Ratan Tata Work: তিনি ছিলেন সর্বময় কর্তা, কিন্তু টাটা গোষ্ঠীতে ঢুকে প্রথম কী করেছিলেন রতন টাটা জানেন? চমকে উঠবেন জানলে
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
Last Updated:
Ratan Tata Work: শতাধিক বছর আগে টাটা গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠা করেন রতনের প্রপিতামহ। ১৯৯১ সালে সেই গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান হন তিনি।
দুর্গাপুজোর আবহেই চলে গেলেন রতন টাটা। তিনি তো নেহাত শিল্পপতি বা টাটা গ্রুপের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ছিলেন না, তিনি ছিলেন এক আদর্শের নাম। যিনি কোটি-কোটি মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছেন। কর্পোরেট চাকচিক্য নয়, তাঁকে একেবারে নিজেদের একজন ভেবে এসেছেন আমজনতা। নিজের চোখে না দেখার পরও আদর্শ হয়ে থেকেছেন তিনি। রাস্তার গরীব-গুর্বো থেকে পথকুকুর, রতন টাটা ‘বন্ধু’ ছিলেন সকলের।
advertisement
শতাধিক বছর আগে টাটা গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠা করেন রতনের প্রপিতামহ। ১৯৯১ সালে সেই গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান হন তিনি। তখন মূলত অটোমোবাইল এবং ইস্পাতশিল্প ক্ষেত্রে ছড়িয়ে ছিল টাটা গোষ্ঠীর ব্যবসা। ১৯৯৬ সালে টাটা টেলিসার্ভিস শুরু করেন রতন টাটা। ২০০২ সালে শুরু করেন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ‘টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিস’। ২০১২ সালে টাটা গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থার সরাসরি দায়িত্ব থেকে সরে সাম্মানিক পদে বসেন রতন। কিন্তু ততদিনে টাটা মানেই রতন টাটা।
advertisement
advertisement
মুম্বইয়ের ক্যাম্পিয়ন স্কুলে ভর্তি হন রতন। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সেখানেই পড়াশোনা তাঁর। এরপর মুম্বইয়েরই ক্যাথিড্রাল অ্যান্ড জন কনন স্কুলে রতন টাটার পড়াশোনা। সিমলার বিশপ কটন স্কুল এবং আমেরিকার নিউ ইয়র্কের রিভারডেল কান্ট্রি স্কুলেও পড়াশোনা করেছেন তিনি। ১৯৫৫ সালে রতন গ্র্যাজুয়েট হন রিভারডেল কান্ট্রি স্কুল থেকে। ১৯৫৯-এ কর্নেল ইউনিভার্সিটি থেকে তিনি স্থাপত্যবিদ্যায় স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। আমেরিকার জোনস অ্যান্ড ইমনস নামে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্মে কিছুদিন কাজও করেন তিনি।
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
রতন টাটা শুধু শিল্পপতিই নন, তিনি একজন সমাজসেবী, একজন দূরদর্শী মানুষ। মানুষের পাশে যেমন তিনি ছিলেন, তেমনই নিজের পেশা, ব্যবসাকেও যেন এক নতুন উদ্যম দিয়েছিলেন, যা গোটা দেশের শিল্পপতি, এমনকী অতি সাধারণ মানুষকেও অনুপ্রেরণা জুগিয়ে গিয়েছে, যাবে বহুকাল। রতন টাটা আসলে একটা সংকল্পের নাম। জেদ আর মানুষের কল্যাণকামী মানসিকতা থাকলে বিশ্ব জয় করা সম্ভব, এমনটাই বোধহয় বুঝিয়েছিলেন ‘টাটা’। রতন টাটা যেন এক শিল্পী, যিনি বহু মানুষের জন্য ক্যানভাস ভরিয়েছিলেন রঙে।