Ratan Tata Wealth: আয়ের একটা বড় অংশ দান করতেন সেবামূলক কাজে, কত পরিমাণ সম্পত্তি রেখে গেলেন রতন টাটা?
- Published by:Dolon Chattopadhyay
- trending desk
- Written by:Trending Desk
Last Updated:
Ratan Tata Wealth: মৃত্যুর কালে ৮৬ বছর বয়স হয়েছিল টাটা সন্সের প্রাক্তন চেয়ারম্যানের। গত ৭ অক্টোবর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে বয়সজনিত রুটিন চেক-আপের জন্য মুম্বইয়ের এক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু চিকিৎসা চলাকালীনই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন বর্ষীয়ান এবং কোটিপতি শিল্পপতি রতন টাটা। মৃত্যুর কালে ৮৬ বছর বয়স হয়েছিল টাটা সন্সের প্রাক্তন চেয়ারম্যানের। গত ৭ অক্টোবর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এরপর নিজেই একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছিলেন যে, তাঁর শরীর ভাল আছে। অথচ ৯ অক্টোবর প্রয়াত হলেন তিনি। জেনে নেওয়া যাক কত সম্পত্তি রয়েছে রতন টাটার।
advertisement
১৯৯১ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত টাটা গ্রুপের দায়িত্ব সামলেছেন:মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন রতন টাটা। যা জানার পরে শোকস্তব্ধ হয়ে গিয়েছে গোটা দেশ। দেশের সেরা সফল ব্যবসায়ীদের মধ্যে অন্যতম হলেন রতন টাটা। তাঁর তত্ত্বাবধানেই দেশে তথা গোটা বিশ্বে টাটা গ্রুপ নিজেদের ছাপ রাখতে সক্ষম হয়েছে। ১৯৯১ সালে টাটা গ্রুপের দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি। ২০১২ সাল পর্যন্ত ওই সংস্থার চেয়ারম্যান পদে ছিলেন তিনি।
advertisement
রতন টাটার সম্পত্তি:সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে টাটা গ্রুপের ব্যবসা। ভারতীয় গৃহস্থালি থেকে শুরু করে আকাশের উড়োজাহাজে পর্যন্ত টাটার নামের উপস্থিতি চোখে পড়বে। এই গ্রুপের রয়েছে শতাধিক লিস্টেড এবং আনলিস্টেড কোম্পানি। তাদের মোট ব্যবসার পরিমাণ ৩০০ বিলিয়ন ডলার। প্রয়াত রতন টাটার মোট সম্পত্তির কথা বলতে গেলে কিছু প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে যে, প্রায় ৩৮০০ কোটি টাকার সম্পত্তি রেখে গিয়েছেন তিনি।
advertisement
আয়ের বড় অংশ যেত দান-কাজে:১৯৩৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেছিলেন রতন টাটা। রতন টাটার সম্পদের এই পরিসংখ্যান তাঁর বিশ্বব্যাপী ব্যবসার বিবেচনায় কম বলে মনে হতে পারে। এর কারণ কী। আসলে রতন টাটার আয়ের একটা বড় অংশ চলে যেন সেবামূলক কাজে। ঔদার্যের জন্য খ্যাতি লাভ করেছিলেন তিনি। এমনকী দেশের সবথেকে বড় জনহিতৈষীদের মধ্যে অন্যতম তিনি। নিজের আয়ের একটা বড় অংশ দিয়ে দিতেন টাটা ট্রাস্টে। টাটা ট্রাস্ট হোল্ডিং কোম্পানির অধীনে সংস্থাগুলির দ্বারা করা মোট উপার্জনের ৬৬ শতাংশ অবদান রয়েছে এটির।
advertisement
সকলকে সাহায্য করতেন রতন টাটা:২০০৪ সালের সুনামিই হোক কিংবা সারা দেশে করোনা অতিমারী ছড়িয়ে পড়াই হোক, সমস্ত সঙ্কটে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে পুরোভাগে ছিলেন রতন টাটাই। শুধুই সাহায্য নয়, সমাজসেবার ক্ষেত্রেও সবার আগেই থাকেন তিনি। এমনকী যেসব ছাত্রছাত্রীরা টাকার অভাবে পড়াশোনা করতে পারছে না, তাদের দিকেও সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন তিনি। আসলে এই ধরনের পড়ুয়াদের স্কলারশিপ দিয়ে থাকে রতন টাটার সংস্থা। মূলত জেএন টাটা এনডাউমেন্ট, স্যার রতন টাটা স্কলারশিপ এবং টাটা স্কলারশিপের তরফে সাহায্য করা হয় দরিদ্র পড়ুয়াদের।