Ratan Tata Best Friend: চলে গিয়েছেন রতন টাটা! রয়ে গেলেন 'বেস্ট ফ্রেন্ড'! জানেন রতন টাটার প্রিয় বন্ধু কে? শুনে কিন্তু চমকে উঠবেন

Last Updated:
Ratan Tata Best Friend: কয়েক বছর আগে শান্তনু প্রচারের আলোয় এসেছিলেন। তাঁকে দেখা গিয়েছিল, রতন টাটার সঙ্গে বসে কেক কাটছেন।
1/7
তাঁর যৌবনকালের ছবি এখনও ঝড় তুলতে পারে হাজার মহিলার মনে। তিনি কিন্তু অকৃতদার। তাঁর জীবন-যৌবন সবই উৎসর্গ করেছিলেন টাটা গ্রুপের জন্য। চিরকুমার ছিলেন রতন টাটা। চলতি বছরেই প্রয়াণ ঘটে তাঁর। তবে কয়েক বছর আগে একটি ছবি সকলের নজর কেড়েছিল। দেখা গিয়েছিল এক অল্পবয়সী যুবকের সঙ্গে বসে কেক কাটছেন রতন টাটা। তিনি তো অবিবাহিত, তাহলে এই যুবক কে? সকলেই তো রতন টাটাকে চেনেন, কিন্তু অশীতিপর শিল্পপতির ছায়াসঙ্গীকে চেনেন?
তাঁর যৌবনকালের ছবি এখনও ঝড় তুলতে পারে হাজার মহিলার মনে। তিনি কিন্তু অকৃতদার। তাঁর জীবন-যৌবন সবই উৎসর্গ করেছিলেন টাটা গ্রুপের জন্য। চিরকুমার ছিলেন রতন টাটা। চলতি বছরেই প্রয়াণ ঘটে তাঁর। তবে কয়েক বছর আগে একটি ছবি সকলের নজর কেড়েছিল। দেখা গিয়েছিল এক অল্পবয়সী যুবকের সঙ্গে বসে কেক কাটছেন রতন টাটা। তিনি তো অবিবাহিত, তাহলে এই যুবক কে? সকলেই তো রতন টাটাকে চেনেন, কিন্তু অশীতিপর শিল্পপতির ছায়াসঙ্গীকে চেনেন?
advertisement
2/7
ওই যুবক আসলে শান্তনু নাইডু। ২৮ বছর বয়সী এই যুবককে সর্বদাই রতন টাটার সঙ্গে দেখা যায়। তিনি রতন টাটার অ্যাসিস্টেন্ট, একইসঙ্গে টাটা কোম্পানির সবথেকে কমবয়সী জেনারেল ম্যানেজারও।
ওই যুবক আসলে শান্তনু নাইডু। ২৮ বছর বয়সী এই যুবককে সর্বদাই রতন টাটার সঙ্গে দেখা যায়। তিনি রতন টাটার অ্যাসিস্টেন্ট, একইসঙ্গে টাটা কোম্পানির সবথেকে কমবয়সী জেনারেল ম্যানেজারও।
advertisement
3/7
কয়েক বছর আগে শান্তনু প্রচারের আলোয় এসেছিলেন। তাঁকে দেখা গিয়েছিল, রতন টাটার সঙ্গে বসে কেক কাটছেন। নিমেষেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি ভাইরাল হয়। রতন টাটা নিজেও জানান, শান্তনু তাঁর সন্তানতুল্য।
কয়েক বছর আগে শান্তনু প্রচারের আলোয় এসেছিলেন। তাঁকে দেখা গিয়েছিল, রতন টাটার সঙ্গে বসে কেক কাটছেন। নিমেষেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি ভাইরাল হয়। রতন টাটা নিজেও জানান, শান্তনু তাঁর সন্তানতুল্য।
advertisement
4/7
অতি সাধারণ এক যুবক শান্তনু নাইডু। ২০১৪ সালে স্নাতক উত্তীর্ণ হন শান্তনু। ভালবাসেন পশু-পাখি। সেই কারণেই কেরিয়ারের শুরু করেছিলেন একটি এনজিও সংস্থা থেকে। সেখান থেকেই তাঁর সঙ্গে রতন টাটার পরিচয়। একদিন শান্তনু দেখতে পান, রাস্তার মাঝে একটি কুকুরের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। ওই দৃশ্য দেখে তাঁর মনে হয়, পথকুকুরদের প্রাণ বাঁচানোর জন্য কিছু করা উচিত।
অতি সাধারণ এক যুবক শান্তনু নাইডু। ২০১৪ সালে স্নাতক উত্তীর্ণ হন শান্তনু। ভালবাসেন পশু-পাখি। সেই কারণেই কেরিয়ারের শুরু করেছিলেন একটি এনজিও সংস্থা থেকে। সেখান থেকেই তাঁর সঙ্গে রতন টাটার পরিচয়। একদিন শান্তনু দেখতে পান, রাস্তার মাঝে একটি কুকুরের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। ওই দৃশ্য দেখে তাঁর মনে হয়, পথকুকুরদের প্রাণ বাঁচানোর জন্য কিছু করা উচিত।
advertisement
5/7
