ শতাংশ মাসিক সঞ্চয় না হয়। এতে শুরুতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। নিজেদের খরচ কভার করা যাবে না। কারণ ইতিমধ্যেই নিজেদের পুরো বেতন খরচ করার অভ্যাস গড়ে উঠেছে। কিন্তু, নিজেই এই অভ্যাস পরিবর্তন করা যেতে পারে মাত্র ৬ মাসে। এর জন্য সবার আগে খরচের তালিকা তৈরি করতে হবে। এর প্রথমে যা বিশেষ প্রয়োজন তার স্থান দিতে হবে, তারপর সেই খরচগুলি বিবেচনা করতে হবে, যার উপর কাঁচি চালানো যেতে পারে, অর্থাৎ ডিডাকশন করা সম্ভব।
advertisement
6/8
কারও যদি মাসে ৪ বার বাইরে খাওয়ার অভ্যাস থাকে তবে তা কমিয়ে মাসে ২ বার করতে হবে। এর বাইরে অপ্রয়োজনীয় খরচের একটি তালিকা তৈরি করতে হবে, যা প্রতি মাসে অপ্রয়োজনীয়ভাবে ব্যয় করা হয়। প্রতিটি মানুষই তার বেতনের প্রায় ১০ শতাংশ অপ্রয়োজনীয়ভাবে ব্যয় করে।
কারও যদি মাসে ৪ বার বাইরে খাওয়ার অভ্যাস থাকে তবে তা কমিয়ে মাসে ২ বার করতে হবে। এর বাইরে অপ্রয়োজনীয় খরচের একটি তালিকা তৈরি করতে হবে, যা প্রতি মাসে অপ্রয়োজনীয়ভাবে ব্যয় করা হয়। প্রতিটি মানুষই তার বেতনের প্রায় ১০ শতাংশ অপ্রয়োজনীয়ভাবে ব্যয় করে।
advertisement
7/8
তাছাড়া অনলাইনের এই যুগে কারও যদি ক্রেডিট কার্ড থাকে, তাহলে তার ব্যবহার সীমিত করতে হবে। কারও যদি অনেক ক্রেডিট কার্ড থাকে, তবে তার মধ্যে কয়েকটি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। এছাড়া অনলাইন শপিং এড়িয়ে চলতে হবে। কেউ যখনই কেনাকাটার জন্য বাইরে যায়, বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে একটি তালিকা তৈরি করতে হবে। আর একটা কথা মনে রাখতে হবে যে, বেতন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এমন জিনিস ক্রয় করা উচিত নয়, যেগুলো প্রয়োজনে কাজে লাগে না। এই পদ্ধতিতে যে কেউ প্রতি মাসে নিজেদের বেতনের ৩০ শতাংশ সঞ্চয় করতে পারে।
তাছাড়া অনলাইনের এই যুগে কারও যদি ক্রেডিট কার্ড থাকে, তাহলে তার ব্যবহার সীমিত করতে হবে। কারও যদি অনেক ক্রেডিট কার্ড থাকে, তবে তার মধ্যে কয়েকটি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। এছাড়া অনলাইন শপিং এড়িয়ে চলতে হবে। কেউ যখনই কেনাকাটার জন্য বাইরে যায়, বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে একটি তালিকা তৈরি করতে হবে। আর একটা কথা মনে রাখতে হবে যে, বেতন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এমন জিনিস ক্রয় করা উচিত নয়, যেগুলো প্রয়োজনে কাজে লাগে না। এই পদ্ধতিতে যে কেউ প্রতি মাসে নিজেদের বেতনের ৩০ শতাংশ সঞ্চয় করতে পারে।
advertisement
8/8
সঞ্চয় সঠিক জায়গায় বিনিয়োগ করা প্রয়োজন -এই ফর্মুলার সাহায্যে ৫০ হাজার টাকা বেতনের লোকেরা বার্ষিক ১.৮০ লাখ টাকা বাঁচাতে পারবে। কেউ যখন প্রতি মাসে ১৫,০০০ টাকা সঞ্চয় করে, তখন জরুরি তহবিল হিসাবে এর মধ্যে ৫০০০ টাকা রাখতে হবে। মিউচুয়াল ফান্ডে প্রতি মাসে ৫০০০ টাকার SIP করা যেতে পারে। এছাড়া বাকি ৫ হাজার টাকা রেকারিং ডিপোজিট বা গোল্ড বন্ডে বিনিয়োগ করা যাবে। যখনই বেতন বাড়বে, সেই অনুযায়ী বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়াতে হবে। কেউ যদি ১০ বছর ধরে সঞ্চয় এবং বিনিয়োগ করে, তবে ভবিষ্যতে আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হতে হবে না। বিপদে এই তহবিলটিই একটি বড় সহায়ক হবে।
সঞ্চয় সঠিক জায়গায় বিনিয়োগ করা প্রয়োজন -এই ফর্মুলার সাহায্যে ৫০ হাজার টাকা বেতনের লোকেরা বার্ষিক ১.৮০ লাখ টাকা বাঁচাতে পারবে। কেউ যখন প্রতি মাসে ১৫,০০০ টাকা সঞ্চয় করে, তখন জরুরি তহবিল হিসাবে এর মধ্যে ৫০০০ টাকা রাখতে হবে। মিউচুয়াল ফান্ডে প্রতি মাসে ৫০০০ টাকার SIP করা যেতে পারে। এছাড়া বাকি ৫ হাজার টাকা রেকারিং ডিপোজিট বা গোল্ড বন্ডে বিনিয়োগ করা যাবে। যখনই বেতন বাড়বে, সেই অনুযায়ী বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়াতে হবে। কেউ যদি ১০ বছর ধরে সঞ্চয় এবং বিনিয়োগ করে, তবে ভবিষ্যতে আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হতে হবে না। বিপদে এই তহবিলটিই একটি বড় সহায়ক হবে।S
advertisement
advertisement
advertisement