এই প্ল্যানগুলির খুঁটিনাটি জেনে নিন, অবসরের পর টাকাপয়সার চিন্তা থাকবে না!

চাকরি থেকে অবসর নেওয়া মানে আয়ের পথ বন্ধ। তাহলে চলবে কী করে? সে জন্যই পেনশন প্ল্যান। চাকরিরত অবস্থায় বেতনের একটা অংশ পেনশন স্কিমে বিনিয়োগ করতে হয়। অবসর গ্রহণের সময় মেলে রিটার্ন।

এতে প্রয়োজনীয়তা পূরণ তো হয়ই, ভবিষ্যতে টাকাপয়সা নিয়েও চিন্তা করতে হয় না। সোজা কথায়, পেনশন প্ল্যান হল দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ স্কিম। এতে মোটা টাকা সঞ্চয় করা হয় যাতে বিনিয়োগকারী অবসরের পর নিরাপদ আর্থিক ভবিষ্যৎ পেতে পারেন।

বাজারে একাধিক কোম্পানি রয়েছে। তারা বিভিন্ন ধরনের পেনশন স্কিম চালায়। এই সব স্কিম গ্রাহকদের প্রয়োজনীয়তার উপর ভিত্তি করে তৈরি। ফলে বৈশিষ্ট্যও আলাদা। অবসর পরবর্তী লক্ষ্য কী, সেই অনুযায়ী পেনশন স্কিম বেছে নেওয়া উচিত। এখানে দেশের সেরা ৪ পেনশন প্ল্যানের তালিকা দেওয়া হল।

এলআইসি নিউ জীবন নিধি প্ল্যান: এই প্ল্যানে সঞ্চয় এবং নিরাপত্তা – দুই রকম সুবিধাই পাওয়া যায়। আয়কর আইনের অধীনে প্রদত্ত প্রিমিয়ামে করছাড় মেলে। সর্বনিম্ন ২০ বছর বয়সে বিনিয়োগ শুরু করা যায়। সর্বোচ্চ বয়স ৫৮ বছর। ন্যূনতম ৫ বছর বা সর্বোচ্চ ৩৫ বছরের জন্য এলআইসি নিউজ জীবন নিধি প্ল্যানে বিনিয়োগ করা যায়।

এসবিআই লাইফ সরল পেনশন প্ল্যান: এসবিআই লাইফ সরল পেনশন প্ল্যানে প্রথম পাঁচ বছরে ২.৫০ শতাংশ থেকে ২.৭৫ শতাংশের মধ্যে নিশ্চিত বোনাস দেওয়া হয়। বিনিয়োগের সর্বনিম্ন বয়স ১৮ বছর এবং সর্বোচ্চ বয়স ৬০ বছর। এছাড়াও, এসবিআই লাইফ সরল পেনশন প্ল্যানে সর্বনিম্ন ৫ বছর এবং সর্বোচ্চ ৪০ বছরের জন্য বিনিয়োগ করা যায়।

এইচডিএফসি লাইফ ক্লিক ২ ওয়েলথ: এই প্ল্যানে বছরে সর্বনিম্ন ১২ হাজার টাকা প্রিমিয়াম দিতে হয়। অর্থাৎ মাসে ১ হাজার টাকা। বিনিয়োগের সর্বনিম্ন বয়স ১৮ বছর এবং সর্বোচ্চ বয়স ৬০ বছর। এইচডিএফসি লাইফ ক্লিক ২ ওয়েলথ প্ল্যানে সর্বনিম্ন ৫ বছর এবং সর্বোচ্চ ৬৭ বছরের জন্য বিনিয়োগ করা যায়।

এলআইসি জীবন অক্ষয় VI প্ল্যান: এই প্ল্যানে একক প্রিমিয়াম দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পেনশন শুরু হয়ে যায়। এতে বিনিয়োগের সর্বনিম্ন বয়স ৩০ বছর এবং সর্বোচ্চ বয়স ৮৫ বছর।