সেই কারণেই শান্তনু ও কয়েকজন বন্ধু মিলে এক বিশেষ কলার তৈরি করেন, যা পরা থাকলে অন্ধকারেও দূর থেকে কুকুরটিকে দেখা যাবে। পরেরদিন থেকেই পথকুকুরদের এই কলার পরানো শুরু করেন শান্তনু ও তাঁর বন্ধুরা। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমও তাঁদের এই উদ্য়োগের প্রশংসা করে প্রতিবেদন বের করে।
সেই কারণেই শান্তনু ও কয়েকজন বন্ধু মিলে এক বিশেষ কলার তৈরি করেন, যা পরা থাকলে অন্ধকারেও দূর থেকে কুকুরটিকে দেখা যাবে। পরেরদিন থেকেই পথকুকুরদের এই কলার পরানো শুরু করেন শান্তনু ও তাঁর বন্ধুরা। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমও তাঁদের এই উদ্য়োগের প্রশংসা করে প্রতিবেদন বের করে।
advertisement
6/7
এই উদ্যোগকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতেই রতন টাটাকে চিঠি লিখেছিলেন শান্তনু। দুই মাস পর সেই চিঠির জবাব আসে। রতন টাটা নিজে শান্তনুর চিঠির জবাব দেন। চিঠিতে তিনি শান্তনুর কাজের প্রশংসা করেন এবং দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। দিন কয়েক বাদে সত্যিই মুম্বইয়ে রতন টাটার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান শান্তনু। তাঁর সঙ্গে কথা বলে এত ভাল লেগেছিল রতন টাটার যে তিনি নিজের পোষ্য কুকুরদের দেখাতেও নিয়ে যান। সেখান থেকেই বন্ধুত্বের শুরু।
এই উদ্যোগকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতেই রতন টাটাকে চিঠি লিখেছিলেন শান্তনু। দুই মাস পর সেই চিঠির জবাব আসে। রতন টাটা নিজে শান্তনুর চিঠির জবাব দেন। চিঠিতে তিনি শান্তনুর কাজের প্রশংসা করেন এবং দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। দিন কয়েক বাদে সত্যিই মুম্বইয়ে রতন টাটার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান শান্তনু। তাঁর সঙ্গে কথা বলে এত ভাল লেগেছিল রতন টাটার যে তিনি নিজের পোষ্য কুকুরদের দেখাতেও নিয়ে যান। সেখান থেকেই বন্ধুত্বের শুরু।
advertisement
7/7
শান্তনু পড়াশোনার জন্য বিদেশে চলে গেলেও, রতন টাটার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কে ছেদ পড়েনি। টাটা গ্রুপ তাঁর ডগ কলারের উদ্যোগে বিনিয়োগ করে। রতন টাটার এই মানবিক উদ্যোগে শান্তনু এতটাই আপ্লুত হয় যে দেশে ফিরে টাটা গ্রুপেই কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন। ভারতে ফেরার দিন কয়েক পরই শান্তনুর কাছে ফোন আসে রতন টাটার। ও’প্রান্ত থেকে রতন টাটা বলেন, “আমার অফিসে অনেক কাজ। আমার অ্যাসিস্টেন্ট হবে?”। প্রস্তাব ফেরাতে পারেননি শান্তনু। বন্ধু থেকে রতন টাটার সর্বক্ষণের ছায়াসঙ্গী হয়ে ওঠেন শান্তনু।
শান্তনু পড়াশোনার জন্য বিদেশে চলে গেলেও, রতন টাটার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কে ছেদ পড়েনি। টাটা গ্রুপ তাঁর ডগ কলারের উদ্যোগে বিনিয়োগ করে। রতন টাটার এই মানবিক উদ্যোগে শান্তনু এতটাই আপ্লুত হয় যে দেশে ফিরে টাটা গ্রুপেই কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন। ভারতে ফেরার দিন কয়েক পরই শান্তনুর কাছে ফোন আসে রতন টাটার। ও’প্রান্ত থেকে রতন টাটা বলেন, “আমার অফিসে অনেক কাজ। আমার অ্যাসিস্টেন্ট হবে?”। প্রস্তাব ফেরাতে পারেননি শান্তনু। বন্ধু থেকে রতন টাটার সর্বক্ষণের ছায়াসঙ্গী হয়ে ওঠেন শান্তনু।
advertisement
advertisement
advertisement